নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা।
সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিলেট থেকে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছ। হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বিমানের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ বোসরা ইসলামসহ খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিমান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর ৫০ শতাংশ হিসাবে ৪২ হাজার ৬২৯ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। প্রি-হজে বিমান ১১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং পোস্ট হজে ১২৫টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
বিমানের প্রি-হজের সময়সূচি ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এবং পোস্ট হজের সময়সূচি ২০ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা।
সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিলেট থেকে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছ। হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বিমানের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ বোসরা ইসলামসহ খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিমান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর ৫০ শতাংশ হিসাবে ৪২ হাজার ৬২৯ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। প্রি-হজে বিমান ১১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং পোস্ট হজে ১২৫টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
বিমানের প্রি-হজের সময়সূচি ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এবং পোস্ট হজের সময়সূচি ২০ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৩১ মিনিট আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৪৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
৩ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছে।
পশ্চিম রেলের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কেনাকাটায় এমন ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মামলা করেছে সংস্থাটি। মামলায় পশ্চিম রেলের সাবেক দুই মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীতে এ মামলা করেন। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কেনাকাটায় ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান; সাবেক সিওসি খায়রুল আলম ও বেলাল হোসেন সরকার; সাবেক এসিওএস জাহিদ কাওছার; তৎকালীন ডেপুটি সিসিএম ফুয়াদ হোসেন আনন্দ; তৎকালীন ডিএফএ শ্যামলী রাণী রায়; তৎকালীন উচ্চমান সহকারী আলামিন তালুকদার; সাবেক ডিএফএ (অর্থ) আলমগীর হোসেন; তৎকালীন সিওপিএস এ এম এম শাহনেওয়াজ; তৎকালীন এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলাম; তৎকালীন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন; সাবেক এফএঅ্যান্ডসিএও মসিহ উল হাসান; সাবেক এসিসিএম শেখ আব্দুল জব্বার; সাবেক অতিরিক্ত এফএঅ্যান্ডসিএও গোলাম রব্বানী; তৎকালীন অতিরিক্ত এফএঅ্যান্ডসিও গোলাম রহমান; সাবেক এফএঅ্যান্ডসিও সরোজ কান্তি দেব ও সাবেক সিসিএম মিহির কান্তি গুহ।
দুদক জানিয়েছে, আসামিরা বিভিন্ন পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বাজারদরের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দাম পরিশোধ করেছেন। রেলের অভ্যন্তরীণ তদন্তেই ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসে। তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।
দুদক জানায়, প্রতিটি তালা কিনতে ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকা; যেখানে ভ্যাট, আয়কর, মুনাফাসহ বাস্তবিক মূল্য ছিল মাত্র ১৭৩ টাকা। শুধু তালা কিনেই ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৬৫ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কিনে লুট করা হয়েছে ১৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা। একইভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিসে ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা, লাগেজ ফিতাসহ ওয়াগন কার্ড কেনায় ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৫০ টাকা এবং ভিজিটিং চেয়ার, পেডাল ডাস্টবিন, লাগেজ ট্রলি, পাপোশ, ফটোকপিয়ার, স্টিল ফ্রেম চেয়ার, লেদার ক্যাশ ব্যাগসহ আরও ১৩ ধরনের পণ্য কেনায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মোট চারটি দরপত্র প্রক্রিয়ায় ১৭ ধরনের পণ্য কেনাকাটায় এভাবে ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা লুট করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রাক্কলন কমিটি বাজারদর যাচাই না করেই প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দর নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করেছে। ১৬৬টি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং তারাই কার্যাদেশ পায়। মূল্যায়ন কমিটি বাজারদর যাচাই না করে ইচ্ছাকৃতভাবে অধিক মূল্যের দর নেয়।
দুদক বলছে, অনুমোদনকারী কর্মকর্তার দরপত্র বাতিল বা পুনরায় আহ্বান করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে অনিয়মিতভাবে দরপত্র অনুমোদন দেন এবং ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। প্রাক্কলন কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদার পরস্পর যোগসাজশে বিপুল সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এরপর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছে।
পশ্চিম রেলের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কেনাকাটায় এমন ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মামলা করেছে সংস্থাটি। মামলায় পশ্চিম রেলের সাবেক দুই মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীতে এ মামলা করেন। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কেনাকাটায় ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান; সাবেক সিওসি খায়রুল আলম ও বেলাল হোসেন সরকার; সাবেক এসিওএস জাহিদ কাওছার; তৎকালীন ডেপুটি সিসিএম ফুয়াদ হোসেন আনন্দ; তৎকালীন ডিএফএ শ্যামলী রাণী রায়; তৎকালীন উচ্চমান সহকারী আলামিন তালুকদার; সাবেক ডিএফএ (অর্থ) আলমগীর হোসেন; তৎকালীন সিওপিএস এ এম এম শাহনেওয়াজ; তৎকালীন এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলাম; তৎকালীন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন; সাবেক এফএঅ্যান্ডসিএও মসিহ উল হাসান; সাবেক এসিসিএম শেখ আব্দুল জব্বার; সাবেক অতিরিক্ত এফএঅ্যান্ডসিএও গোলাম রব্বানী; তৎকালীন অতিরিক্ত এফএঅ্যান্ডসিও গোলাম রহমান; সাবেক এফএঅ্যান্ডসিও সরোজ কান্তি দেব ও সাবেক সিসিএম মিহির কান্তি গুহ।
দুদক জানিয়েছে, আসামিরা বিভিন্ন পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বাজারদরের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দাম পরিশোধ করেছেন। রেলের অভ্যন্তরীণ তদন্তেই ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসে। তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।
দুদক জানায়, প্রতিটি তালা কিনতে ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকা; যেখানে ভ্যাট, আয়কর, মুনাফাসহ বাস্তবিক মূল্য ছিল মাত্র ১৭৩ টাকা। শুধু তালা কিনেই ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৬৫ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কিনে লুট করা হয়েছে ১৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা। একইভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিসে ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা, লাগেজ ফিতাসহ ওয়াগন কার্ড কেনায় ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৫০ টাকা এবং ভিজিটিং চেয়ার, পেডাল ডাস্টবিন, লাগেজ ট্রলি, পাপোশ, ফটোকপিয়ার, স্টিল ফ্রেম চেয়ার, লেদার ক্যাশ ব্যাগসহ আরও ১৩ ধরনের পণ্য কেনায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মোট চারটি দরপত্র প্রক্রিয়ায় ১৭ ধরনের পণ্য কেনাকাটায় এভাবে ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা লুট করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রাক্কলন কমিটি বাজারদর যাচাই না করেই প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দর নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করেছে। ১৬৬টি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং তারাই কার্যাদেশ পায়। মূল্যায়ন কমিটি বাজারদর যাচাই না করে ইচ্ছাকৃতভাবে অধিক মূল্যের দর নেয়।
দুদক বলছে, অনুমোদনকারী কর্মকর্তার দরপত্র বাতিল বা পুনরায় আহ্বান করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে অনিয়মিতভাবে দরপত্র অনুমোদন দেন এবং ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। প্রাক্কলন কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদার পরস্পর যোগসাজশে বিপুল সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এরপর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা...
২২ মে ২০২৪বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৪৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
৩ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খান গত শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনের আইন উপবিভাগে প্রবেশ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ১২টা ৪৭ মিনিটে তিনি একটি ব্যাগ হাতে বেরিয়ে যান।
বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সময় অফিসে কোনো কর্মদিবস ছিল না, সেটি ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ ছাড়া প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ‘ফেস আইডি’ না দিয়েই ভবনে প্রবেশ করেন তিনি।
১৩ অক্টোবর মো. আল মাসুদ খানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নওসাদ হোসেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আইন উপবিভাগ বিমান বাংলাদেশের একটি অতীব গোপনীয় দপ্তর, যেখানে সংরক্ষিত থাকে সংবেদনশীল দলিল ও মামলাসংক্রান্ত নথি।
বরখাস্ত থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেখানে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে একটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসেন, যা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনার এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য কেন বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা অত্র পত্র প্রাপ্তির ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আল মাসুদ খানকে ৯ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের নির্দেশনায় তাঁকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, তিনি বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করবেন এবং কেবল হাজিরা দেবেন। কিন্তু বরখাস্তকালে তিনি অফিসে প্রবেশ করে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯-এর ৫৫ ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর দুর্নীতি, তথ্য গোপন ও আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক মাসুদ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে বলা হয়, ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর করা রিট পিটিশনের শুনানিতে আদালত বিমান কর্তৃপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আল মাসুদ খান কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেননি। এর ফলে আদালত অবমাননার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর অফিস আদেশ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন অফিসে জমা পড়লেও তিনি ‘দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে’ তা আদালতে জমা দেননি। একই সঙ্গে কন্টেম্প কেস ২৪০/২০২৫-সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে প্রতি মাসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মামলার তালিকায় এ মামলা অন্তর্ভুক্ত করেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯-এর ৫৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন এবং তাঁকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খান গত শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনের আইন উপবিভাগে প্রবেশ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ১২টা ৪৭ মিনিটে তিনি একটি ব্যাগ হাতে বেরিয়ে যান।
বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সময় অফিসে কোনো কর্মদিবস ছিল না, সেটি ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ ছাড়া প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ‘ফেস আইডি’ না দিয়েই ভবনে প্রবেশ করেন তিনি।
১৩ অক্টোবর মো. আল মাসুদ খানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নওসাদ হোসেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আইন উপবিভাগ বিমান বাংলাদেশের একটি অতীব গোপনীয় দপ্তর, যেখানে সংরক্ষিত থাকে সংবেদনশীল দলিল ও মামলাসংক্রান্ত নথি।
বরখাস্ত থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেখানে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে একটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসেন, যা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনার এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য কেন বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা অত্র পত্র প্রাপ্তির ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আল মাসুদ খানকে ৯ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের নির্দেশনায় তাঁকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, তিনি বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করবেন এবং কেবল হাজিরা দেবেন। কিন্তু বরখাস্তকালে তিনি অফিসে প্রবেশ করে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯-এর ৫৫ ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর দুর্নীতি, তথ্য গোপন ও আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক মাসুদ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশে বলা হয়, ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর করা রিট পিটিশনের শুনানিতে আদালত বিমান কর্তৃপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আল মাসুদ খান কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেননি। এর ফলে আদালত অবমাননার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর অফিস আদেশ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন অফিসে জমা পড়লেও তিনি ‘দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে’ তা আদালতে জমা দেননি। একই সঙ্গে কন্টেম্প কেস ২৪০/২০২৫-সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে প্রতি মাসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মামলার তালিকায় এ মামলা অন্তর্ভুক্ত করেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯-এর ৫৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন এবং তাঁকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা...
২২ মে ২০২৪পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৩১ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
৩ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের কথা এসেছে, আমি সব সময় বলি, আবারও বলছি, বারবারই বলি, যত জায়গায় যাই... এই যে সম্মেলন করলাম, সেখানেও বলে এসেছি, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই (ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন) অংশ। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি।... ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো, সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবার আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব, এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যাঁরা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে।...জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য আজ এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের কথা এসেছে, আমি সব সময় বলি, আবারও বলছি, বারবারই বলি, যত জায়গায় যাই... এই যে সম্মেলন করলাম, সেখানেও বলে এসেছি, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই (ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন) অংশ। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি।... ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো, সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবার আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব, এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যাঁরা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে।...জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য আজ এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা...
২২ মে ২০২৪পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৩১ মিনিট আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৪৩ মিনিট আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার শুনানিতে আজ বুধবার তিনি এ কথা জানান।
এই মামলায় আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় ইতিমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুনানির সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি এবং তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও। এই অপরাধীদের নির্দেশে প্রতিটি জায়গায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যাতে নিহত হন ১ হাজার ৪০০ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার। অনেককে জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ স্বজনদের দেওয়া হয়নি, যা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর জাতিসংঘের প্রতিবেদন তুলে ধরেন, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বুলেট-পিলেট উদ্ধারের তথ্য, জুলাই শহীদদের নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ১০ খণ্ডের বই, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকার তথ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন, আমার দেশ পত্রিকার ৫৪টি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলন, যাত্রাবাড়ীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ভিডিও দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ও নিহতদের শরীর থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রকার গুলিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের তারিখ ৮ ডিসেম্বর
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে ১৭ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ১৬ জন হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আমির হোসেন আমু, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরে মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ২৫ টির বেশি মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার শুনানিতে আজ বুধবার তিনি এ কথা জানান।
এই মামলায় আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় ইতিমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুনানির সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি এবং তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও। এই অপরাধীদের নির্দেশে প্রতিটি জায়গায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যাতে নিহত হন ১ হাজার ৪০০ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার। অনেককে জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ স্বজনদের দেওয়া হয়নি, যা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর জাতিসংঘের প্রতিবেদন তুলে ধরেন, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বুলেট-পিলেট উদ্ধারের তথ্য, জুলাই শহীদদের নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ১০ খণ্ডের বই, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকার তথ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন, আমার দেশ পত্রিকার ৫৪টি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলন, যাত্রাবাড়ীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ভিডিও দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ও নিহতদের শরীর থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রকার গুলিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের তারিখ ৮ ডিসেম্বর
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে ১৭ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ১৬ জন হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আমির হোসেন আমু, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরে মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ২৫ টির বেশি মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে রওনা হন হজযাত্রীরা...
২২ মে ২০২৪পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৩১ মিনিট আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৪৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
৩ ঘণ্টা আগে