নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়া এবং বাধ্য করা—দুটোকেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রত্যেকের অধিকার। নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে এসেছিলাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সাথে আমাদের সুন্দর মতবিনিময় হয়েছে। সেখানে আমরা মূলত নির্বাচন-পূর্বকালীন আচরণ ও কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তীকালের আচরণের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দেখেছি আচরণবিধি ভঙ্গ করে অনেক প্রার্থী ও কর্মীরা বিভিন্ন রকম উত্তেজনা সৃষ্টি করে মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়। বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেগুলো যাতে না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী ও ভোটার যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বলেছি।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে, বিষয়টি আমরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। অতীতের অভিজ্ঞতায় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল। বিশেষত ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে আমরা যে বিশাল সহিংসতা দেখেছি। এটা নিয়ে আমরা সব সময় অনেক উদ্বিগ্ন থাকি। ওই সময় অনেকে মৃত্যুবরণ করেছিল। অনেক নারীর সম্ভ্রম হরণ করা হয়েছিল। অনেকে কষ্টকর অবস্থায় পড়েছিল। এ ধরনের অবস্থা যাতে কখনোই না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করে কাজটি সম্পাদন করবে সে বিষয়টা আমরা বলেছি।’
‘আমরা চাই দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি এবং করে যাব। আমি বিশ্বাস করি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।’
১৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাহলে এটি কি নিরপেক্ষ থাকল—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবেন বা না করবেন.. প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া। এক্ষেত্রে কেউ যদি নির্বাচন না করতে চান তাহলে তিনি এই অধিকার রাখলেন না। তিনি এলেন না। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার ব্যাপার বোধ হয় কোনো সংঘাত সৃষ্টি করে না। কারণ কারও ইচ্ছা হলো, তিনি নির্বাচন করলেন না, তিনি না-ই করতে পারেন। তবে আহ্বান জানানো একান্তই উচিত এবং আহ্বান জানানো হয়েছে বলেই আমরা জানি। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ না-ই এসে থাকে, তাহলে কী করা যাবে বলেন?
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব ছিল না বলে আমি মনে করি। কারণ কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এটা তাদের নিজের ব্যাপার। আর সরকারের ছিল কি না, এটা আপনারা সবাই জানেন। সরকার চেষ্টা করেছে কি না, সেটাও আপনারা জানেন। কতটুকু কী হয়েছে সেটা জানেন। এক্ষেত্রে যদি চেষ্টা করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হবে। আর কেউ যদি না এসে থাকে, এটা তার নিজস্ব অধিকার। তিনি ইচ্ছা করলে নাও আসতে পারেন।’
ভোট দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার। এক্ষেত্রে ভোট বর্জনের হস্তক্ষেপ কোন রাজনৈতিক দল করতে পারে কি না, করলে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে বাধ্যতামূলকভাবে ভোট দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো নিয়ম নেই। সে কারণে আমি বলব, ভোট যদি কেউ না দিতে চায়, তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। এটা সত্য, কেউ যদি ভোট দিতে চায়, তাকে বাধা প্রদান করা অনুচিত। এটা আইনের বরখেলাপ। কেউ যদি ভোট দিতে না চায়, তাকে যদি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাও লঙ্ঘন। আমরা এ বিষয়ে নজর রাখছি।’
নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়া এবং বাধ্য করা—দুটোকেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রত্যেকের অধিকার। নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে এসেছিলাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সাথে আমাদের সুন্দর মতবিনিময় হয়েছে। সেখানে আমরা মূলত নির্বাচন-পূর্বকালীন আচরণ ও কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তীকালের আচরণের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দেখেছি আচরণবিধি ভঙ্গ করে অনেক প্রার্থী ও কর্মীরা বিভিন্ন রকম উত্তেজনা সৃষ্টি করে মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়। বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেগুলো যাতে না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী ও ভোটার যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বলেছি।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে, বিষয়টি আমরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। অতীতের অভিজ্ঞতায় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল। বিশেষত ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে আমরা যে বিশাল সহিংসতা দেখেছি। এটা নিয়ে আমরা সব সময় অনেক উদ্বিগ্ন থাকি। ওই সময় অনেকে মৃত্যুবরণ করেছিল। অনেক নারীর সম্ভ্রম হরণ করা হয়েছিল। অনেকে কষ্টকর অবস্থায় পড়েছিল। এ ধরনের অবস্থা যাতে কখনোই না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করে কাজটি সম্পাদন করবে সে বিষয়টা আমরা বলেছি।’
‘আমরা চাই দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি এবং করে যাব। আমি বিশ্বাস করি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।’
১৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাহলে এটি কি নিরপেক্ষ থাকল—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবেন বা না করবেন.. প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া। এক্ষেত্রে কেউ যদি নির্বাচন না করতে চান তাহলে তিনি এই অধিকার রাখলেন না। তিনি এলেন না। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার ব্যাপার বোধ হয় কোনো সংঘাত সৃষ্টি করে না। কারণ কারও ইচ্ছা হলো, তিনি নির্বাচন করলেন না, তিনি না-ই করতে পারেন। তবে আহ্বান জানানো একান্তই উচিত এবং আহ্বান জানানো হয়েছে বলেই আমরা জানি। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ না-ই এসে থাকে, তাহলে কী করা যাবে বলেন?
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব ছিল না বলে আমি মনে করি। কারণ কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এটা তাদের নিজের ব্যাপার। আর সরকারের ছিল কি না, এটা আপনারা সবাই জানেন। সরকার চেষ্টা করেছে কি না, সেটাও আপনারা জানেন। কতটুকু কী হয়েছে সেটা জানেন। এক্ষেত্রে যদি চেষ্টা করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হবে। আর কেউ যদি না এসে থাকে, এটা তার নিজস্ব অধিকার। তিনি ইচ্ছা করলে নাও আসতে পারেন।’
ভোট দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার। এক্ষেত্রে ভোট বর্জনের হস্তক্ষেপ কোন রাজনৈতিক দল করতে পারে কি না, করলে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে বাধ্যতামূলকভাবে ভোট দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো নিয়ম নেই। সে কারণে আমি বলব, ভোট যদি কেউ না দিতে চায়, তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। এটা সত্য, কেউ যদি ভোট দিতে চায়, তাকে বাধা প্রদান করা অনুচিত। এটা আইনের বরখেলাপ। কেউ যদি ভোট দিতে না চায়, তাকে যদি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাও লঙ্ঘন। আমরা এ বিষয়ে নজর রাখছি।’
এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এ বিষয়ে একমত রাজনৈতিক দলগুলো। আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই সাংবিধানিক বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে সরাসরি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল
২০ মিনিট আগেআপাতত পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়াই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার শর্তে সিরাজগঞ্জের ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফেরার পরদিন রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক।
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে