সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ঈদ মানেই ঝলমলে নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে নেওয়া। ঈদুল ফিতরের আবহ বা প্রস্তুতি সাধারণত শুরু হয়ে যায় রমজানের প্রথম দিন থেকে। বিশেষ করে পরিবারের কে কেমন পোশাক পরবে তা নিয়েই ভাবনা–চিন্তা চলতে থাকে। তার ওপর বাড়িতে যদি থাকে নবদম্পতি তাহলে তো কেনাকাটার প্রস্তুতি লেগে যায় আরও জোরেশোরে।
গত বেশ কয়েক বছরে যুগলদের ম্যাচিং পোশাক পরার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। দূর থেকে দেখলেই বোঝা যায় দুজনের তরে দুজন। এককথায়, রং মিলিয়ে পোশাক পরতে এখন অনেক যুগলই ভালোবাসেন। দেখতেও ভালো লাগে। সঙ্গীর প্রতি আবেগ প্রদর্শনের একটি চমকপ্রদ উপায় হতে পারে ম্যাচিং পোশাক। সেটা হতে পারে শাড়ি–পাঞ্জাবি, কামিজ–পাঞ্জাবি, স্যুট-গাউন, একই রকম টি-শার্ট বা কন্ট্রাস্ট রঙের কাপড়ে তৈরি পোশাক। বিভিন্ন উপলক্ষ বা আয়োজনে আপনি ও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি মিলিয়ে পোশাক পরেন, তাহলে দেখতে যেমন ভালো লাগবে, আপনাদের নিজস্ব স্টাইলেও যোগ হবে আলাদা একটা মাত্রা। বাড়িতে থাকা নবদম্পতিকে ঈদের উপহার হিসেবেও দেওয়া যেতে পারে ম্যাচিং পোশাক।
ম্যাচিং করে পোশাক পরা মানেই যে দুজনকে একেবারে একই প্রিন্টের একই রঙের পোশাক পরতে হবে, তা নয়। বরং দুজনের পোশাকের রং ও প্যাটার্নের সর্বোত্তম সমন্বয় যেন থাকে সেটাই খুঁজে বের করা দরকার। যেমন নববধূর শাড়ির আঁচল বা জমিনের প্রিন্টের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি পরতে পারেন বর। কিংবা শাড়ির বেজ কালারের সঙ্গে মিলিয়েও পাঞ্জাবি হতে পারে।
প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের মতো রঙ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে যুগলদের জন্য ম্যাচিং সেট। প্রতিবারের মতো এবারও ফ্যাশন হাউসটি থিম ভিত্তিক কালেশনের দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। এবারের থিম ‘আল হামরা মসজিদ’, ‘টি’নালক উইভিং’ ও ‘ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ’।
আল হামরা মসজিদ স্পেনের কর্ডোবা শহরে অবস্থিত উমাইয়া খলিফাদের নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। ৭৮৪ সালে নির্মিত এই মসজিদটি ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর এক অসাধারণ নিদর্শন। এই মসজিদের অনন্য শিল্প শৈলী মণ্ডিত নকশা থেকে অনুপ্রাণিত রঙ বাংলাদেশের ঈদ পোশাকের নকশা।
টি’নালক উইভিং একটি ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প। এটি ফিলিপাইনের টি’বোলি জনগোষ্ঠীর সামাজিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীন এই শিল্প মাধ্যমে প্রাকৃতিক সুতোর ব্যবহারে সুন্দর নকশার টি’নালক শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক তৈরি হয়। এটি মূলত জ্যামিতিক নকশা ও নিপুণ কারুকাজের জন্য পরিচিত।
ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ভারতীয় কারিগরদের তৈরি রুপার শিল্পকর্ম। এটি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মোটিফ এবং ব্রিটিশ নকশার সমন্বয়ে তৈরি, যা রাজপরিবার ও ঔপনিবেশিক অভিজাতেরা ব্যবহার করতেন। এই ব্যবহার্য শিল্পকর্মে আছে সূক্ষ্ম খোদাই, জটিল নকশা এবং কারিগরদের সৃজনশীলতার ছাপ।
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘এই থিম নির্ভর আইডিয়ার সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতি, প্রকৃতি, আবহাওয়া, কাপড়ের আরাম, রং, বুনন এবং টেকসইয়ের দিকেও পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পোশাকের মূল্যও রাখা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে। আছে অনেক রকম অফার। আপনজনকে উপহার দিতে রয়েছে রঙ বাংলাদেশ ঈদি গিফট ভাউচার।’
যেভাবে ম্যাচিং করা যায়
রং কিংবা নকশা যেকোনো একটি বেছে নিয়ে পোশাক ম্যাচিং করা যায়।
একই রঙের গাঢ় ও হালকা শেড দিয়ে দুজনে ম্যাচিং পোশাক বানিয়ে পরতে পারেন। ঈদের সকালে ম্যাচিং করে এমন ক্যাজুয়াল পোশাক পরতে পারেন আপনি আর আপনার সঙ্গী।
প্রিন্ট মিলিয়ে পরা যেতে পারে। যেমন, কনের শাড়ির প্রিন্টের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবির ওপর কটি পরতে পারেন বর।
রাতের দাওয়াতে যাওয়ার সময় দুজনে বিপরীত রঙের কিন্তু একই ধাঁচের পোশাক পরে তারপর একই রকম জুতা পরতে পারেন।
পোশাক ছাড়াও ঘড়ি, জুতোর রং, সানগ্লাসও মিলিয়ে পরা যায়। তবে একজন ওয়েস্টার্ন আর একজন দেশীয় ঘরানার পোশাক না পরে দুজনই একই ঘরানার পোশাক পরলে বেশি ভালো লাগবে।
ঈদ মানেই ঝলমলে নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে নেওয়া। ঈদুল ফিতরের আবহ বা প্রস্তুতি সাধারণত শুরু হয়ে যায় রমজানের প্রথম দিন থেকে। বিশেষ করে পরিবারের কে কেমন পোশাক পরবে তা নিয়েই ভাবনা–চিন্তা চলতে থাকে। তার ওপর বাড়িতে যদি থাকে নবদম্পতি তাহলে তো কেনাকাটার প্রস্তুতি লেগে যায় আরও জোরেশোরে।
গত বেশ কয়েক বছরে যুগলদের ম্যাচিং পোশাক পরার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। দূর থেকে দেখলেই বোঝা যায় দুজনের তরে দুজন। এককথায়, রং মিলিয়ে পোশাক পরতে এখন অনেক যুগলই ভালোবাসেন। দেখতেও ভালো লাগে। সঙ্গীর প্রতি আবেগ প্রদর্শনের একটি চমকপ্রদ উপায় হতে পারে ম্যাচিং পোশাক। সেটা হতে পারে শাড়ি–পাঞ্জাবি, কামিজ–পাঞ্জাবি, স্যুট-গাউন, একই রকম টি-শার্ট বা কন্ট্রাস্ট রঙের কাপড়ে তৈরি পোশাক। বিভিন্ন উপলক্ষ বা আয়োজনে আপনি ও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি মিলিয়ে পোশাক পরেন, তাহলে দেখতে যেমন ভালো লাগবে, আপনাদের নিজস্ব স্টাইলেও যোগ হবে আলাদা একটা মাত্রা। বাড়িতে থাকা নবদম্পতিকে ঈদের উপহার হিসেবেও দেওয়া যেতে পারে ম্যাচিং পোশাক।
ম্যাচিং করে পোশাক পরা মানেই যে দুজনকে একেবারে একই প্রিন্টের একই রঙের পোশাক পরতে হবে, তা নয়। বরং দুজনের পোশাকের রং ও প্যাটার্নের সর্বোত্তম সমন্বয় যেন থাকে সেটাই খুঁজে বের করা দরকার। যেমন নববধূর শাড়ির আঁচল বা জমিনের প্রিন্টের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি পরতে পারেন বর। কিংবা শাড়ির বেজ কালারের সঙ্গে মিলিয়েও পাঞ্জাবি হতে পারে।
প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের মতো রঙ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে যুগলদের জন্য ম্যাচিং সেট। প্রতিবারের মতো এবারও ফ্যাশন হাউসটি থিম ভিত্তিক কালেশনের দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। এবারের থিম ‘আল হামরা মসজিদ’, ‘টি’নালক উইভিং’ ও ‘ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ’।
আল হামরা মসজিদ স্পেনের কর্ডোবা শহরে অবস্থিত উমাইয়া খলিফাদের নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। ৭৮৪ সালে নির্মিত এই মসজিদটি ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর এক অসাধারণ নিদর্শন। এই মসজিদের অনন্য শিল্প শৈলী মণ্ডিত নকশা থেকে অনুপ্রাণিত রঙ বাংলাদেশের ঈদ পোশাকের নকশা।
টি’নালক উইভিং একটি ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প। এটি ফিলিপাইনের টি’বোলি জনগোষ্ঠীর সামাজিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীন এই শিল্প মাধ্যমে প্রাকৃতিক সুতোর ব্যবহারে সুন্দর নকশার টি’নালক শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক তৈরি হয়। এটি মূলত জ্যামিতিক নকশা ও নিপুণ কারুকাজের জন্য পরিচিত।
ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ভারতীয় কারিগরদের তৈরি রুপার শিল্পকর্ম। এটি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মোটিফ এবং ব্রিটিশ নকশার সমন্বয়ে তৈরি, যা রাজপরিবার ও ঔপনিবেশিক অভিজাতেরা ব্যবহার করতেন। এই ব্যবহার্য শিল্পকর্মে আছে সূক্ষ্ম খোদাই, জটিল নকশা এবং কারিগরদের সৃজনশীলতার ছাপ।
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘এই থিম নির্ভর আইডিয়ার সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতি, প্রকৃতি, আবহাওয়া, কাপড়ের আরাম, রং, বুনন এবং টেকসইয়ের দিকেও পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পোশাকের মূল্যও রাখা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে। আছে অনেক রকম অফার। আপনজনকে উপহার দিতে রয়েছে রঙ বাংলাদেশ ঈদি গিফট ভাউচার।’
যেভাবে ম্যাচিং করা যায়
রং কিংবা নকশা যেকোনো একটি বেছে নিয়ে পোশাক ম্যাচিং করা যায়।
একই রঙের গাঢ় ও হালকা শেড দিয়ে দুজনে ম্যাচিং পোশাক বানিয়ে পরতে পারেন। ঈদের সকালে ম্যাচিং করে এমন ক্যাজুয়াল পোশাক পরতে পারেন আপনি আর আপনার সঙ্গী।
প্রিন্ট মিলিয়ে পরা যেতে পারে। যেমন, কনের শাড়ির প্রিন্টের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবির ওপর কটি পরতে পারেন বর।
রাতের দাওয়াতে যাওয়ার সময় দুজনে বিপরীত রঙের কিন্তু একই ধাঁচের পোশাক পরে তারপর একই রকম জুতা পরতে পারেন।
পোশাক ছাড়াও ঘড়ি, জুতোর রং, সানগ্লাসও মিলিয়ে পরা যায়। তবে একজন ওয়েস্টার্ন আর একজন দেশীয় ঘরানার পোশাক না পরে দুজনই একই ঘরানার পোশাক পরলে বেশি ভালো লাগবে।
কচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২১ ঘণ্টা আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগেতারুণ্যের পোশাক ডেনিম। একটা সময় মূলত পুরুষের পোশাক হয়ে থাকলেও এটি ক্রমেই ‘ইউনিসেক্স’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষনির্বিশেষে এখন ডেনিমের পোশাক পরে। আর সে জন্যই সম্ভবত ডেনিম দিয়ে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এসেছে। এখন প্যান্ট, জ্যাকেট, কটি ও শার্টের বাইরে বানানো হচ্ছে নানা ডিজাইনের স্কার্ট, ড্রেস, ব্লাউজ...
১ দিন আগেগরমকাল পুরুষদের জন্য কালস্বরূপ! হ্যাঁ, সত্য়ি বলছি। গরমে পুরুষেরা অনেক বেশিই ঘামেন। বলতে দ্বিধা নেই, অধিকাংশ পুরুষ স্রেফ সচেতনতার অভাবে গরমে অস্বস্তিতে ভোগেন। এখন আর সেই সময় নেই যে, এক কাপড়ে বেরিয়ে গিয়ে সেই রাতে বাড়ি ফিরবেন। গ্রীষ্মকালে সূর্যের দাপট এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।
১ দিন আগে