আনিকা জীনাত, ঢাকা
গানের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নাকি পেছনে ফিরি। মানে আপনি যদি ১৯৯০-এর দশকের গান শোনেন, তবে সেই ছোটবেলায় এ গান কখন, কোথায় শুনেছিলেন সেটাই মনে পড়ে। আবার চলতি বাসের জানালার কাছে বসে প্রকৃতিতে চোখ রেখে, গানের কথায় জীবনের মিল খুঁজে কল্পনায় ডুব দিলেও জগৎ-সংসার ভুলে থাকা যায়।
তবে আপনার জন্ম আজ থেকে ১৩০ বছর আগে হলে এই সুবিধা পেতেন না। তখন হেডফোনের ওজন ছিল ১০ পাউন্ড। এত ভারী একটা যন্ত্র মাথায় ও কানে লাগিয়ে আর যাই হোক, নস্টালজিয়ায় ডুব দেওয়া যায় না।
গানের তালে অনুভূতির নাড়াচাড়ার সুবিধা পেতে কম পথ পেরোতে হয়নি! হেডফোনের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ১৮৯০ সালের দিকে। টেলিফোন অপারেটররা এটা ব্যবহার করতেন। এর ওপরের অংশ দেখতে ছিল স্টেথেস্কোপের মতো। এর কয়েক বছরের মধ্যেই ইলেকট্রোফোন বাজারে আসে। সাবস্ক্রিপশন সেবার আওতায় গ্রাহকদের টেলিফোন অপারেটরদের কাছে ডায়াল করতে হতো। বছরে ৫ পাউন্ড দিয়ে লন্ডনের থিয়েটারগুলোর বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান শোনা যেত এর মাধ্যমে। এরপর ১৯১০ সালে এল হাতে তৈরি হেডফোন। দেখতে ছিল এখনকার হেডফোনের মতোই।
১৯৫০-এর দশকে স্টেরিও হেডফোনের আকার ছিল কিছুটা ছোট। রেডিও ও গান দুটোই চলত এতে। এরপর ১৯৭৯ সালে ওয়াকম্যান বাজারে এলে সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস। সনির তৈরি ওয়াকম্যানের ৪০ কোটি ইউনিট বিক্রি হলো। হাতে নিয়ে হাঁটা যেত বলেই ওয়াকম্যানের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছিল। ব্যাটারিচালিত হালকা ওজনের এই ক্যাসেট প্লেয়ারের শব্দ ছিল উন্নত মানের। মাইকেল জ্যাকসনের ‘অফ দ্য ওয়াল’ অ্যালবামটিও সে বছরই মুক্তি পায়। মাইকেল জ্যাকসনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ওয়াকম্যানেরও ভূমিকা ছিল বললে খুব বেশি ভুল হবে কি?
এক দশকের মধ্যেই কয়েকটি অ্যালবাম স্টোর করার সুবিধা এল এমপি থ্রি প্লেয়ারের মাধ্যমে। নব্বইয়ের দশকে রাজত্ব করা এমপি থ্রি প্লেয়ারের জৌলুশ শেষ করে দেয় অ্যাপলের আইপড। ২০০১ সালে বাজারে আসা আইপড খুব সহজেই পকেটে এঁটে যেত। প্লে লিস্টের গানগুলো সিলেক্ট করে ভিডিও গেমসও খেলা যেত।
২০১৬ সালে শুরু হলো ওয়্যারলেস ইয়ারবাডসের যুগ। ছোট্ট হেডফোনই পরিচিতি পেল ইয়ারবাডস নামে। কানে চেপে বসা ফোমে মোড়ানো ঢাউস আকারের হেডফোন থেকে মুক্তি মিলল সংগীতপ্রেমীদের। ডিজিটাল মিউজিকের যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা যখন-তখন যেকোনো গান শোনার সুবিধাও পেল।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপলের ইয়ারবাডস এল ইয়ারপডস নামে। ২০১৭ সালে ইয়ারপডসের ১ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট বিক্রি হয়। হেডফোনের এই ক্ষুদ্র সংস্করণ খুব দ্রুতই পকেটে জায়গা করে নিল। ফোনের সঙ্গে ব্লুটুথ ফিচারের মাধ্যমে ইয়ারবাডস কানেক্ট করলেই গান শোনা যায়। চার্জিং কেসে রাখলেই চার্জ হয়ে যায়। তবে চার্জিং কেস চার্জে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কেব্লে যুক্ত করে চার্জে দিতে হয় বলে ইয়ারবাডসকে আংশিক ওয়্যারলেসও বলা যেতে পারে।
ইয়ারবাডসের নয়েজ ক্যানসেলিং ফিচারের কারণে আশপাশের শব্দগুলো বাধা পায়। ভেতরে ঢুকতে পারে না। ফলে ভলিউম বাড়ানোরও প্রয়োজন হয় না। ফোন এলেও ইয়ারবাডস খোলার প্রয়োজন পড়ে না। ইয়ারবাডসে স্পর্শ করলে ফোন কল রিসিভ হয়ে যায়। ফোন কানে দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না।
তার নেই, তাই পেঁচিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। কয়েক বছর আগেও তারের জট খুলতে খুলতে রেডিওতে চলা পছন্দের গান শেষ হয়ে যেত। ইয়ারবাডসের সে ঝামেলা নেই। ফোন কোম্পানিগুলোও ইয়ারবাডসের কারণে হেডফোন লাগানোর পোর্টই বাদ দিচ্ছে। তাই ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক এখন অনেক ফোনেই আর দেখা যায় না।
কেনার আগে
ব্যবহারে সতর্কতা
ইয়ারবাডসের দাম
সনি, বস বা অ্যাপলের তৈরি ইয়ারবাডস কিনতে চাইলে খরচ করতে হবে ২৫০-৩০০ ডলার। নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধাসংবলিত ইয়ারবাডসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণ ব্র্যান্ডেরগুলো ১৫০ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যায়।
সূত্র: কুল ম্যাটেরিয়াল ও পিসিমাগ
গানের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নাকি পেছনে ফিরি। মানে আপনি যদি ১৯৯০-এর দশকের গান শোনেন, তবে সেই ছোটবেলায় এ গান কখন, কোথায় শুনেছিলেন সেটাই মনে পড়ে। আবার চলতি বাসের জানালার কাছে বসে প্রকৃতিতে চোখ রেখে, গানের কথায় জীবনের মিল খুঁজে কল্পনায় ডুব দিলেও জগৎ-সংসার ভুলে থাকা যায়।
তবে আপনার জন্ম আজ থেকে ১৩০ বছর আগে হলে এই সুবিধা পেতেন না। তখন হেডফোনের ওজন ছিল ১০ পাউন্ড। এত ভারী একটা যন্ত্র মাথায় ও কানে লাগিয়ে আর যাই হোক, নস্টালজিয়ায় ডুব দেওয়া যায় না।
গানের তালে অনুভূতির নাড়াচাড়ার সুবিধা পেতে কম পথ পেরোতে হয়নি! হেডফোনের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ১৮৯০ সালের দিকে। টেলিফোন অপারেটররা এটা ব্যবহার করতেন। এর ওপরের অংশ দেখতে ছিল স্টেথেস্কোপের মতো। এর কয়েক বছরের মধ্যেই ইলেকট্রোফোন বাজারে আসে। সাবস্ক্রিপশন সেবার আওতায় গ্রাহকদের টেলিফোন অপারেটরদের কাছে ডায়াল করতে হতো। বছরে ৫ পাউন্ড দিয়ে লন্ডনের থিয়েটারগুলোর বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান শোনা যেত এর মাধ্যমে। এরপর ১৯১০ সালে এল হাতে তৈরি হেডফোন। দেখতে ছিল এখনকার হেডফোনের মতোই।
১৯৫০-এর দশকে স্টেরিও হেডফোনের আকার ছিল কিছুটা ছোট। রেডিও ও গান দুটোই চলত এতে। এরপর ১৯৭৯ সালে ওয়াকম্যান বাজারে এলে সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস। সনির তৈরি ওয়াকম্যানের ৪০ কোটি ইউনিট বিক্রি হলো। হাতে নিয়ে হাঁটা যেত বলেই ওয়াকম্যানের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছিল। ব্যাটারিচালিত হালকা ওজনের এই ক্যাসেট প্লেয়ারের শব্দ ছিল উন্নত মানের। মাইকেল জ্যাকসনের ‘অফ দ্য ওয়াল’ অ্যালবামটিও সে বছরই মুক্তি পায়। মাইকেল জ্যাকসনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ওয়াকম্যানেরও ভূমিকা ছিল বললে খুব বেশি ভুল হবে কি?
এক দশকের মধ্যেই কয়েকটি অ্যালবাম স্টোর করার সুবিধা এল এমপি থ্রি প্লেয়ারের মাধ্যমে। নব্বইয়ের দশকে রাজত্ব করা এমপি থ্রি প্লেয়ারের জৌলুশ শেষ করে দেয় অ্যাপলের আইপড। ২০০১ সালে বাজারে আসা আইপড খুব সহজেই পকেটে এঁটে যেত। প্লে লিস্টের গানগুলো সিলেক্ট করে ভিডিও গেমসও খেলা যেত।
২০১৬ সালে শুরু হলো ওয়্যারলেস ইয়ারবাডসের যুগ। ছোট্ট হেডফোনই পরিচিতি পেল ইয়ারবাডস নামে। কানে চেপে বসা ফোমে মোড়ানো ঢাউস আকারের হেডফোন থেকে মুক্তি মিলল সংগীতপ্রেমীদের। ডিজিটাল মিউজিকের যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা যখন-তখন যেকোনো গান শোনার সুবিধাও পেল।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপলের ইয়ারবাডস এল ইয়ারপডস নামে। ২০১৭ সালে ইয়ারপডসের ১ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট বিক্রি হয়। হেডফোনের এই ক্ষুদ্র সংস্করণ খুব দ্রুতই পকেটে জায়গা করে নিল। ফোনের সঙ্গে ব্লুটুথ ফিচারের মাধ্যমে ইয়ারবাডস কানেক্ট করলেই গান শোনা যায়। চার্জিং কেসে রাখলেই চার্জ হয়ে যায়। তবে চার্জিং কেস চার্জে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কেব্লে যুক্ত করে চার্জে দিতে হয় বলে ইয়ারবাডসকে আংশিক ওয়্যারলেসও বলা যেতে পারে।
ইয়ারবাডসের নয়েজ ক্যানসেলিং ফিচারের কারণে আশপাশের শব্দগুলো বাধা পায়। ভেতরে ঢুকতে পারে না। ফলে ভলিউম বাড়ানোরও প্রয়োজন হয় না। ফোন এলেও ইয়ারবাডস খোলার প্রয়োজন পড়ে না। ইয়ারবাডসে স্পর্শ করলে ফোন কল রিসিভ হয়ে যায়। ফোন কানে দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না।
তার নেই, তাই পেঁচিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। কয়েক বছর আগেও তারের জট খুলতে খুলতে রেডিওতে চলা পছন্দের গান শেষ হয়ে যেত। ইয়ারবাডসের সে ঝামেলা নেই। ফোন কোম্পানিগুলোও ইয়ারবাডসের কারণে হেডফোন লাগানোর পোর্টই বাদ দিচ্ছে। তাই ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক এখন অনেক ফোনেই আর দেখা যায় না।
কেনার আগে
ব্যবহারে সতর্কতা
ইয়ারবাডসের দাম
সনি, বস বা অ্যাপলের তৈরি ইয়ারবাডস কিনতে চাইলে খরচ করতে হবে ২৫০-৩০০ ডলার। নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধাসংবলিত ইয়ারবাডসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণ ব্র্যান্ডেরগুলো ১৫০ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যায়।
সূত্র: কুল ম্যাটেরিয়াল ও পিসিমাগ
ভাদ্র মাস চলছে। ঝকঝকে নীল আকাশে শুভ্র মেঘ দেখে প্রাণ জুড়ালেও আবহাওয়া কিন্তু শুষ্ক ও গরম। একদিকে রোদে যেমন গা পুড়ছে, তেমনি ত্বকও হয়ে উঠছে শুষ্ক। কিছুদিন আগের তুলনায় পিপাসাও বেশি ঠাহর হচ্ছে। এই শরতে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। পর্যাপ্ত পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক ও নির্জীব হয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সুখী দেশগুলোর তালিকায় ডেনমার্ক টানা সাত বছর ধরে কখনো শীর্ষে, কখনো দু-এক পয়েন্ট হারিয়ে ওপরের দিকেই থাকছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর অন্যতম কারণ হলো দেশটির শিশুদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া। ডেনমার্কে শিশুদের শুধু গণিত, বিজ্ঞান বা ভাষা শেখানো হয় না; সঙ্গে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় সহমর্মিতা।
৫ ঘণ্টা আগে‘সফট স্কিল’ শব্দটি এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ ও গুরুত্ব অনেক সময় ধোঁয়াশার মধ্যে থেকে যায়। সফট স্কিল বলতে বোঝানো হয়, ব্যক্তিগত চরিত্র, সম্পর্ক ও মনোভাবের দক্ষতা, যা আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে সমানভাবে প্রয়োজনীয়।
১১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ জীবনের কথা উঠলে সাধারণত গ্রিসের ইকারিয়া, জাপানের ওকিনাওয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া কিংবা ইতালির সার্দিনিয়ার নাম শোনা যায়। এই জায়গাগুলোকে বলা হয় বিশ্বের ‘ব্লু জোন’। এসব জায়গার মানুষ অন্য যেকোনো জায়গার তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
১৩ ঘণ্টা আগে