রজত কান্তি রায়, ঢাকা
হিমালয়ের কথা বলতে বলতে তাঁর চোখমুখে এক অদ্ভুত তৃপ্তির ছায়া খেলে যাচ্ছিল। বারবার বলছিলেন, হিমালয়ের কোনো দৃশ্যের কথা বলে বোঝানো যায় না। ছবি কিংবা ভিডিও দেখেও বোঝা যায় না। সেগুলো অংশমাত্র। হিমালয়কে শরীর ও মনে উপভোগ করতে হয়—বলছিলেন মো. আরাফাত হোসেন। যাঁরা ভ্রমণ করেন, দেশে বা বিদেশে, তাঁদের অনেকেই তাঁকে চেনেন। তিনি বেঙ্গল ট্রেকার্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তার চেয়েও বড় পরিচয়, তিনি মনেপ্রাণে একজন পর্যটক, যিনি ঘুরে বেড়াবেন বলে ছেড়েছিলেন আইন পেশা!
ইবিসি ট্রেইল পছন্দের
যাঁরা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেইলে ট্রেকিং করেন, তাঁদের কাছে এবিসি ও ইবিসি শব্দ দুটি পরিচিত মনে হতে পারে। এবিসি হলো অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প আর ইবিসি হলো এভারেস্ট বেস ক্যাম্প। ইবিসি তথা এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের ট্রেইল আরাফাতের প্রিয়। অন্নপূর্ণা ট্রেইলের চেয়ে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেইলে বৈচিত্র্য বেশি। এই বৈচিত্র্যই টানে আরাফাতকে। কিসের বৈচিত্র্য? আরাফাত জানালেন, সংস্কৃতির।
এভারেস্ট ট্রেইলে একই সঙ্গে নেপালি, তিব্বতি এমনকি কখনো কখনো মোঙ্গলদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। আর একেকটি সংস্কৃতি মানে তাদের খাদ্য, তাদের জীবনচর্যা, তাদের দক্ষতা ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এই সুযোগ ইবিসি ট্রেইলে পাওয়া যায়। নেপালের ইনল্যান্ড রেঞ্জ হওয়ায় অন্নপূর্ণা ট্রেইলে মূলত নেপালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সুযোগ থাকে।
শুরুটা আসলেই কঠিন
বাইরের চাপ তো ছিলই, পরিবারের চাপও। কোনো পরিবারই চায় না তাদের সন্তানেরা অনিশ্চিত কোনো পেশার সঙ্গে জড়িয়ে যাক। আরাফাতের পরিবারও চায়নি। কিন্তু আরাফাত শোনেননি। নিউক্যাসেল ল একাডেমির হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চাকরি ছেড়েছেন দুই বছরের মাথায়। দুই বছরের শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ক্যারিয়ার আর পেশাগত দিকে গড়ায়নি। শুরুর কঠিন পথ অতিক্রম করে এখন কিছুটা থিতু হয়েছেন। ভ্রমণই যখন নেশা ও পেশা—দুটোই আরও গুছিয়ে করতে চান তিনি। জানালেন, সেই চেষ্টা নিরন্তর।
সেসব দৃশ্য অফুরান
পাহাড়ের চূড়ায় ভোরের গোলাপি আলো কিংবা জ্যোৎস্না অথবা অস্তগামী সূর্যের আলো যখন পড়ে, শুধু সেই দৃশ্য দেখার জন্যই পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরা যায়, বিশেষত হিমালয়ে। এসব কথা যখন বলছিলেন, মনে হচ্ছিল আরাফাত হিমালয়ের কোনো প্রাচীন ট্রেইল ধরে হেঁটে চলেছেন। সেই কলেজজীবনে শুরু হয়েছিল ঘোরাঘুরি। ২০১৬ সালে হিট দ্য ট্রেইল নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তার মাধ্যমে রাঙামাটির বিলাইছড়ি ভ্রমণ, এরপর বান্দরবান। ছোটখাটো ভ্রমণের পর সেগুলোই ছিল বড় পরিসরের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। বয়স বেড়েছে। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাও। বান্দরবানের ট্রেইল ছেড়ে চলে গেছেন নেপাল, ভারত কিংবা কারাকোরামের পথে।
সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং অন্যদের ভ্রমণ আরও সহজ করতে ২০১৮ সালে হিট দ্য ট্রেইল থেকে বেরিয়ে বেঙ্গল ট্রেকার্স প্রতিষ্ঠা করেন আশিক মাহমুদ সাগরকে সঙ্গে নিয়ে। এখন দুজনই এটি পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। বেঙ্গল ট্রেকার্স পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ট্যুর অপারেশন করে প্রতিষ্ঠানটি।
জানতে চাইলাম, ভ্রমণই কেন? আরাফাত উত্তর দিলেন, চোখে লেগে থাকা দৃশ্যগুলো না ভুলে সারা জীবন আরও দৃশ্য তৈরি করতে চাই।
ব্যক্তিগত
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যান প্রথম। ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত অন্নপূর্ণা রেঞ্জ ট্রেকিং করেছেন ৪ বার, মারদি হিমাল বেস ক্যাম্প ট্রেকিং করেছেন একবার।
বাবা মো. শাহাদাত হোসেন, মা হোসনে আরা বেগম। ১৯৯১ সালের ১৭ জুলাই জন্ম, বরিশাল শহরে। বর্তমানে থাকেন ঢাকার মিরপুরে। মিরপুর বাংলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (কোডা) থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ২০১৪ সালে এলএলবিতে স্নাতক, তারপর পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে।
হিমালয়ের কথা বলতে বলতে তাঁর চোখমুখে এক অদ্ভুত তৃপ্তির ছায়া খেলে যাচ্ছিল। বারবার বলছিলেন, হিমালয়ের কোনো দৃশ্যের কথা বলে বোঝানো যায় না। ছবি কিংবা ভিডিও দেখেও বোঝা যায় না। সেগুলো অংশমাত্র। হিমালয়কে শরীর ও মনে উপভোগ করতে হয়—বলছিলেন মো. আরাফাত হোসেন। যাঁরা ভ্রমণ করেন, দেশে বা বিদেশে, তাঁদের অনেকেই তাঁকে চেনেন। তিনি বেঙ্গল ট্রেকার্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তার চেয়েও বড় পরিচয়, তিনি মনেপ্রাণে একজন পর্যটক, যিনি ঘুরে বেড়াবেন বলে ছেড়েছিলেন আইন পেশা!
ইবিসি ট্রেইল পছন্দের
যাঁরা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেইলে ট্রেকিং করেন, তাঁদের কাছে এবিসি ও ইবিসি শব্দ দুটি পরিচিত মনে হতে পারে। এবিসি হলো অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প আর ইবিসি হলো এভারেস্ট বেস ক্যাম্প। ইবিসি তথা এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের ট্রেইল আরাফাতের প্রিয়। অন্নপূর্ণা ট্রেইলের চেয়ে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেইলে বৈচিত্র্য বেশি। এই বৈচিত্র্যই টানে আরাফাতকে। কিসের বৈচিত্র্য? আরাফাত জানালেন, সংস্কৃতির।
এভারেস্ট ট্রেইলে একই সঙ্গে নেপালি, তিব্বতি এমনকি কখনো কখনো মোঙ্গলদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। আর একেকটি সংস্কৃতি মানে তাদের খাদ্য, তাদের জীবনচর্যা, তাদের দক্ষতা ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এই সুযোগ ইবিসি ট্রেইলে পাওয়া যায়। নেপালের ইনল্যান্ড রেঞ্জ হওয়ায় অন্নপূর্ণা ট্রেইলে মূলত নেপালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সুযোগ থাকে।
শুরুটা আসলেই কঠিন
বাইরের চাপ তো ছিলই, পরিবারের চাপও। কোনো পরিবারই চায় না তাদের সন্তানেরা অনিশ্চিত কোনো পেশার সঙ্গে জড়িয়ে যাক। আরাফাতের পরিবারও চায়নি। কিন্তু আরাফাত শোনেননি। নিউক্যাসেল ল একাডেমির হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চাকরি ছেড়েছেন দুই বছরের মাথায়। দুই বছরের শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ক্যারিয়ার আর পেশাগত দিকে গড়ায়নি। শুরুর কঠিন পথ অতিক্রম করে এখন কিছুটা থিতু হয়েছেন। ভ্রমণই যখন নেশা ও পেশা—দুটোই আরও গুছিয়ে করতে চান তিনি। জানালেন, সেই চেষ্টা নিরন্তর।
সেসব দৃশ্য অফুরান
পাহাড়ের চূড়ায় ভোরের গোলাপি আলো কিংবা জ্যোৎস্না অথবা অস্তগামী সূর্যের আলো যখন পড়ে, শুধু সেই দৃশ্য দেখার জন্যই পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরা যায়, বিশেষত হিমালয়ে। এসব কথা যখন বলছিলেন, মনে হচ্ছিল আরাফাত হিমালয়ের কোনো প্রাচীন ট্রেইল ধরে হেঁটে চলেছেন। সেই কলেজজীবনে শুরু হয়েছিল ঘোরাঘুরি। ২০১৬ সালে হিট দ্য ট্রেইল নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তার মাধ্যমে রাঙামাটির বিলাইছড়ি ভ্রমণ, এরপর বান্দরবান। ছোটখাটো ভ্রমণের পর সেগুলোই ছিল বড় পরিসরের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। বয়স বেড়েছে। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাও। বান্দরবানের ট্রেইল ছেড়ে চলে গেছেন নেপাল, ভারত কিংবা কারাকোরামের পথে।
সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং অন্যদের ভ্রমণ আরও সহজ করতে ২০১৮ সালে হিট দ্য ট্রেইল থেকে বেরিয়ে বেঙ্গল ট্রেকার্স প্রতিষ্ঠা করেন আশিক মাহমুদ সাগরকে সঙ্গে নিয়ে। এখন দুজনই এটি পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। বেঙ্গল ট্রেকার্স পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ট্যুর অপারেশন করে প্রতিষ্ঠানটি।
জানতে চাইলাম, ভ্রমণই কেন? আরাফাত উত্তর দিলেন, চোখে লেগে থাকা দৃশ্যগুলো না ভুলে সারা জীবন আরও দৃশ্য তৈরি করতে চাই।
ব্যক্তিগত
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যান প্রথম। ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত অন্নপূর্ণা রেঞ্জ ট্রেকিং করেছেন ৪ বার, মারদি হিমাল বেস ক্যাম্প ট্রেকিং করেছেন একবার।
বাবা মো. শাহাদাত হোসেন, মা হোসনে আরা বেগম। ১৯৯১ সালের ১৭ জুলাই জন্ম, বরিশাল শহরে। বর্তমানে থাকেন ঢাকার মিরপুরে। মিরপুর বাংলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (কোডা) থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ২০১৪ সালে এলএলবিতে স্নাতক, তারপর পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে।
ফ্রিজে যতদিন কোরবানির মাংস আছে ততদিন বাড়িতে অতিথি এলেই পোলাও আর মাংসের পদ তৈরি হবেই। তবে এই গরমে ভারী খাবারের পর এক গ্লাস বোরহানি পান করলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
১৮ মিনিট আগেধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১৯ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
১ দিন আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে