Ajker Patrika

এসএমএস ছাড়াই নেওয়া যাবে টিকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৮
এসএমএস ছাড়াই নেওয়া যাবে টিকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

এসএমএস ছাড়া করোনা প্রতিরোধী টিকা পেতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন টিকা প্রত্যাশীরা। তবে টিকার স্বল্পতা, প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ নানা সংকটের কারণে সেটি এত দিন সম্ভব হয়নি। ফলে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের পাশাপাশি কয়েক দফা গণ টিকার আয়োজন করতে হয়েছে সরকারকে। তবে দেরিতে হলেও সেই জটিলতা কেটে সুসংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে নিবন্ধনকারীরা কেন্দ্রে গেলেই নিতে পারবেন টিকা। লাগবে না কোন এসএমএস।

আজ বুধবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে টিকা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

শামসুল হক বলেন, ‘কেউ যদি নিবন্ধন করেও টিকার জন্য এসএমএস না পেয়ে থাকেন, তাহলে অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। সরাসরি টিকা কেন্দ্রে চলে আসবেন, আমরা টিকা দিয়ে দিব। সম্ভব হলে কালই চলে আসুন, কালই আপনি টিকা পেয়ে যাবেন। বাড়ির পাশে যেকোনো কেন্দ্রে গিয়েই টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিতে আসলে সঙ্গে সঙ্গে একটা কার্ডও দেওয়া হবে, যেটি সনদ হিসেবে এক রকম কাজ করবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন থেকে এসএমএস পাওয়ার কোন দরকার নেই। প্রত্যেকটি কেন্দ্রকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সবাইকেই যেন এসএমএস দিয়ে দেওয়া হয়। কোন এসএমএসই এখন আর আটকে থাকবে না। যদি কেউ বাকি থাকে, তাহলে এসে টিকা নিয়ে যাবেন।’ 

গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, ‘বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। এরপর থেকে আর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না।’ 

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি টেনে টিকা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম আমরা বন্ধ রাখব। তখন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চালু রাখব। কারণ দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজও একটি বড় টার্গেট, এটিও আমাদের পূরণ করতে হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বারবার হাত ধুতে হবে। এতে করে নিজেও সুরক্ষিত থাকবেন, দেশকেও সুরক্ষিত রাখবেন।’ 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ১১ লাখ ৯২ হাজারের বেশি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭ কোটি ২৮ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ। 

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা তিন কোটি টিকা চুক্তির মধ্য দিয়ে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। কিন্তু ওই মাসেই টিকা আসা বন্ধ হয়ে গেলে মার্চ থেকে টিকাদান কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। পরে বিকল্প উপায়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে সরকার। জুলাইয়ের পর থেকে আবারও পুরোমাত্রায় শুরু হয় টিকাদান। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত