সানজিদা সামরিন, ঢাকা

দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক, বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’; তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায়, এমন শাড়িই বেছে নিন।

বিষয়টা এমন নয় যে অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পড়ে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা কিংবা রং অথবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।

শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয়, এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা—এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয়, সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে, যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন, তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন, তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’

এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে, তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক—জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন, যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্তিরি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায়, তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।

দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক, বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’; তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায়, এমন শাড়িই বেছে নিন।

বিষয়টা এমন নয় যে অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পড়ে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা কিংবা রং অথবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।

শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয়, এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা—এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয়, সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে, যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন, তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন, তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’

এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে, তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক—জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন, যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্তিরি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায়, তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।
সানজিদা সামরিন, ঢাকা

দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক, বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’; তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায়, এমন শাড়িই বেছে নিন।

বিষয়টা এমন নয় যে অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পড়ে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা কিংবা রং অথবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।

শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয়, এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা—এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয়, সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে, যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন, তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন, তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’

এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে, তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক—জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন, যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্তিরি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায়, তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।

দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক, বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’; তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায়, এমন শাড়িই বেছে নিন।

বিষয়টা এমন নয় যে অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পড়ে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা কিংবা রং অথবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।

শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয়, এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা—এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয়, সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে, যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন, তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন, তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’

এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে, তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক—জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন, যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্তিরি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায়, তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন, তারপর নিজের চোখে ফলাফল ধরা দেবে—
নিয়মিত চুল ছাঁটাই
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আট-দশ সপ্তাহ পর নিয়মিত ছাঁটাই করলে চুল দ্রুত বড় হতে পারে। অতিরিক্ত ধুলোবালু ও রোদের তাপের কারণে চুলের প্রান্তভাগ বা আগা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটাই করার মাধ্যমে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ফেটে যাওয়া আগা কেটে ফেলা হলে চুল নতুন করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে কোনো বাধা ছাড়াই চুল লম্বা হতে পারে।

কন্ডিশনারকে করুন নিত্যসঙ্গী
হয়তো লক্ষ করেছেন, চুলের আগার অংশ গোড়ার অংশের চেয়ে তুলনামূলক পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচের প্রান্তটি গোড়ার অংশের মতো ভালোভাবে পুষ্টি পায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনিং করা হলে চুলের আগার অংশ অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল সুস্থতা ফিরে পায়। ফলে দ্রুত লম্বা হতে পারে।
ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন
চুলে ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস দূর হয়, এটা নিশ্চয়ই জানেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে, দ্রুত বেড়ে উঠবে ও চুল পড়া কমে যাবে। চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান
অতিরিক্ত আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে, এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এটা তখনই ঘটবে, যখন চিরুনি বেছে নিতে ভুল করবেন। চিকন দাঁতের চিরুনি এড়াতে পারলে ভালো। মোটা দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সব সময় ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ৫০ বার এমন চিরুনি দিয়ে চুলের সামনে থেকে পেছনের দিকে ও মাথার সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে আঁচড়ান। এতে চুল দ্রুত বড় বা লম্বা হবে।
চুল লম্বা করার জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা চাই। বাহ্য়িকভাবে পুষ্টি জোগাতে ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের জেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বড় হয়। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না
শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে এভাবে মুড়ে রাখলে চুল ভাঙা ও পড়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

৩ মিনিট ব্যাকব্রাশ
অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে প্রতিদিন ৩ মিনিট চুল ব্যাকব্রাশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল দ্রুত বড় হয়।
মানসিক চাপকে বিদায় জানান
মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অসংখ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, চুল পড়া তার মধ্যে অন্যতম। কাজের কারণে বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টিকারী মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ডিমের মাস্ক ব্যবহার
ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন প্যাক দিয়ে কিন্তু চুলে সহজে পুষ্টি জোগাতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, আপনার চুলকে পুষ্ট করতে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাত্র এক চা-চামচ জলপাই তেল একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তিন থেকে ছয় মাস পর অবিশ্বাস্য ফল পাবেন।

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন, তারপর নিজের চোখে ফলাফল ধরা দেবে—
নিয়মিত চুল ছাঁটাই
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আট-দশ সপ্তাহ পর নিয়মিত ছাঁটাই করলে চুল দ্রুত বড় হতে পারে। অতিরিক্ত ধুলোবালু ও রোদের তাপের কারণে চুলের প্রান্তভাগ বা আগা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটাই করার মাধ্যমে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ফেটে যাওয়া আগা কেটে ফেলা হলে চুল নতুন করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে কোনো বাধা ছাড়াই চুল লম্বা হতে পারে।

কন্ডিশনারকে করুন নিত্যসঙ্গী
হয়তো লক্ষ করেছেন, চুলের আগার অংশ গোড়ার অংশের চেয়ে তুলনামূলক পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচের প্রান্তটি গোড়ার অংশের মতো ভালোভাবে পুষ্টি পায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনিং করা হলে চুলের আগার অংশ অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল সুস্থতা ফিরে পায়। ফলে দ্রুত লম্বা হতে পারে।
ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন
চুলে ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস দূর হয়, এটা নিশ্চয়ই জানেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে, দ্রুত বেড়ে উঠবে ও চুল পড়া কমে যাবে। চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান
অতিরিক্ত আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে, এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এটা তখনই ঘটবে, যখন চিরুনি বেছে নিতে ভুল করবেন। চিকন দাঁতের চিরুনি এড়াতে পারলে ভালো। মোটা দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সব সময় ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ৫০ বার এমন চিরুনি দিয়ে চুলের সামনে থেকে পেছনের দিকে ও মাথার সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে আঁচড়ান। এতে চুল দ্রুত বড় বা লম্বা হবে।
চুল লম্বা করার জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা চাই। বাহ্য়িকভাবে পুষ্টি জোগাতে ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের জেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বড় হয়। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না
শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে এভাবে মুড়ে রাখলে চুল ভাঙা ও পড়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

৩ মিনিট ব্যাকব্রাশ
অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে প্রতিদিন ৩ মিনিট চুল ব্যাকব্রাশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল দ্রুত বড় হয়।
মানসিক চাপকে বিদায় জানান
মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অসংখ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, চুল পড়া তার মধ্যে অন্যতম। কাজের কারণে বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টিকারী মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ডিমের মাস্ক ব্যবহার
ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন প্যাক দিয়ে কিন্তু চুলে সহজে পুষ্টি জোগাতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, আপনার চুলকে পুষ্ট করতে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাত্র এক চা-চামচ জলপাই তেল একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তিন থেকে ছয় মাস পর অবিশ্বাস্য ফল পাবেন।

অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু
০৬ মে ২০২৫
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু
০৬ মে ২০২৫
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু
০৬ মে ২০২৫
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই। পাহাড়ি এলাকা যেমন ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ১৪ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় বেশি দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।
ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মালয়েশিয়া ঘোরার সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

মার্চ–মে: বেশিরভাগ এলাকায় সবচেয়ে দারুণ মৌসুম
বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

জুন–সেপ্টেম্বর: কুয়ালালামপুর ও পূর্ব উপকূল ভ্রমণের সেরা সময়
এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

অক্টোবর–নভেম্বর: মেলাকা ও ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস ঘোরার সেরা সময়
এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।
মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং কোন অঞ্চল দেখতে চান তার ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের সেরা সময় নির্বাচন করুন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই। পাহাড়ি এলাকা যেমন ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ১৪ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় বেশি দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।
ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মালয়েশিয়া ঘোরার সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

মার্চ–মে: বেশিরভাগ এলাকায় সবচেয়ে দারুণ মৌসুম
বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

জুন–সেপ্টেম্বর: কুয়ালালামপুর ও পূর্ব উপকূল ভ্রমণের সেরা সময়
এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

অক্টোবর–নভেম্বর: মেলাকা ও ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস ঘোরার সেরা সময়
এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।
মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং কোন অঞ্চল দেখতে চান তার ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের সেরা সময় নির্বাচন করুন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট

অনেকে দু-এক দিন পরপর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু
০৬ মে ২০২৫
ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে