দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘরে ও বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। এই তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জন্য এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কেনার পরিকল্পনা করছেন অনেকেই। তবে সবার এসি কেনার সার্মথ্য নেই। এসি চালু রাখলে বিদ্যুতের খরচও বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় অনেকেই ঘর ও শরীর ঠান্ডা করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সবাই হন্যি হয়ে খুঁজছেন।
প্রচণ্ড গরমে এসি ছাড়া ঘর ও দেহ ঠাণ্ডা রাখার ১৪টি কৌশল তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি পানি পান করুন
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও জৈবিক প্রকৌশলের সিনিয়র লেকচারার ইমেরিটাস ওয়েনডেল পোর্টার বলেন, নিজের শরীরকে ঠান্ডা রাখার প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হলো– পানি পান করা। এক্ষেত্রে পানির তাপমাত্রা কত হবে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ পানি পান করার পর আপনার দেহ তা গরম করবে।
নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য দেহে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। কারণ, ঘাম বের হওয়ার মাধ্যমে দেহ নিজেকে ঠান্ডা করে।
২. ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। পেপারমিন্টসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হয়। কারণ পেপারমিন্টে থাকা মেনথল মস্তিষ্কের রিসেপ্টরকে সক্রিয় করে, যা শরীরে ঠান্ডার অনুভুতি তৈরি করে।
৩. আইসব্যাগ ব্যবহার করুন
ঘাড়ে ও হাতের কবজিতে আইসব্যাগ বা ঠান্ডা কাপড় জড়িয়ে রাখলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। এসব জায়গায় রক্তনালীগুলো ত্বকের সবচেয়ে কাছে থাকে। ফলে এসব জায়গা ঠান্ডা থাকলে পুরো দেহ দ্রুত ঠান্ডা হয়।
৪. টেবিল ফ্যান
এখন বাজারে সাশ্রয়ী দামে টেবিল ফ্যান পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি টেবিল ফ্যান ব্যবহার করে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। জানালা বরাবর টেবিল ফ্যান রাখলে এটি ঘরের গরম বাতাসকে বাইরে ঠেলে দেয় ও ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করে। তবে বাইরে অতিরিক্ত রোদ থাকলে জানালায় পর্দা টেনে দিন। এরপর রোদ কমে গেলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
শরীরের কাছে ফ্যান রাখলেও দেহের তাপমাত্রা কমানো যায়।
৫. জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জানালার পর্দা টেনে রাখুন। ফলে ঘরের মধ্যে সরাসরি রোদ প্রবেশ করতে পারবে না ও ঘরের তাপমাত্রা সহজে বাড়াবে না।
৬. সুতি কাপড় ব্যবহার করুন
গরমের সময় সুতি কাপড়ে সবচেয়ে বেশি আরাম পাওয়া যায়। সুতি কাপড় পরার পাশাপাশি বিছানার চাদর ও বালিশের কভার হিসেবে হালকা রঙের সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এটি ঘুমের সময় শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
৭. ঘরে গাছ রাখুন
গাছ যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ নিজের খাদ্য তৈরির জন্য ঘরে জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। কম রোদে বাঁচে এমন ইনডোর গাছ লাগিয়ে ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমানো যায়।
৮. চুলা বন্ধ রাখুন
রান্নার কাজ দ্রুত শেষ করে চুলা বন্ধ করে রাখুন। এর মাধ্যমে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ হবে, তেমনি রান্নাঘরের তাপ অন্যান্য ঘরে প্রবেশ করবে না।
৯. অব্যবহৃত ঘরের দরজা বন্ধ রাখুন
যেসব ঘরে কোনো ভেন্টিলেটর নেই ও যেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে সেগুলোর দরজা বন্ধ করে রাখুন। তাহলে ঠান্ডা বাতাসগুলো সেসব ঘরে চলে যেতে পারবে না।
১০. বাথরুম ও রান্নাঘরে এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন
রান্নার সময় গরম বাতাস বের করে দিতে সাহায্য করে এগজস্ট ফ্যান। এছাড়া গোসলের পর গরম বাষ্পও বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই রান্না ও গোসলের সময় এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করলেও ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে।
১১. দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে রাখুন
খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে রাখুন। এর ফলে বিদ্যুৎসাশ্রয়ের পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রাও কিছুটা কম থাকবে।
১২. ঘরের বাইরে রান্না করুন
সম্ভব হলে ঘরের বাইরে বা উঠানে রান্না করুন। কারণ রান্নার সময় উৎপন্ন তাপমাত্রা রান্নাঘর ছাড়াও অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৩. ঠান্ডা খাবার খান
বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা ফল বা ফলের রস, আইসক্রিম খেতে পারেন। এর মাধ্যমে কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে মিষ্টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ চিনির রক্তে মিশে শরীরকে ভেতর থেকে গরম করতে পারে।
১৪. স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফের টুকরো রাখুন
টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি বা বরফের টুকরা রাখতে পারেন। এই পদ্ধতি ঘর শীতল রাখতে সাহায্য করবে। টেবিল ফ্যান না থাকলে সিলিং ফ্যানের ঠিক নিচে বরফ রাখলেও ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘরে ও বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। এই তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জন্য এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কেনার পরিকল্পনা করছেন অনেকেই। তবে সবার এসি কেনার সার্মথ্য নেই। এসি চালু রাখলে বিদ্যুতের খরচও বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় অনেকেই ঘর ও শরীর ঠান্ডা করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সবাই হন্যি হয়ে খুঁজছেন।
প্রচণ্ড গরমে এসি ছাড়া ঘর ও দেহ ঠাণ্ডা রাখার ১৪টি কৌশল তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি পানি পান করুন
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও জৈবিক প্রকৌশলের সিনিয়র লেকচারার ইমেরিটাস ওয়েনডেল পোর্টার বলেন, নিজের শরীরকে ঠান্ডা রাখার প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হলো– পানি পান করা। এক্ষেত্রে পানির তাপমাত্রা কত হবে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ পানি পান করার পর আপনার দেহ তা গরম করবে।
নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য দেহে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। কারণ, ঘাম বের হওয়ার মাধ্যমে দেহ নিজেকে ঠান্ডা করে।
২. ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। পেপারমিন্টসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হয়। কারণ পেপারমিন্টে থাকা মেনথল মস্তিষ্কের রিসেপ্টরকে সক্রিয় করে, যা শরীরে ঠান্ডার অনুভুতি তৈরি করে।
৩. আইসব্যাগ ব্যবহার করুন
ঘাড়ে ও হাতের কবজিতে আইসব্যাগ বা ঠান্ডা কাপড় জড়িয়ে রাখলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। এসব জায়গায় রক্তনালীগুলো ত্বকের সবচেয়ে কাছে থাকে। ফলে এসব জায়গা ঠান্ডা থাকলে পুরো দেহ দ্রুত ঠান্ডা হয়।
৪. টেবিল ফ্যান
এখন বাজারে সাশ্রয়ী দামে টেবিল ফ্যান পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি টেবিল ফ্যান ব্যবহার করে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। জানালা বরাবর টেবিল ফ্যান রাখলে এটি ঘরের গরম বাতাসকে বাইরে ঠেলে দেয় ও ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করে। তবে বাইরে অতিরিক্ত রোদ থাকলে জানালায় পর্দা টেনে দিন। এরপর রোদ কমে গেলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
শরীরের কাছে ফ্যান রাখলেও দেহের তাপমাত্রা কমানো যায়।
৫. জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জানালার পর্দা টেনে রাখুন। ফলে ঘরের মধ্যে সরাসরি রোদ প্রবেশ করতে পারবে না ও ঘরের তাপমাত্রা সহজে বাড়াবে না।
৬. সুতি কাপড় ব্যবহার করুন
গরমের সময় সুতি কাপড়ে সবচেয়ে বেশি আরাম পাওয়া যায়। সুতি কাপড় পরার পাশাপাশি বিছানার চাদর ও বালিশের কভার হিসেবে হালকা রঙের সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এটি ঘুমের সময় শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
৭. ঘরে গাছ রাখুন
গাছ যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ নিজের খাদ্য তৈরির জন্য ঘরে জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। কম রোদে বাঁচে এমন ইনডোর গাছ লাগিয়ে ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমানো যায়।
৮. চুলা বন্ধ রাখুন
রান্নার কাজ দ্রুত শেষ করে চুলা বন্ধ করে রাখুন। এর মাধ্যমে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ হবে, তেমনি রান্নাঘরের তাপ অন্যান্য ঘরে প্রবেশ করবে না।
৯. অব্যবহৃত ঘরের দরজা বন্ধ রাখুন
যেসব ঘরে কোনো ভেন্টিলেটর নেই ও যেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে সেগুলোর দরজা বন্ধ করে রাখুন। তাহলে ঠান্ডা বাতাসগুলো সেসব ঘরে চলে যেতে পারবে না।
১০. বাথরুম ও রান্নাঘরে এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন
রান্নার সময় গরম বাতাস বের করে দিতে সাহায্য করে এগজস্ট ফ্যান। এছাড়া গোসলের পর গরম বাষ্পও বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই রান্না ও গোসলের সময় এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করলেও ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে।
১১. দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে রাখুন
খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে রাখুন। এর ফলে বিদ্যুৎসাশ্রয়ের পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রাও কিছুটা কম থাকবে।
১২. ঘরের বাইরে রান্না করুন
সম্ভব হলে ঘরের বাইরে বা উঠানে রান্না করুন। কারণ রান্নার সময় উৎপন্ন তাপমাত্রা রান্নাঘর ছাড়াও অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৩. ঠান্ডা খাবার খান
বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা ফল বা ফলের রস, আইসক্রিম খেতে পারেন। এর মাধ্যমে কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে মিষ্টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ চিনির রক্তে মিশে শরীরকে ভেতর থেকে গরম করতে পারে।
১৪. স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফের টুকরো রাখুন
টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি বা বরফের টুকরা রাখতে পারেন। এই পদ্ধতি ঘর শীতল রাখতে সাহায্য করবে। টেবিল ফ্যান না থাকলে সিলিং ফ্যানের ঠিক নিচে বরফ রাখলেও ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৪ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৫ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
৬ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
৬ ঘণ্টা আগে