Ajker Patrika

এবারও কোরবানিতে বসবে পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
এবারও কোরবানিতে বসবে পশুর হাট

ঢাকা: সারাদেশে এবারও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বসবে কোরবানির পশুর হাট। তবে নির্ধারিত স্থান ছাড়া এবং সড়ক-মহাসড়ক ও খেলার মাঠে হাট বসানো যাবে না। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হবে এসব হাট।

আজ রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক এবং রেল লাইনের ওপরে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার ওপরে পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এটি বন্ধ করতে হবে।'

মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ বছরও তা করা হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।'

দেশের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশব্যাপী হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সে জন্য স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
মেয়রদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যেন পশু জবাই না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কোরবানির পশুর হাটে এক লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। ছয় লক্ষ পলিথিন দেওয়া হবে বর্জ্য রাখার জন্য। এ ছাড়া ২০ হাজার পরিবেশবান্ধব ব্যাগ দেওয়া হবে। গরু ক্রয়ের জন্য অনলাইন বাজার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।

তিনি জানান, ডিএনসিসির ২৭০ স্থানে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ইমাম এবং চামড়া ছাড়ানোর জন্য কসাইদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। হাট ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি হটলাইন থাকবে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য। এ ছাড়া জনদুর্ভোগ কমাতে তেজগাঁও পলিটেকনিক কলেজের সামনের হাট এবং ভাষানটেকের হাট বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মেয়র।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ডিএসসিসির ১৩টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদা অনেক থাকলেও করোনার কারণে হাটের সংখ্যা কম রাখা হয়েছে। জনদুর্ভোগ এড়াতে হাটগুলো রাস্তা থেকে বেশ দূরে করা হয়েছে। এ ছাড়া কোন খেলার মাঠে হাট বসানো হয়নি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তিনি।

অনলাইন আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ সিটির মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত