Ajker Patrika

৪০তম ক্যাডেট ব্যাচ

এসআই নিয়োগ আটকে গেছে নতুন ভেরিফিকেশনে

  • শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এরই মধ্যে ৩১৩ জনকে অব্যাহতি।
  • আটজনকে শোকজ। দুই দফায় পাসিং আউট প্যারেড স্থগিত।
  • দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগে দিন কাটছে ৪৮৮ জন প্রশিক্ষণার্থীর।
 শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ৩৬

পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।

জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।

সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।

বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।

এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪০
জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহযোগী সংগঠন ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহযোগী সংগঠন ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। দুই দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।

ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।

জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।

‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।

রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।

একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’

এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।

রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৮
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।

আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।

ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন করবেন না—বিদায়ী ভাষণে বিচারকদের প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩১
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।

প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’

বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা থাকলেও ভোট নিয়ে শঙ্কা দেখছে না ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’

সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’

সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’

দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’

প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত