সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা
‘রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের জনসভায় ভাষণে এভাবেই নিজের কথা তুলে ধরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধর্ম, বর্ণ আর জাতপাতের বিচার না করে মানুষকে হৃদয়জুড়ে জায়গা দিয়েছিলেন। তাই তো গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েও বিশ্বজয় করেছিলেন। ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাস। তরুণ শেখ মুজিব ক্রমেই বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা ও স্বাধীনতার স্থপতি।
শৈশব থেকেই সাম্প্রদায়িকতা দেখলে বিচলিত হয়ে পড়তেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৩৮ সালের ঘটনা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘শেরেবাংলা তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং সোহরাওয়ার্দী শ্রমমন্ত্রী। তাঁরা গোপালগঞ্জে আসবেন। বিরাট সভার আয়োজন করা হয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি হল। আমি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করলাম দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে। কারণ আমার কাছে তখন হিন্দু মুসলমান বলে কোন জিনিস ছিল না।’
বঙ্গবন্ধু মানুষকে প্রথমত একজন মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতেন। পাকিস্তান যেন সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত না হয়, তার চেষ্টা তিনি সব সময়ই করেছেন। দেশভাগ হয়ে যাওয়ার পর দেশের হিন্দুরা যেন দেশত্যাগ না করে, তার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘ফরিদপুর জেলে ফিরে এলাম। দেখি চন্দ্র বাবু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সিভিল সার্জন সাহেব তাঁকে বাইরের হাসপাতালে নিতে হুকুম দিলেন। চন্দ্র ঘোষ তাঁকে বললেন, আমার তো কেউ নাই। আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে একবার দেখতে চাই, সে আমার ভাইয়ের মতো। জীবনে তো আর দেখা হবে না।’
‘সিভিল সার্জন এবং জেলার সুপারিনটেনডেন্ট তাদের নির্দেশে আমাকে জেলগেটে নিয়ে যাওয়া হল। আমাকে দেখে কেঁদে ফেললেন এবং বললেন ভাই এরা আমাকে সাম্প্রদায়িক বলে বদনাম দিল শুধু এই আমার দুঃখ মরার সময়। তোমার কাছে আমার অনুরোধ রইল, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখো মানুষে মানুষে কোন পার্থক্য ভগবান করে নাই।’
‘এমন ভাবে কথাগুলো বললেন যে সুপারিনটেনডেন্ট জেলার সাহেব, ডেপুটি জেলার ডাক্তার ও গোয়েন্দা কর্মচারী সকলের চোখে পানি এসে গেল। আর আমার চোখেও পানি এসে গিয়েছিল। বললাম চিন্তা করবেন না, আমি মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান হিন্দু খ্রিষ্টান বলে কিছু নাই। সকলেই মানুষ।’
বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সমাজে শান্তি বজায় রেখে সবার নিজ নিজ ধর্ম পালন করা, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ—যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এ কারণেই নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার অন্যতম স্পষ্ট সমর্থক, যেখান থেকে বিশ্ব শিখতে পারে। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশের সকল দেশ বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন থেকে দিকনির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণা নিতে পারে।’
‘রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের জনসভায় ভাষণে এভাবেই নিজের কথা তুলে ধরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধর্ম, বর্ণ আর জাতপাতের বিচার না করে মানুষকে হৃদয়জুড়ে জায়গা দিয়েছিলেন। তাই তো গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েও বিশ্বজয় করেছিলেন। ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাস। তরুণ শেখ মুজিব ক্রমেই বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা ও স্বাধীনতার স্থপতি।
শৈশব থেকেই সাম্প্রদায়িকতা দেখলে বিচলিত হয়ে পড়তেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৩৮ সালের ঘটনা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘শেরেবাংলা তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং সোহরাওয়ার্দী শ্রমমন্ত্রী। তাঁরা গোপালগঞ্জে আসবেন। বিরাট সভার আয়োজন করা হয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি হল। আমি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করলাম দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে। কারণ আমার কাছে তখন হিন্দু মুসলমান বলে কোন জিনিস ছিল না।’
বঙ্গবন্ধু মানুষকে প্রথমত একজন মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতেন। পাকিস্তান যেন সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত না হয়, তার চেষ্টা তিনি সব সময়ই করেছেন। দেশভাগ হয়ে যাওয়ার পর দেশের হিন্দুরা যেন দেশত্যাগ না করে, তার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘ফরিদপুর জেলে ফিরে এলাম। দেখি চন্দ্র বাবু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সিভিল সার্জন সাহেব তাঁকে বাইরের হাসপাতালে নিতে হুকুম দিলেন। চন্দ্র ঘোষ তাঁকে বললেন, আমার তো কেউ নাই। আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে একবার দেখতে চাই, সে আমার ভাইয়ের মতো। জীবনে তো আর দেখা হবে না।’
‘সিভিল সার্জন এবং জেলার সুপারিনটেনডেন্ট তাদের নির্দেশে আমাকে জেলগেটে নিয়ে যাওয়া হল। আমাকে দেখে কেঁদে ফেললেন এবং বললেন ভাই এরা আমাকে সাম্প্রদায়িক বলে বদনাম দিল শুধু এই আমার দুঃখ মরার সময়। তোমার কাছে আমার অনুরোধ রইল, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখো মানুষে মানুষে কোন পার্থক্য ভগবান করে নাই।’
‘এমন ভাবে কথাগুলো বললেন যে সুপারিনটেনডেন্ট জেলার সাহেব, ডেপুটি জেলার ডাক্তার ও গোয়েন্দা কর্মচারী সকলের চোখে পানি এসে গেল। আর আমার চোখেও পানি এসে গিয়েছিল। বললাম চিন্তা করবেন না, আমি মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান হিন্দু খ্রিষ্টান বলে কিছু নাই। সকলেই মানুষ।’
বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সমাজে শান্তি বজায় রেখে সবার নিজ নিজ ধর্ম পালন করা, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ—যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এ কারণেই নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার অন্যতম স্পষ্ট সমর্থক, যেখান থেকে বিশ্ব শিখতে পারে। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশের সকল দেশ বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন থেকে দিকনির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণা নিতে পারে।’
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক দাবির কথা তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—ওভারটাইম ভাতা চালুর প্রস্তাব। কনস্টেবল থেকে শুরু করে আইজিপি পর্যন্ত সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্ধারিত ৮ কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ভাতা প্রদানের দাবিটি এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেমানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অতীতে ব্যাপকভাবে সমালোচিত পুলিশ বাহিনীর বিশেষ ইউনিট র্যাব নিজেদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং মানবাধিকার নিশ্চিতে নতুন উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এ দেওয়া উপস্থাপনায় বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব পালনে কোনো
২ ঘণ্টা আগে‘অন্তত ২২৭ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে এমন কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৪ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশনের তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত মামলায় ৪ জেলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি করা এবং সংস্কৃতিকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে