বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। ইশরাক সমর্থকদের লাগাতার অবরোধে নগর ভবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী ইশরাকের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি টিম কাজ করছে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই হুট করে মতামত দেওয়া যাবে না। আমরা এ-সংক্রান্ত আইনগুলো পর্যালোচনা করছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। ইশরাকের করা মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, তা জানতে চেয়ে গত শুক্রবার আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন বলেন, ‘আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সরকারি সফরে এখন বিদেশে আছেন। ২৬ মে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো মতামতে আইন উপদেষ্টার স্বাক্ষর থাকে। ইশরাকের বিষয়ে মতামত দেওয়া হলেও আইন উপদেষ্টার দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করাটা ভুল হয়েছে। এখন সরকার তাঁকে মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে পদে বসানোর মতো ভুল করতে চায় না। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া হবে না।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আগের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হলেও শপথ না হওয়ায় মেয়রের পদে বসতে পারছেন না তিনি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের প্রধানমন্ত্রী (প্রধান উপদেষ্টা) শপথ পড়ান। ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই মতামত না পেয়ে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে ইশরাক শপথ নিতে পারবেন কি না। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর যতক্ষণ না একমত হবে, ততক্ষণ তার শপথ হবে না।
মন্ত্রণালয়-নগর ভবনে অচলাবস্থা
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস নগর ভবনে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সমবায় বিভাগের সচিবদের দপ্তরও নগর ভবনে করা হয়। ইশরাকের সমর্থকেরা গত বুধবার থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও গত শনিবার থেকে নগর ভবনের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে শনিবার থেকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দুটি ফ্লোরে গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতি জরুরি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, ১০৪ নম্বর কক্ষে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল এনে তাতে স্বাক্ষর করাচ্ছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কে যে কার রুমে বসেছেন, বোঝা যাচ্ছে না। যে যেখানে জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই বসছেন। অনেকে জায়গা না পেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে গেছেন। আমাদের ফাইলপত্রসহ সবকিছু নগর ভবনে থাকায় কোনো কাজও করা যাচ্ছে না।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনের ১৩ তলায় এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই ভবনের ১২ তলায় অফিস করছিলেন। শনিবার থেকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে পারেননি।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। যেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আমরা এখন শুধু সেই জরুরি কাজগুলো করতে পারছি। যেসব বিষয় উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে করতে হচ্ছে, সেগুলো উপদেষ্টার বাংলোতে গিয়ে করছি।’
জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, পাল্টাপাল্টি অবস্থান
মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ নিয়ে রাখঢাক না রেখে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিএনপি নেতা ইশরাকও পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি আন্দোলন করছে মন্তব্য করে আসিফ মাহমুদ গতকাল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এসব জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
আসিফের সুরে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ইশরাকের উদ্দেশে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে নির্বাচন অবৈধ, সেই নির্বাচনের মেয়র আমি কীভাবে হতে চাই? সেটা কীভাবে বৈধ হয়? তাহলে তো সেই নির্বাচনকে আমি বৈধতা দিয়ে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েক ব্যক্তি প্রসঙ্গে ইশরাক বলেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে, তা ক্লিনকাট বুঝিয়ে দিল।’ যাঁরা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, অবিলম্বে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা-মাতা তুলে গালিগালাজও চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে। কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে, তা নয়; বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। ইশরাক সমর্থকদের লাগাতার অবরোধে নগর ভবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী ইশরাকের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি টিম কাজ করছে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই হুট করে মতামত দেওয়া যাবে না। আমরা এ-সংক্রান্ত আইনগুলো পর্যালোচনা করছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। ইশরাকের করা মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, তা জানতে চেয়ে গত শুক্রবার আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন বলেন, ‘আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সরকারি সফরে এখন বিদেশে আছেন। ২৬ মে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো মতামতে আইন উপদেষ্টার স্বাক্ষর থাকে। ইশরাকের বিষয়ে মতামত দেওয়া হলেও আইন উপদেষ্টার দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করাটা ভুল হয়েছে। এখন সরকার তাঁকে মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে পদে বসানোর মতো ভুল করতে চায় না। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া হবে না।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আগের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হলেও শপথ না হওয়ায় মেয়রের পদে বসতে পারছেন না তিনি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের প্রধানমন্ত্রী (প্রধান উপদেষ্টা) শপথ পড়ান। ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই মতামত না পেয়ে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে ইশরাক শপথ নিতে পারবেন কি না। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর যতক্ষণ না একমত হবে, ততক্ষণ তার শপথ হবে না।
মন্ত্রণালয়-নগর ভবনে অচলাবস্থা
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস নগর ভবনে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সমবায় বিভাগের সচিবদের দপ্তরও নগর ভবনে করা হয়। ইশরাকের সমর্থকেরা গত বুধবার থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও গত শনিবার থেকে নগর ভবনের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে শনিবার থেকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দুটি ফ্লোরে গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতি জরুরি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, ১০৪ নম্বর কক্ষে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল এনে তাতে স্বাক্ষর করাচ্ছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কে যে কার রুমে বসেছেন, বোঝা যাচ্ছে না। যে যেখানে জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই বসছেন। অনেকে জায়গা না পেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে গেছেন। আমাদের ফাইলপত্রসহ সবকিছু নগর ভবনে থাকায় কোনো কাজও করা যাচ্ছে না।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনের ১৩ তলায় এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই ভবনের ১২ তলায় অফিস করছিলেন। শনিবার থেকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে পারেননি।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। যেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আমরা এখন শুধু সেই জরুরি কাজগুলো করতে পারছি। যেসব বিষয় উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে করতে হচ্ছে, সেগুলো উপদেষ্টার বাংলোতে গিয়ে করছি।’
জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, পাল্টাপাল্টি অবস্থান
মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ নিয়ে রাখঢাক না রেখে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিএনপি নেতা ইশরাকও পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি আন্দোলন করছে মন্তব্য করে আসিফ মাহমুদ গতকাল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এসব জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
আসিফের সুরে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ইশরাকের উদ্দেশে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে নির্বাচন অবৈধ, সেই নির্বাচনের মেয়র আমি কীভাবে হতে চাই? সেটা কীভাবে বৈধ হয়? তাহলে তো সেই নির্বাচনকে আমি বৈধতা দিয়ে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েক ব্যক্তি প্রসঙ্গে ইশরাক বলেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে, তা ক্লিনকাট বুঝিয়ে দিল।’ যাঁরা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, অবিলম্বে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা-মাতা তুলে গালিগালাজও চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে। কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে, তা নয়; বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১৩ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
২০ মে ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
২০ মে ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১৩ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
২০ মে ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১৩ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
২০ মে ২০২৫
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
১৩ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে