বলতে দ্বিধা নেই, আমরা মুখ, হাত, পায়ের যত্ন যেভাবে নিই, সেভাবে পিঠের যত্ন নিই না। এর অন্যতম কারণ হলো–নিজে নিজে পিঠের যত্ন নেওয়া খানিকটা বিপাকের। কারণ, গোসলের সময় লুফা দিয়ে নিজে নিজে পিঠ ঘষে নেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করা যায় না। আবার চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে সেগুলো ধুয়ে ফেলার সময় অবশিষ্টাংশ কিন্তু পিঠে রয়েই যায়। এ কারণেও পিঠে কালচে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আবার বড় গলার জামা বা ব্লাউজ পরার কারণে বা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে পিঠে রোদে পোড়া দাগ থাকেই। এসব সমস্যার সমাধান যে খুব কঠিন, তা কিন্তু হয়। সহজ সমাধানের কথাই হচ্ছে এখন।
গোসলের সময় যত্ন নিন
এখন যে আবহাওয়া তাতে ত্বকের কিন্তু তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন গোসলের আগে পিঠে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এতে ত্বক তেল শুষে নেওয়ার সময় পাবে। এরপর লুফায় সাবান লাগিয়ে পিঠ যতটা সম্ভব ঘষে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, সাবান, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের ফেনা যেন পিঠে না থেকে যায়। অনেক সময়ই গোসলের সময় পিঠ ঠিকমতো ধোয়া না হলে পিঠে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। তাই পুরো শরীরের সঙ্গে সঙ্গে পিঠও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গোসল শেষে অবশ্যই পিঠে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
স্ক্র্যাবিংয়ের বিকল্প নেই
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পিঠ স্ক্র্যাব করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পিঠ স্ক্র্যাব করে নিতে হবে। পিঠ স্ক্র্য়াব করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। বাকি অন্যদিন চালের গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বা কফি পাউডারের সঙ্গ টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, মধু বা টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। হালকাভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠ ম্যাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক পর ধুয়ে নিন।
ডিপ ক্লিনজিং
যে নিয়মে আমরা ফেসিয়াল করি, মানে ক্লেনজিং, স্ক্রাবিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং–সেভাবে পিঠেরও যত্ন নিতে হবে এক্সপার্টের হাতে। দুই মাসে একবার ভালো কোনো পারলারে গিয়ে পিঠের ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজটা সেরে আসুন। পিঠের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এক্সপার্টের হাতের ম্যাসাজ খুব ভালো কাজ করে। এতে পিঠে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং কোষে পুষ্টি পৌঁছায়। জেল্লাও আসে খুব দ্রুত। পাশাপাশি শরীর তো রিল্যাক্স হয়ই।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
পিঠের রোদে পোড়া দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর টুকরোয় চিনির দানা মাখিয়ে পিঠ ঘষতে পারেন। আবার টমেটো ও আলুর রসও রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে খুব ভালো কাজ করে। সপ্তাহে দুই দিন পিঠে ঠান্ডা টকদই, ময়দা, কাঁচা হলুদ বাটা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পিয়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর তোয়ালে দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই ত্বকের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকবে সেসব অংশে সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
পিঠে দাগ থাকলে
ঘাম ও অপরিচ্ছন্নতার কারণেও পিঠে জেদি কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। চুল অপরিচ্ছন্ন থাকলেও, তা বারবার পিঠে ঘষা লেগেও পিঠে দাগ হতে পারে। চুলে খুশকি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সারিয়ে নিন। গোসলের সময় পিঠ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পিঠের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদ বাটা, দুধ, শসার রস ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে
পিঠের অবাঞ্ছিত পিঠের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। পিঠে ঘন লোম থাকলে লিকুইড ওয়্যাক্স বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় কালচে ছোপ পড়তে পারে। তাই পিঠের লোম অপসারণে শেভিং ভালো সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্য নিয়ে কাজটি করতে হবে। অনেকেই পিঠের লোম যাতে বোঝা না যায়, তাই ফেয়ার পলিশ করান। সে ক্ষেত্রে ভালো পারলার থেকে ভালো মানের ফেয়ার পলিশ করাতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন, ফেমিনা ও অন্যান্য
বলতে দ্বিধা নেই, আমরা মুখ, হাত, পায়ের যত্ন যেভাবে নিই, সেভাবে পিঠের যত্ন নিই না। এর অন্যতম কারণ হলো–নিজে নিজে পিঠের যত্ন নেওয়া খানিকটা বিপাকের। কারণ, গোসলের সময় লুফা দিয়ে নিজে নিজে পিঠ ঘষে নেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করা যায় না। আবার চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে সেগুলো ধুয়ে ফেলার সময় অবশিষ্টাংশ কিন্তু পিঠে রয়েই যায়। এ কারণেও পিঠে কালচে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আবার বড় গলার জামা বা ব্লাউজ পরার কারণে বা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে পিঠে রোদে পোড়া দাগ থাকেই। এসব সমস্যার সমাধান যে খুব কঠিন, তা কিন্তু হয়। সহজ সমাধানের কথাই হচ্ছে এখন।
গোসলের সময় যত্ন নিন
এখন যে আবহাওয়া তাতে ত্বকের কিন্তু তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন গোসলের আগে পিঠে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এতে ত্বক তেল শুষে নেওয়ার সময় পাবে। এরপর লুফায় সাবান লাগিয়ে পিঠ যতটা সম্ভব ঘষে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, সাবান, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের ফেনা যেন পিঠে না থেকে যায়। অনেক সময়ই গোসলের সময় পিঠ ঠিকমতো ধোয়া না হলে পিঠে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। তাই পুরো শরীরের সঙ্গে সঙ্গে পিঠও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গোসল শেষে অবশ্যই পিঠে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
স্ক্র্যাবিংয়ের বিকল্প নেই
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পিঠ স্ক্র্যাব করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পিঠ স্ক্র্যাব করে নিতে হবে। পিঠ স্ক্র্য়াব করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। বাকি অন্যদিন চালের গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বা কফি পাউডারের সঙ্গ টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, মধু বা টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। হালকাভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠ ম্যাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক পর ধুয়ে নিন।
ডিপ ক্লিনজিং
যে নিয়মে আমরা ফেসিয়াল করি, মানে ক্লেনজিং, স্ক্রাবিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং–সেভাবে পিঠেরও যত্ন নিতে হবে এক্সপার্টের হাতে। দুই মাসে একবার ভালো কোনো পারলারে গিয়ে পিঠের ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজটা সেরে আসুন। পিঠের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এক্সপার্টের হাতের ম্যাসাজ খুব ভালো কাজ করে। এতে পিঠে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং কোষে পুষ্টি পৌঁছায়। জেল্লাও আসে খুব দ্রুত। পাশাপাশি শরীর তো রিল্যাক্স হয়ই।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
পিঠের রোদে পোড়া দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর টুকরোয় চিনির দানা মাখিয়ে পিঠ ঘষতে পারেন। আবার টমেটো ও আলুর রসও রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে খুব ভালো কাজ করে। সপ্তাহে দুই দিন পিঠে ঠান্ডা টকদই, ময়দা, কাঁচা হলুদ বাটা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পিয়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর তোয়ালে দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই ত্বকের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকবে সেসব অংশে সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
পিঠে দাগ থাকলে
ঘাম ও অপরিচ্ছন্নতার কারণেও পিঠে জেদি কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। চুল অপরিচ্ছন্ন থাকলেও, তা বারবার পিঠে ঘষা লেগেও পিঠে দাগ হতে পারে। চুলে খুশকি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সারিয়ে নিন। গোসলের সময় পিঠ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পিঠের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদ বাটা, দুধ, শসার রস ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে
পিঠের অবাঞ্ছিত পিঠের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। পিঠে ঘন লোম থাকলে লিকুইড ওয়্যাক্স বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় কালচে ছোপ পড়তে পারে। তাই পিঠের লোম অপসারণে শেভিং ভালো সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্য নিয়ে কাজটি করতে হবে। অনেকেই পিঠের লোম যাতে বোঝা না যায়, তাই ফেয়ার পলিশ করান। সে ক্ষেত্রে ভালো পারলার থেকে ভালো মানের ফেয়ার পলিশ করাতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন, ফেমিনা ও অন্যান্য
টক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেবলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
১০ ঘণ্টা আগেকচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
১ দিন আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগে