ভ্রমণ ডেস্ক
হেঁটে কিংবা সাইকেলে চেপে অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। আবার কেউ পাড়ি দিয়েছেন একেবারে আটলান্টিক আর অ্যান্টার্কটিকাও। সমতলের তুলনায় উত্তরের মেরুপথ পাড়ি দেওয়ার গল্পে ভিন্নতা আছে। ফলে এ গল্পের চরিত্রগুলোও ভিন্ন মানসিক গড়নের হয়ে থাকে। এমনই দুজন অভিযাত্রী অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেন।
অ্যান ব্যানক্রফট আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযান সম্পন্ন করা প্রথম নারী। এমনকি হেঁটে ও স্লেজে উত্তর মেরু পৌঁছানো প্রথম নারীর খেতাবও তাঁরই ঝুলিতে। অন্যদিকে লিভ আর্নেসেন এককভাবে দক্ষিণ মেরুতে অভিযান করা প্রথম নারী। লিভ ৭৪৫ মাইল স্কি করে ৫০ দিনে দক্ষিণ মেরু পৌঁছেছিলেন।
১৯৫৩ সালের ১ জুন নরওয়েতে জন্মেছিলেন লিভ আর্নেসেন। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর মা-বাবা তাঁকে ক্রস কান্ট্রি স্কিইং সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন। এটি স্কিইংয়ের একটি ফর্ম, যেখানে স্কাইয়াররা স্কি লিফট বা অন্যান্য সাহায্য ছাড়াই তুষার আচ্ছাদিত ভূখণ্ড অতিক্রম করেন। আর্নেসেন স্কিংয়ের মধ্যেই বড় হয়েছেন বলা চলে। তাঁর জীবনে অ্যাডভেঞ্চারের অনুপ্রেরণা ছিলেন দক্ষিণ মেরুতে অভিযানকারী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মেন্ডোটা হাইটসে ১৯৫৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন অ্যান ব্যানক্রফট। তাঁর ২ বছর কেটেছে কেনিয়ায়। ৮ বছর বয়স থেকে কাজিনদের সঙ্গে মরুভূমি অভিযানের নেতৃত্ব দিতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে উইল স্টেগার ইন্টারন্যাশনাল নর্থ পোল এক্সপিডিশনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন। স্লেজ গাড়িতে ৫৬ দিন চলার পর পাঁচ সদস্যের সঙ্গে উত্তর মেরুতে পৌঁছান এই আমেরিকান পোলার এক্সপ্লোরার। ১৯৯২-৯৩ সালে দক্ষিণ মেরুতে চার নারীকে নিয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেন ব্যানক্রফট। এই অভিযানটি ছিল দক্ষিণ মেরু অভিযানকারী নারীদের প্রথম দল।
অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেন একসঙ্গে বেশ কিছু অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা ইতিহাসের প্রথম দুই নারী, যাঁরা অ্যান্টার্কটিকা অভিযান করেছিলেন স্কি করে। ২০০১ সালের এই অভিযানে তাঁরা ১ হাজার ৭১৭ মাইল বা ২ হাজার ৭৪৭ কিলোমিটারের ট্র্যাক সম্পন্ন করেছিলেন ৯৪ দিনে। এরপর ২০০৫ সালে লিভ ও অ্যান আর্কটিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার একটি ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় নেমেছিলেন। কিন্তু সে বছর আর্কটিক মহাসাগরে অভিযানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে সে প্রচেষ্টা বাতিল করতে বাধ্য হন তাঁরা।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে অ্যান ও লিভ আবারও আর্কটিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, বৈশ্বিক উষ্ণতার সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তবে পরে অভিযানটি বাতিল করা হয়েছিল প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাঁদের কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং তুষারপাতে লিভের পায়ের তিনটি আঙুলে সমস্যা দেখা দেওয়ায়।
অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেনের মতো মানুষেরা শুধু মেরু অভিযানে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি, তাঁরা জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়েও প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজ করেন। তাঁরা দুজনই মোটিভেশনাল স্পিকার, শিক্ষক এবং অ্যাডভেঞ্চার গাইড। বলে বেড়ান বেঁচে থাকার গল্প, অনুপ্রেরণা আর অ্যাডভেঞ্চারের কথা। আবার এটাও বলেন, কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু।
হেঁটে কিংবা সাইকেলে চেপে অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। আবার কেউ পাড়ি দিয়েছেন একেবারে আটলান্টিক আর অ্যান্টার্কটিকাও। সমতলের তুলনায় উত্তরের মেরুপথ পাড়ি দেওয়ার গল্পে ভিন্নতা আছে। ফলে এ গল্পের চরিত্রগুলোও ভিন্ন মানসিক গড়নের হয়ে থাকে। এমনই দুজন অভিযাত্রী অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেন।
অ্যান ব্যানক্রফট আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযান সম্পন্ন করা প্রথম নারী। এমনকি হেঁটে ও স্লেজে উত্তর মেরু পৌঁছানো প্রথম নারীর খেতাবও তাঁরই ঝুলিতে। অন্যদিকে লিভ আর্নেসেন এককভাবে দক্ষিণ মেরুতে অভিযান করা প্রথম নারী। লিভ ৭৪৫ মাইল স্কি করে ৫০ দিনে দক্ষিণ মেরু পৌঁছেছিলেন।
১৯৫৩ সালের ১ জুন নরওয়েতে জন্মেছিলেন লিভ আর্নেসেন। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর মা-বাবা তাঁকে ক্রস কান্ট্রি স্কিইং সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন। এটি স্কিইংয়ের একটি ফর্ম, যেখানে স্কাইয়াররা স্কি লিফট বা অন্যান্য সাহায্য ছাড়াই তুষার আচ্ছাদিত ভূখণ্ড অতিক্রম করেন। আর্নেসেন স্কিংয়ের মধ্যেই বড় হয়েছেন বলা চলে। তাঁর জীবনে অ্যাডভেঞ্চারের অনুপ্রেরণা ছিলেন দক্ষিণ মেরুতে অভিযানকারী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মেন্ডোটা হাইটসে ১৯৫৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন অ্যান ব্যানক্রফট। তাঁর ২ বছর কেটেছে কেনিয়ায়। ৮ বছর বয়স থেকে কাজিনদের সঙ্গে মরুভূমি অভিযানের নেতৃত্ব দিতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে উইল স্টেগার ইন্টারন্যাশনাল নর্থ পোল এক্সপিডিশনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন। স্লেজ গাড়িতে ৫৬ দিন চলার পর পাঁচ সদস্যের সঙ্গে উত্তর মেরুতে পৌঁছান এই আমেরিকান পোলার এক্সপ্লোরার। ১৯৯২-৯৩ সালে দক্ষিণ মেরুতে চার নারীকে নিয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেন ব্যানক্রফট। এই অভিযানটি ছিল দক্ষিণ মেরু অভিযানকারী নারীদের প্রথম দল।
অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেন একসঙ্গে বেশ কিছু অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা ইতিহাসের প্রথম দুই নারী, যাঁরা অ্যান্টার্কটিকা অভিযান করেছিলেন স্কি করে। ২০০১ সালের এই অভিযানে তাঁরা ১ হাজার ৭১৭ মাইল বা ২ হাজার ৭৪৭ কিলোমিটারের ট্র্যাক সম্পন্ন করেছিলেন ৯৪ দিনে। এরপর ২০০৫ সালে লিভ ও অ্যান আর্কটিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার একটি ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় নেমেছিলেন। কিন্তু সে বছর আর্কটিক মহাসাগরে অভিযানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে সে প্রচেষ্টা বাতিল করতে বাধ্য হন তাঁরা।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে অ্যান ও লিভ আবারও আর্কটিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, বৈশ্বিক উষ্ণতার সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তবে পরে অভিযানটি বাতিল করা হয়েছিল প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাঁদের কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং তুষারপাতে লিভের পায়ের তিনটি আঙুলে সমস্যা দেখা দেওয়ায়।
অ্যান ব্যানক্রফট ও লিভ আর্নেসেনের মতো মানুষেরা শুধু মেরু অভিযানে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি, তাঁরা জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়েও প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজ করেন। তাঁরা দুজনই মোটিভেশনাল স্পিকার, শিক্ষক এবং অ্যাডভেঞ্চার গাইড। বলে বেড়ান বেঁচে থাকার গল্প, অনুপ্রেরণা আর অ্যাডভেঞ্চারের কথা। আবার এটাও বলেন, কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু।
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
৫ ঘণ্টা আগেকোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
৮ ঘণ্টা আগে