সৌরভ নূর

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে।
ফেলুদার মতোই ছিল সত্যজিতের অসম্ভব পড়ার নেশা, আর সেই সঙ্গে বিচিত্র সব শখ। কথার ধাঁধা, শব্দের প্যাঁচ থেকে শুরু করে যেকোনো রকম পাজল সলভিংয়ে সত্যজিতের আগ্রহ ছিল শিশুদের মতো। বিশ্ব দরবারে সত্যজিতের হাত ধরে পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় সিনেমার। এসেছিল পৃথিবীজোড়া খ্যাতি। আকিরা কুরোসাওয়ার মতো চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ওঁর সিনেমা না দেখা হলো অনেকটা পৃথিবীতে থেকেও চাঁদ বা সূর্য না দেখার মতো ব্যপার।’ এ রকম মহীরুহ একজন ব্যক্তিত্ব, সানন্দে ট্রেনের কামরায় বসে ধাঁধা মেলাতে ভালোবাসতেন। টিনটিনের নতুন বই এলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ঠিক যেমন তাঁর ফেলুদার বই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত শিশু-কিশোরেরা।
এ তো গেল সত্যজিতের ভেতরে বাস করা শিশুর গল্প। আরও হাজার হাজার শিশুর প্রাণের খোরাকও তিনি জুগিয়েছেন তাঁর চলচ্চিত্রে, সম্পাদনা করা সন্দেশ পত্রিকায়, আর সাহিত্যের পরতে পরতে। প্রথমে তিনি ছোটদের জন্যে বানালেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’। দুই রাজা—ভালো রাজা, মন্দ রাজা। তাদের লড়াই হওয়ার কথা। কীভাবে গুপী, আর বাঘা নামের দুই সাদাসিধে সরল মানুষ ভূতের রাজার বরের সাহায্যে সে লড়াই থামিয়ে দেয়, সে গল্প এখন বলাটা বাতুলতা। তাঁর ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা এই গল্প মানুষের মুখে মুখে ফিরত বহুদিন ধরে। সত্যজিৎ একে বড় পর্দায় এনে তৈরি করলেন ইতিহাস। বাংলা চলচ্চিত্র পেল বিশ্বমানের ছোটদের সিনেমা।
এই সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্র `হীরক রাজার দেশে' সত্যজিতের নিজের লেখা। একটি অদ্ভুত স্বৈরাচারী রাজ্য হীরকরাজ্য। সেখানে একটু বেগরবাই করলেই মগজধোলাই করে দেন হীরকরাজ। কীভাবে গুপি–বাঘা সেই রাজ্যে গিয়ে পড়ে এবং একা লড়তে থাকা মাস্টারমশাইয়ের পাশে থেকে পতন ঘটায় হীরকের সবচেয়ে বড় শত্রুর, সেই কাহিনির বর্ণনায় সবার মুখের কথা দিলেন ছন্দে ছন্দে, কেবল মাস্টারমশাই ছাড়া। হয়তো তিনি বোঝাতে চাইলেন একমাত্র মাস্টারমশাই স্পষ্ট, মুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম ছিলেন। বাকিদের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল হীরকরাজার শাসনের আবর্তে। মুখে মুখে ফেরা মানুষের প্রবাদে এখনো সচল রয়েছে এই সিনেমার নানা সংলাপ। যেকোনো সময়েই এই চলচ্চিত্র প্রাসঙ্গিক। এ জন্যই সত্যজিৎকে জিনিয়াস বলা হয়।
এদিকে ফেলুদা কয়েক পুরুষ ধরে শিশুদের আইডল হয়ে আসছে এবং হয়ে থাকবে। গম্ভীর; অথচ রসকষহীন নন। আধুনিক, বিশ্বনাগরিক, কিন্তু যখন পুরোনো কলকাতা ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা উঠেছিল, ফেলুদা তখন রাস্তায় নেমে অনশন করা অবধি যেতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ ফেলুদার মধ্যে দিয়ে কিছু গভীর নৈতিকতার বোধ শিশুদের ভেতরে গ্রোথিত করতে চেয়েছিলেন। পরে যখন তিনি একে চলচ্চিত্রে রূপায়ণ করেন, ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্র সমস্ত জাতির মন জয় করে নেন। সে এক জাদুর ঘোর লাগা সময়!
সত্যজিতের ছোটদের সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে সব থেকে বড় খল চরিত্রটিকেও বেশ মজার একটি চরিত্র করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। হয়তো শিশুদের মনে ঘৃণার মতো তীব্র ধ্বংসাত্মক কোনো অনুভূতি জাগাতে চাননি তিনি। তাই সোনার কেল্লার নকল ডক্টর হাজরাই হোক বা তার সাগরেদ, কিংবা গুগাবাবার মন্দ রাজাই হোক—রাগের বদলে তাদের মধ্যে হাস্যরসই পাই আমরা; হয়তো কোথাও গিয়ে মায়াও লাগে। বড়দের চোখে তাকালেও এমনকি চমক লাগে। কারণ, সত্যজিৎ তাঁর এসব চলচ্চিত্রে খল চরিত্রগুলোকে খেলো করে তুলেছিলেন, যা একটি রাজনীতিও বটে। এখানেই হয়তো ভালো পরিচালক আর মহান পরিচালকের পার্থক্য। ঋষির চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখা ও তা দেখানোর জন্য সত্যজিতের মতো প্রতিভাই দরকার। আর তাঁরই ভাষায়, ‘প্রতিভা সর্বকালে, সর্বদেশে বিরল।’ সত্যজিৎ; নিঃসন্দেহে এক ও অদ্বিতীয়, যাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কী করার থাকে!

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে।
ফেলুদার মতোই ছিল সত্যজিতের অসম্ভব পড়ার নেশা, আর সেই সঙ্গে বিচিত্র সব শখ। কথার ধাঁধা, শব্দের প্যাঁচ থেকে শুরু করে যেকোনো রকম পাজল সলভিংয়ে সত্যজিতের আগ্রহ ছিল শিশুদের মতো। বিশ্ব দরবারে সত্যজিতের হাত ধরে পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় সিনেমার। এসেছিল পৃথিবীজোড়া খ্যাতি। আকিরা কুরোসাওয়ার মতো চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ওঁর সিনেমা না দেখা হলো অনেকটা পৃথিবীতে থেকেও চাঁদ বা সূর্য না দেখার মতো ব্যপার।’ এ রকম মহীরুহ একজন ব্যক্তিত্ব, সানন্দে ট্রেনের কামরায় বসে ধাঁধা মেলাতে ভালোবাসতেন। টিনটিনের নতুন বই এলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ঠিক যেমন তাঁর ফেলুদার বই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত শিশু-কিশোরেরা।
এ তো গেল সত্যজিতের ভেতরে বাস করা শিশুর গল্প। আরও হাজার হাজার শিশুর প্রাণের খোরাকও তিনি জুগিয়েছেন তাঁর চলচ্চিত্রে, সম্পাদনা করা সন্দেশ পত্রিকায়, আর সাহিত্যের পরতে পরতে। প্রথমে তিনি ছোটদের জন্যে বানালেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’। দুই রাজা—ভালো রাজা, মন্দ রাজা। তাদের লড়াই হওয়ার কথা। কীভাবে গুপী, আর বাঘা নামের দুই সাদাসিধে সরল মানুষ ভূতের রাজার বরের সাহায্যে সে লড়াই থামিয়ে দেয়, সে গল্প এখন বলাটা বাতুলতা। তাঁর ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা এই গল্প মানুষের মুখে মুখে ফিরত বহুদিন ধরে। সত্যজিৎ একে বড় পর্দায় এনে তৈরি করলেন ইতিহাস। বাংলা চলচ্চিত্র পেল বিশ্বমানের ছোটদের সিনেমা।
এই সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্র `হীরক রাজার দেশে' সত্যজিতের নিজের লেখা। একটি অদ্ভুত স্বৈরাচারী রাজ্য হীরকরাজ্য। সেখানে একটু বেগরবাই করলেই মগজধোলাই করে দেন হীরকরাজ। কীভাবে গুপি–বাঘা সেই রাজ্যে গিয়ে পড়ে এবং একা লড়তে থাকা মাস্টারমশাইয়ের পাশে থেকে পতন ঘটায় হীরকের সবচেয়ে বড় শত্রুর, সেই কাহিনির বর্ণনায় সবার মুখের কথা দিলেন ছন্দে ছন্দে, কেবল মাস্টারমশাই ছাড়া। হয়তো তিনি বোঝাতে চাইলেন একমাত্র মাস্টারমশাই স্পষ্ট, মুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম ছিলেন। বাকিদের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল হীরকরাজার শাসনের আবর্তে। মুখে মুখে ফেরা মানুষের প্রবাদে এখনো সচল রয়েছে এই সিনেমার নানা সংলাপ। যেকোনো সময়েই এই চলচ্চিত্র প্রাসঙ্গিক। এ জন্যই সত্যজিৎকে জিনিয়াস বলা হয়।
এদিকে ফেলুদা কয়েক পুরুষ ধরে শিশুদের আইডল হয়ে আসছে এবং হয়ে থাকবে। গম্ভীর; অথচ রসকষহীন নন। আধুনিক, বিশ্বনাগরিক, কিন্তু যখন পুরোনো কলকাতা ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা উঠেছিল, ফেলুদা তখন রাস্তায় নেমে অনশন করা অবধি যেতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ ফেলুদার মধ্যে দিয়ে কিছু গভীর নৈতিকতার বোধ শিশুদের ভেতরে গ্রোথিত করতে চেয়েছিলেন। পরে যখন তিনি একে চলচ্চিত্রে রূপায়ণ করেন, ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্র সমস্ত জাতির মন জয় করে নেন। সে এক জাদুর ঘোর লাগা সময়!
সত্যজিতের ছোটদের সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে সব থেকে বড় খল চরিত্রটিকেও বেশ মজার একটি চরিত্র করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। হয়তো শিশুদের মনে ঘৃণার মতো তীব্র ধ্বংসাত্মক কোনো অনুভূতি জাগাতে চাননি তিনি। তাই সোনার কেল্লার নকল ডক্টর হাজরাই হোক বা তার সাগরেদ, কিংবা গুগাবাবার মন্দ রাজাই হোক—রাগের বদলে তাদের মধ্যে হাস্যরসই পাই আমরা; হয়তো কোথাও গিয়ে মায়াও লাগে। বড়দের চোখে তাকালেও এমনকি চমক লাগে। কারণ, সত্যজিৎ তাঁর এসব চলচ্চিত্রে খল চরিত্রগুলোকে খেলো করে তুলেছিলেন, যা একটি রাজনীতিও বটে। এখানেই হয়তো ভালো পরিচালক আর মহান পরিচালকের পার্থক্য। ঋষির চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখা ও তা দেখানোর জন্য সত্যজিতের মতো প্রতিভাই দরকার। আর তাঁরই ভাষায়, ‘প্রতিভা সর্বকালে, সর্বদেশে বিরল।’ সত্যজিৎ; নিঃসন্দেহে এক ও অদ্বিতীয়, যাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কী করার থাকে!
সৌরভ নূর

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে।
ফেলুদার মতোই ছিল সত্যজিতের অসম্ভব পড়ার নেশা, আর সেই সঙ্গে বিচিত্র সব শখ। কথার ধাঁধা, শব্দের প্যাঁচ থেকে শুরু করে যেকোনো রকম পাজল সলভিংয়ে সত্যজিতের আগ্রহ ছিল শিশুদের মতো। বিশ্ব দরবারে সত্যজিতের হাত ধরে পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় সিনেমার। এসেছিল পৃথিবীজোড়া খ্যাতি। আকিরা কুরোসাওয়ার মতো চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ওঁর সিনেমা না দেখা হলো অনেকটা পৃথিবীতে থেকেও চাঁদ বা সূর্য না দেখার মতো ব্যপার।’ এ রকম মহীরুহ একজন ব্যক্তিত্ব, সানন্দে ট্রেনের কামরায় বসে ধাঁধা মেলাতে ভালোবাসতেন। টিনটিনের নতুন বই এলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ঠিক যেমন তাঁর ফেলুদার বই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত শিশু-কিশোরেরা।
এ তো গেল সত্যজিতের ভেতরে বাস করা শিশুর গল্প। আরও হাজার হাজার শিশুর প্রাণের খোরাকও তিনি জুগিয়েছেন তাঁর চলচ্চিত্রে, সম্পাদনা করা সন্দেশ পত্রিকায়, আর সাহিত্যের পরতে পরতে। প্রথমে তিনি ছোটদের জন্যে বানালেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’। দুই রাজা—ভালো রাজা, মন্দ রাজা। তাদের লড়াই হওয়ার কথা। কীভাবে গুপী, আর বাঘা নামের দুই সাদাসিধে সরল মানুষ ভূতের রাজার বরের সাহায্যে সে লড়াই থামিয়ে দেয়, সে গল্প এখন বলাটা বাতুলতা। তাঁর ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা এই গল্প মানুষের মুখে মুখে ফিরত বহুদিন ধরে। সত্যজিৎ একে বড় পর্দায় এনে তৈরি করলেন ইতিহাস। বাংলা চলচ্চিত্র পেল বিশ্বমানের ছোটদের সিনেমা।
এই সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্র `হীরক রাজার দেশে' সত্যজিতের নিজের লেখা। একটি অদ্ভুত স্বৈরাচারী রাজ্য হীরকরাজ্য। সেখানে একটু বেগরবাই করলেই মগজধোলাই করে দেন হীরকরাজ। কীভাবে গুপি–বাঘা সেই রাজ্যে গিয়ে পড়ে এবং একা লড়তে থাকা মাস্টারমশাইয়ের পাশে থেকে পতন ঘটায় হীরকের সবচেয়ে বড় শত্রুর, সেই কাহিনির বর্ণনায় সবার মুখের কথা দিলেন ছন্দে ছন্দে, কেবল মাস্টারমশাই ছাড়া। হয়তো তিনি বোঝাতে চাইলেন একমাত্র মাস্টারমশাই স্পষ্ট, মুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম ছিলেন। বাকিদের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল হীরকরাজার শাসনের আবর্তে। মুখে মুখে ফেরা মানুষের প্রবাদে এখনো সচল রয়েছে এই সিনেমার নানা সংলাপ। যেকোনো সময়েই এই চলচ্চিত্র প্রাসঙ্গিক। এ জন্যই সত্যজিৎকে জিনিয়াস বলা হয়।
এদিকে ফেলুদা কয়েক পুরুষ ধরে শিশুদের আইডল হয়ে আসছে এবং হয়ে থাকবে। গম্ভীর; অথচ রসকষহীন নন। আধুনিক, বিশ্বনাগরিক, কিন্তু যখন পুরোনো কলকাতা ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা উঠেছিল, ফেলুদা তখন রাস্তায় নেমে অনশন করা অবধি যেতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ ফেলুদার মধ্যে দিয়ে কিছু গভীর নৈতিকতার বোধ শিশুদের ভেতরে গ্রোথিত করতে চেয়েছিলেন। পরে যখন তিনি একে চলচ্চিত্রে রূপায়ণ করেন, ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্র সমস্ত জাতির মন জয় করে নেন। সে এক জাদুর ঘোর লাগা সময়!
সত্যজিতের ছোটদের সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে সব থেকে বড় খল চরিত্রটিকেও বেশ মজার একটি চরিত্র করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। হয়তো শিশুদের মনে ঘৃণার মতো তীব্র ধ্বংসাত্মক কোনো অনুভূতি জাগাতে চাননি তিনি। তাই সোনার কেল্লার নকল ডক্টর হাজরাই হোক বা তার সাগরেদ, কিংবা গুগাবাবার মন্দ রাজাই হোক—রাগের বদলে তাদের মধ্যে হাস্যরসই পাই আমরা; হয়তো কোথাও গিয়ে মায়াও লাগে। বড়দের চোখে তাকালেও এমনকি চমক লাগে। কারণ, সত্যজিৎ তাঁর এসব চলচ্চিত্রে খল চরিত্রগুলোকে খেলো করে তুলেছিলেন, যা একটি রাজনীতিও বটে। এখানেই হয়তো ভালো পরিচালক আর মহান পরিচালকের পার্থক্য। ঋষির চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখা ও তা দেখানোর জন্য সত্যজিতের মতো প্রতিভাই দরকার। আর তাঁরই ভাষায়, ‘প্রতিভা সর্বকালে, সর্বদেশে বিরল।’ সত্যজিৎ; নিঃসন্দেহে এক ও অদ্বিতীয়, যাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কী করার থাকে!

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে।
ফেলুদার মতোই ছিল সত্যজিতের অসম্ভব পড়ার নেশা, আর সেই সঙ্গে বিচিত্র সব শখ। কথার ধাঁধা, শব্দের প্যাঁচ থেকে শুরু করে যেকোনো রকম পাজল সলভিংয়ে সত্যজিতের আগ্রহ ছিল শিশুদের মতো। বিশ্ব দরবারে সত্যজিতের হাত ধরে পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় সিনেমার। এসেছিল পৃথিবীজোড়া খ্যাতি। আকিরা কুরোসাওয়ার মতো চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ওঁর সিনেমা না দেখা হলো অনেকটা পৃথিবীতে থেকেও চাঁদ বা সূর্য না দেখার মতো ব্যপার।’ এ রকম মহীরুহ একজন ব্যক্তিত্ব, সানন্দে ট্রেনের কামরায় বসে ধাঁধা মেলাতে ভালোবাসতেন। টিনটিনের নতুন বই এলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ঠিক যেমন তাঁর ফেলুদার বই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত শিশু-কিশোরেরা।
এ তো গেল সত্যজিতের ভেতরে বাস করা শিশুর গল্প। আরও হাজার হাজার শিশুর প্রাণের খোরাকও তিনি জুগিয়েছেন তাঁর চলচ্চিত্রে, সম্পাদনা করা সন্দেশ পত্রিকায়, আর সাহিত্যের পরতে পরতে। প্রথমে তিনি ছোটদের জন্যে বানালেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’। দুই রাজা—ভালো রাজা, মন্দ রাজা। তাদের লড়াই হওয়ার কথা। কীভাবে গুপী, আর বাঘা নামের দুই সাদাসিধে সরল মানুষ ভূতের রাজার বরের সাহায্যে সে লড়াই থামিয়ে দেয়, সে গল্প এখন বলাটা বাতুলতা। তাঁর ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা এই গল্প মানুষের মুখে মুখে ফিরত বহুদিন ধরে। সত্যজিৎ একে বড় পর্দায় এনে তৈরি করলেন ইতিহাস। বাংলা চলচ্চিত্র পেল বিশ্বমানের ছোটদের সিনেমা।
এই সিরিজের পরবর্তী চলচ্চিত্র `হীরক রাজার দেশে' সত্যজিতের নিজের লেখা। একটি অদ্ভুত স্বৈরাচারী রাজ্য হীরকরাজ্য। সেখানে একটু বেগরবাই করলেই মগজধোলাই করে দেন হীরকরাজ। কীভাবে গুপি–বাঘা সেই রাজ্যে গিয়ে পড়ে এবং একা লড়তে থাকা মাস্টারমশাইয়ের পাশে থেকে পতন ঘটায় হীরকের সবচেয়ে বড় শত্রুর, সেই কাহিনির বর্ণনায় সবার মুখের কথা দিলেন ছন্দে ছন্দে, কেবল মাস্টারমশাই ছাড়া। হয়তো তিনি বোঝাতে চাইলেন একমাত্র মাস্টারমশাই স্পষ্ট, মুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম ছিলেন। বাকিদের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল হীরকরাজার শাসনের আবর্তে। মুখে মুখে ফেরা মানুষের প্রবাদে এখনো সচল রয়েছে এই সিনেমার নানা সংলাপ। যেকোনো সময়েই এই চলচ্চিত্র প্রাসঙ্গিক। এ জন্যই সত্যজিৎকে জিনিয়াস বলা হয়।
এদিকে ফেলুদা কয়েক পুরুষ ধরে শিশুদের আইডল হয়ে আসছে এবং হয়ে থাকবে। গম্ভীর; অথচ রসকষহীন নন। আধুনিক, বিশ্বনাগরিক, কিন্তু যখন পুরোনো কলকাতা ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা উঠেছিল, ফেলুদা তখন রাস্তায় নেমে অনশন করা অবধি যেতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ ফেলুদার মধ্যে দিয়ে কিছু গভীর নৈতিকতার বোধ শিশুদের ভেতরে গ্রোথিত করতে চেয়েছিলেন। পরে যখন তিনি একে চলচ্চিত্রে রূপায়ণ করেন, ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্র সমস্ত জাতির মন জয় করে নেন। সে এক জাদুর ঘোর লাগা সময়!
সত্যজিতের ছোটদের সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে সব থেকে বড় খল চরিত্রটিকেও বেশ মজার একটি চরিত্র করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। হয়তো শিশুদের মনে ঘৃণার মতো তীব্র ধ্বংসাত্মক কোনো অনুভূতি জাগাতে চাননি তিনি। তাই সোনার কেল্লার নকল ডক্টর হাজরাই হোক বা তার সাগরেদ, কিংবা গুগাবাবার মন্দ রাজাই হোক—রাগের বদলে তাদের মধ্যে হাস্যরসই পাই আমরা; হয়তো কোথাও গিয়ে মায়াও লাগে। বড়দের চোখে তাকালেও এমনকি চমক লাগে। কারণ, সত্যজিৎ তাঁর এসব চলচ্চিত্রে খল চরিত্রগুলোকে খেলো করে তুলেছিলেন, যা একটি রাজনীতিও বটে। এখানেই হয়তো ভালো পরিচালক আর মহান পরিচালকের পার্থক্য। ঋষির চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখা ও তা দেখানোর জন্য সত্যজিতের মতো প্রতিভাই দরকার। আর তাঁরই ভাষায়, ‘প্রতিভা সর্বকালে, সর্বদেশে বিরল।’ সত্যজিৎ; নিঃসন্দেহে এক ও অদ্বিতীয়, যাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কী করার থাকে!

আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
১ ঘণ্টা আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে। হার্টের রোগীরা কফি এড়িয়ে চলুন—কারণ রক্তচাপ আজ এমনিতেই যথেষ্ট হাই থাকবে! সকালেই পারিবারিক কাজে হঠাৎ ভ্রমণ হতে পারে। মনে রাখবেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাড়ির লোক সঙ্গে থাকবেই। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা চ্যাটবট দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। সোজাসাপটা কথা বলুন, তবে ঝগড়া নয়, হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে।
বৃষ
আপনার ভেতরের অলস ব্যক্তিটি আজ ছুটি নিয়েছে! শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে খেলাধুলায় মনোযোগ দিন। হ্যাঁ, কসরত করুন, তবে জিমে গিয়ে যেন ভুল করেও ডাম্বেল তুলতে গিয়ে কাত না হয়ে যান! সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য আজ হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। এটাই স্থিতিশীলতা আনবে। আজ নতুন কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নিতে পারেন। সাহস করুন, কিন্তু সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না! আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ দারুণ তুখোড়, কিন্তু অফিস পলিটিকস থেকে দূরে থাকুন। আপনার মতো শান্ত মানুষ সহজে টার্গেট হয় না।
মিথুন
আজ আপনার মন আর মস্তিষ্ক—দুটোই নিজেদের মধ্যে কফি ব্রেক নিয়েছে, ফলে আবেগ ও চিন্তার মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে কর্মক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা আজ সক্রিয়। কে আপনার টেবিলের নিচে চুইংগাম লাগানোর চেষ্টা করছে, তা খুঁজে বের করতে তৃতীয় চোখটি কাজে লাগান। দিনের শেষে হয়তো সামান্য আঘাত পেতে পারেন। ভয়ের কিছু নেই, হয়তো দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যাবে! জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া মানেই ডিশ ওয়াশার বাথরুমের মধ্যে ছুড়ে মারা নয়। ঋণ দেওয়া বা নেওয়া থেকে আজ বিরত থাকুন—টাকা ধার দিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।
কর্কট
আজ মন ‘ভালো জিনিস’-এর প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হবে। হয়তো মেডিটেশন করবেন বা বিশ্বশান্তি নিয়ে ভাববেন। সংবেদনশীলতা আজ আপনার সেরা অস্ত্র। এই সুযোগে পার্টনারের পুরোনো জমে থাকা অভিমানগুলো গলাতে চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি লাভজনক, কিন্তু কোনো ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে আজ ঋণ দেবেন না। কারণ সেই টাকা ফিরে আসার সম্ভাবনা সেই সিনেমার সিক্যুয়েলের মতো, যা কেউ দেখতে চায় না। চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু খরচ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেল-ঝাল থেকে দূরে থাকুন।
সিংহ
যারা অসুস্থ ছিলেন, তারা আজ সুস্থতার দিকে এক ধাপ এগোবেন। আপনার লক্ষ্য আজ প্রায় হাতের মুঠোয়, কিন্তু মাঝপথে কোনো এক ঝলমলে জিনিস দেখে যেন পথ না হারান! সেটি হবে হয়তো কোনো বন্ধুর নতুন জুতা বা একটি নতুন স্মার্টফোন! সন্তানের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে—হতে পারে তারা ভিডিও গেমসে কম সময় দিচ্ছে। গাড়ি চালকেরা সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে যদি গাড়ির সিটে আজ আপনার রাজকীয় মেজাজ থাকে। সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মানেই শুধু সিংহাসনে বসা নয়, মাঝে মাঝে ঝাড়ুদার হওয়াও জরুরি!
কন্যা
চাপের কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাপ কমানোর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আজ নিজেই নিজের ব্যবসার কর্মচারী হয়ে উঠবেন! কর্মচারীর সাহায্য পেলেও দিনভর খাটনি থাকবে। স্ব-উপার্জিত অর্থে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। বিরোধীদের সঙ্গে মৌখিক বোঝাপড়ায় লাভবান হবেন, কারণ আজ আপনার যুক্তি তলোয়ারের মতো ধারালো। তবে গুরুজনের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলুন, তারা আপনার যুক্তি শুনবেন না, শুধু বলবেন ‘আমরা তোমার চেয়ে বেশি দেখেছি’!
তুলা
আজ সবকিছুই ‘ভারসাম্যে’ থাকবে। আপনার প্রেম এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো নতুন গভীরতা পাবে। পুরোনো সব মতপার্থক্য আজ এমনভাবে দূর হবে, যেন সেগুলো কোনো দিন ছিলই না! জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। ডায়েট মেনু আজ স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, বাদাম ও প্রোটিন শেক দিয়ে পূর্ণ হওয়া উচিত। যদি আজ ডায়েটে পিৎজা ঢোকে, তবে সেটাকে ‘প্রোটিন শেক’ হিসেবে চালিয়ে দিন! পেশাদাররা আজ অন্যদের থেকে ভালো পারফর্ম করবেন। অফিসে প্রভাব বাড়বে।
বৃশ্চিক
উত্তেজনা আর টেনশন থেকে আজ মুক্তি পাবেন—যেন দীর্ঘদিনের একটা জটিল রহস্য সমাধান হলো। আজ করা বিনিয়োগ আপনাকে সমৃদ্ধি এনে দেবে। তাই বুঝে শুনে বিনিয়োগ করুন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। আজ বিছানা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে, কিন্তু সেই টান অগ্রাহ্য করে কাজে নামতে হবে! বাড়িতে খরচের বিষয়ে আলোচনা হলে একদম চুপ করে থাকুন। মতামত দিতে গেলেই বিপদ, কারণ আলোচনার শেষে সব দোষ আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে!
ধনু
সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক হলো হাসি। আজ হাসুন! দেখবেন গ্রহের অশুভ দৃষ্টিও পালিয়ে গেছে। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু বুঝে খরচ করুন। যদি কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে আজ অনলাইন শপিং-এ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, তাহলে জ্যোতিষীকে দোষ দিতে পারবেন না। যারা শুধু হতাশা ছড়ায়, সেই ধরনের বন্ধুদের আজ এড়িয়ে চলুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকবে। আজ কাউকে দেখে হয়তো বিনিয়োগের কথা মনে আসবে—তবে সেটা প্রেমের বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের নয়।
মকর
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে সম্পর্কের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মতো। তাই মনকে বলুন, ‘আজ আমি হাসিখুশি, আজ আমার মন খারাপ নেই!’ প্রতিযোগিতামূলক কাজে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে সাহায্য করবে। স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ভাগ করে নিন। দেখবেন, বোঝা অর্ধেক হয়ে গেছে, আর তার ওপর আরও দ্বিগুণ চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া গেছে! স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিভোজন আপনার জন্য শুভ নয়।
কুম্ভ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আপনার আস্থা বাড়বে। পেশাদারদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন—যেন আপনার সব প্রজেক্টে আজ সবাই ‘হ্যাঁ’ বলছে। হতাশা আজ আপনার স্বাস্থ্যের সর্বনাশ করতে পারে। তাই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে আফসোস করা বন্ধ করুন—ওগুলো এখন ইতিহাসের অংশ! গোপন তথ্যগুলো আজ কারও কাছে ফাঁস করবেন না। আর মিষ্টি কথায় আজ কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ হাসিল করে নিন। মিষ্টি কথা আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আজ বসকে এমন মিষ্টি করে কথা বলুন যেন তিনি বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন!
মীন
আজ বিশ্রাম আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ—কারণ সম্প্রতি নিজেকে একটু বেশিই খাটিয়েছেন। সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। তাই রাস্তায় কোনো দুঃখী মানুষ দেখলে তার কষ্ট আপনার গায়েও লাগতে পারে। কর্মজীবনের সব সমস্যা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধান করুন। যদি মনে হয় আপনি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, তবে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন—ঘুমের মধ্যেই সমাধান এসে যেতে পারে। মীন রাশির নারীরা পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বৈবাহিক জীবনেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচতে মেডিটেশন করুন, অথবা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মজা করে সময় কাটান।

মেষ
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে। হার্টের রোগীরা কফি এড়িয়ে চলুন—কারণ রক্তচাপ আজ এমনিতেই যথেষ্ট হাই থাকবে! সকালেই পারিবারিক কাজে হঠাৎ ভ্রমণ হতে পারে। মনে রাখবেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাড়ির লোক সঙ্গে থাকবেই। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা চ্যাটবট দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। সোজাসাপটা কথা বলুন, তবে ঝগড়া নয়, হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে।
বৃষ
আপনার ভেতরের অলস ব্যক্তিটি আজ ছুটি নিয়েছে! শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে খেলাধুলায় মনোযোগ দিন। হ্যাঁ, কসরত করুন, তবে জিমে গিয়ে যেন ভুল করেও ডাম্বেল তুলতে গিয়ে কাত না হয়ে যান! সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য আজ হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। এটাই স্থিতিশীলতা আনবে। আজ নতুন কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নিতে পারেন। সাহস করুন, কিন্তু সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না! আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ দারুণ তুখোড়, কিন্তু অফিস পলিটিকস থেকে দূরে থাকুন। আপনার মতো শান্ত মানুষ সহজে টার্গেট হয় না।
মিথুন
আজ আপনার মন আর মস্তিষ্ক—দুটোই নিজেদের মধ্যে কফি ব্রেক নিয়েছে, ফলে আবেগ ও চিন্তার মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে কর্মক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা আজ সক্রিয়। কে আপনার টেবিলের নিচে চুইংগাম লাগানোর চেষ্টা করছে, তা খুঁজে বের করতে তৃতীয় চোখটি কাজে লাগান। দিনের শেষে হয়তো সামান্য আঘাত পেতে পারেন। ভয়ের কিছু নেই, হয়তো দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যাবে! জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া মানেই ডিশ ওয়াশার বাথরুমের মধ্যে ছুড়ে মারা নয়। ঋণ দেওয়া বা নেওয়া থেকে আজ বিরত থাকুন—টাকা ধার দিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।
কর্কট
আজ মন ‘ভালো জিনিস’-এর প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হবে। হয়তো মেডিটেশন করবেন বা বিশ্বশান্তি নিয়ে ভাববেন। সংবেদনশীলতা আজ আপনার সেরা অস্ত্র। এই সুযোগে পার্টনারের পুরোনো জমে থাকা অভিমানগুলো গলাতে চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি লাভজনক, কিন্তু কোনো ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে আজ ঋণ দেবেন না। কারণ সেই টাকা ফিরে আসার সম্ভাবনা সেই সিনেমার সিক্যুয়েলের মতো, যা কেউ দেখতে চায় না। চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু খরচ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেল-ঝাল থেকে দূরে থাকুন।
সিংহ
যারা অসুস্থ ছিলেন, তারা আজ সুস্থতার দিকে এক ধাপ এগোবেন। আপনার লক্ষ্য আজ প্রায় হাতের মুঠোয়, কিন্তু মাঝপথে কোনো এক ঝলমলে জিনিস দেখে যেন পথ না হারান! সেটি হবে হয়তো কোনো বন্ধুর নতুন জুতা বা একটি নতুন স্মার্টফোন! সন্তানের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে—হতে পারে তারা ভিডিও গেমসে কম সময় দিচ্ছে। গাড়ি চালকেরা সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে যদি গাড়ির সিটে আজ আপনার রাজকীয় মেজাজ থাকে। সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মানেই শুধু সিংহাসনে বসা নয়, মাঝে মাঝে ঝাড়ুদার হওয়াও জরুরি!
কন্যা
চাপের কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাপ কমানোর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আজ নিজেই নিজের ব্যবসার কর্মচারী হয়ে উঠবেন! কর্মচারীর সাহায্য পেলেও দিনভর খাটনি থাকবে। স্ব-উপার্জিত অর্থে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। বিরোধীদের সঙ্গে মৌখিক বোঝাপড়ায় লাভবান হবেন, কারণ আজ আপনার যুক্তি তলোয়ারের মতো ধারালো। তবে গুরুজনের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলুন, তারা আপনার যুক্তি শুনবেন না, শুধু বলবেন ‘আমরা তোমার চেয়ে বেশি দেখেছি’!
তুলা
আজ সবকিছুই ‘ভারসাম্যে’ থাকবে। আপনার প্রেম এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো নতুন গভীরতা পাবে। পুরোনো সব মতপার্থক্য আজ এমনভাবে দূর হবে, যেন সেগুলো কোনো দিন ছিলই না! জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। ডায়েট মেনু আজ স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, বাদাম ও প্রোটিন শেক দিয়ে পূর্ণ হওয়া উচিত। যদি আজ ডায়েটে পিৎজা ঢোকে, তবে সেটাকে ‘প্রোটিন শেক’ হিসেবে চালিয়ে দিন! পেশাদাররা আজ অন্যদের থেকে ভালো পারফর্ম করবেন। অফিসে প্রভাব বাড়বে।
বৃশ্চিক
উত্তেজনা আর টেনশন থেকে আজ মুক্তি পাবেন—যেন দীর্ঘদিনের একটা জটিল রহস্য সমাধান হলো। আজ করা বিনিয়োগ আপনাকে সমৃদ্ধি এনে দেবে। তাই বুঝে শুনে বিনিয়োগ করুন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। আজ বিছানা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে, কিন্তু সেই টান অগ্রাহ্য করে কাজে নামতে হবে! বাড়িতে খরচের বিষয়ে আলোচনা হলে একদম চুপ করে থাকুন। মতামত দিতে গেলেই বিপদ, কারণ আলোচনার শেষে সব দোষ আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে!
ধনু
সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক হলো হাসি। আজ হাসুন! দেখবেন গ্রহের অশুভ দৃষ্টিও পালিয়ে গেছে। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু বুঝে খরচ করুন। যদি কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে আজ অনলাইন শপিং-এ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, তাহলে জ্যোতিষীকে দোষ দিতে পারবেন না। যারা শুধু হতাশা ছড়ায়, সেই ধরনের বন্ধুদের আজ এড়িয়ে চলুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকবে। আজ কাউকে দেখে হয়তো বিনিয়োগের কথা মনে আসবে—তবে সেটা প্রেমের বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের নয়।
মকর
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে সম্পর্কের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মতো। তাই মনকে বলুন, ‘আজ আমি হাসিখুশি, আজ আমার মন খারাপ নেই!’ প্রতিযোগিতামূলক কাজে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে সাহায্য করবে। স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ভাগ করে নিন। দেখবেন, বোঝা অর্ধেক হয়ে গেছে, আর তার ওপর আরও দ্বিগুণ চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া গেছে! স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিভোজন আপনার জন্য শুভ নয়।
কুম্ভ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আপনার আস্থা বাড়বে। পেশাদারদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন—যেন আপনার সব প্রজেক্টে আজ সবাই ‘হ্যাঁ’ বলছে। হতাশা আজ আপনার স্বাস্থ্যের সর্বনাশ করতে পারে। তাই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে আফসোস করা বন্ধ করুন—ওগুলো এখন ইতিহাসের অংশ! গোপন তথ্যগুলো আজ কারও কাছে ফাঁস করবেন না। আর মিষ্টি কথায় আজ কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ হাসিল করে নিন। মিষ্টি কথা আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আজ বসকে এমন মিষ্টি করে কথা বলুন যেন তিনি বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন!
মীন
আজ বিশ্রাম আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ—কারণ সম্প্রতি নিজেকে একটু বেশিই খাটিয়েছেন। সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। তাই রাস্তায় কোনো দুঃখী মানুষ দেখলে তার কষ্ট আপনার গায়েও লাগতে পারে। কর্মজীবনের সব সমস্যা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধান করুন। যদি মনে হয় আপনি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, তবে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন—ঘুমের মধ্যেই সমাধান এসে যেতে পারে। মীন রাশির নারীরা পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বৈবাহিক জীবনেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচতে মেডিটেশন করুন, অথবা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মজা করে সময় কাটান।

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে
০২ মে ২০২১
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
১ ঘণ্টা আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে
০২ মে ২০২১
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।
পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—
১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া
২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা
৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)
৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব
৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা
৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি
এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।
পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।
তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।
এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।
এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।
‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ
অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)
সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।
হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।
জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।
এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।
এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।
যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।
যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।
পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।
সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।
পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—
১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া
২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা
৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)
৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব
৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা
৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি
এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।
পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।
তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।
এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।
এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।
‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ
অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)
সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।
হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।
জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।
এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।
এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।
যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।
যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।
পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।
সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে
০২ মে ২০২১
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
১ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৯ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না। যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি করে তুলতে চান এবং ঠোঁটের নমনীয়তা ফিরে পেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়েও তা সম্ভব।
বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করে তোলা যায়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, তাহলে কিছুদিনের মধ্য়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি।
যেসব প্রাকৃতিক উপাদান গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য় করবে
টমেটো
টমেটোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আপনার ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করবে। প্রতিদিন এটি সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। যাঁরা রোজ বাইরে বের হন বা যাঁদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাঁরা টমেটোবাটা ঠোঁটে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
নারকেল ও ডাবের পানি
সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিনের কোনো একটি খাবারে নারকেল যোগ করুন। এতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কোমল থাকবে। এ ছাড়াও মুখ ও ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
আখরোট
আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এসব খাবার খান। এমনকি আপনার ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ এবং ঠোঁট গোলাপি রাখার জন্য একটি আখরোট দিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করতে পারেন।
টক দই
টক দই ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন টক দই খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে স্নানের সময় একটু টক দই ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে কয়েক দিনের মধ্য়ে ভালো ফল চোখে পড়বে।

মধু
মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে পেলব ঠোঁট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে নিলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে। মধুতে ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠোঁটের রং বিবর্ণ হওয়া রোধ করে।
কালচে ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু-তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
লেবু
যদি আপনি সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করার পাশাপাশি ঠোঁটেও গোলাপি ভাব এনে দেবে। যেহেতু লেবুতে ব্লিচিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই ঠোঁটে লেবুর রস লাগাতে পারেন। চাইলে চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করে নেওয়া যায়।

বিটরুট
ডায়াবেটিস না থাকলে ঠোঁট গোলাপি করতে আপনার নিয়মিত এ সবজিটি খাওয়া উচিত। এতে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্য ও বিবর্ণতা রোধ করে। তাই রং হালকা করতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিটরুটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
যা মেনে চলতে হবে
রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করে তুলতে চাইলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদিও এ টিপসটি মেকআপপ্রেমীদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ডালিম, বিটরুট বা স্ট্রবেরির রস যদি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঠোঁটে গোলাপি আভার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে আগে ঠোঁট প্রাইম করতে হবে
লিপস্টিক লাগানোর আগে বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে হালকাভাবে ঠোঁট ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এসব তেলের পরিবর্তে লিপ বামও ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল বা লিপবামের এই কোট একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে ও ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। ফলে লিপস্টিকের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
গোলাপি ঠোঁট পেতে যা এড়িয়ে চলতে হবে
এখন সবার কাছে লং লাস্টিং লিপস্টিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, কিন্তু টানা ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে শুরু করে।
যত রাতে বাড়ি ফিরুন বা যতই ক্লান্ত থাকুন, ঘুমানোর আগে সব সময় লিপস্টিক ভালোভাবে তুলে তারপর বিছানায় যাবেন। লিপস্টিক তোলার পর ঠোঁটকে আর্দ্র করার জন্য লিপবাম বা প্রাকৃতিক যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তে পুষ্টি উপাদান পৌঁছানোর জন্য নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।
ঠোঁট গোলাপি রাখতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে। ধূমপানের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।

শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না। যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি করে তুলতে চান এবং ঠোঁটের নমনীয়তা ফিরে পেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়েও তা সম্ভব।
বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করে তোলা যায়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, তাহলে কিছুদিনের মধ্য়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি।
যেসব প্রাকৃতিক উপাদান গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য় করবে
টমেটো
টমেটোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আপনার ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করবে। প্রতিদিন এটি সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। যাঁরা রোজ বাইরে বের হন বা যাঁদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাঁরা টমেটোবাটা ঠোঁটে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
নারকেল ও ডাবের পানি
সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিনের কোনো একটি খাবারে নারকেল যোগ করুন। এতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কোমল থাকবে। এ ছাড়াও মুখ ও ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
আখরোট
আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এসব খাবার খান। এমনকি আপনার ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ এবং ঠোঁট গোলাপি রাখার জন্য একটি আখরোট দিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করতে পারেন।
টক দই
টক দই ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন টক দই খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে স্নানের সময় একটু টক দই ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে কয়েক দিনের মধ্য়ে ভালো ফল চোখে পড়বে।

মধু
মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে পেলব ঠোঁট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে নিলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে। মধুতে ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠোঁটের রং বিবর্ণ হওয়া রোধ করে।
কালচে ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু-তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
লেবু
যদি আপনি সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করার পাশাপাশি ঠোঁটেও গোলাপি ভাব এনে দেবে। যেহেতু লেবুতে ব্লিচিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই ঠোঁটে লেবুর রস লাগাতে পারেন। চাইলে চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করে নেওয়া যায়।

বিটরুট
ডায়াবেটিস না থাকলে ঠোঁট গোলাপি করতে আপনার নিয়মিত এ সবজিটি খাওয়া উচিত। এতে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্য ও বিবর্ণতা রোধ করে। তাই রং হালকা করতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিটরুটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
যা মেনে চলতে হবে
রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করে তুলতে চাইলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদিও এ টিপসটি মেকআপপ্রেমীদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ডালিম, বিটরুট বা স্ট্রবেরির রস যদি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঠোঁটে গোলাপি আভার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে আগে ঠোঁট প্রাইম করতে হবে
লিপস্টিক লাগানোর আগে বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে হালকাভাবে ঠোঁট ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এসব তেলের পরিবর্তে লিপ বামও ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল বা লিপবামের এই কোট একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে ও ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। ফলে লিপস্টিকের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
গোলাপি ঠোঁট পেতে যা এড়িয়ে চলতে হবে
এখন সবার কাছে লং লাস্টিং লিপস্টিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, কিন্তু টানা ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে শুরু করে।
যত রাতে বাড়ি ফিরুন বা যতই ক্লান্ত থাকুন, ঘুমানোর আগে সব সময় লিপস্টিক ভালোভাবে তুলে তারপর বিছানায় যাবেন। লিপস্টিক তোলার পর ঠোঁটকে আর্দ্র করার জন্য লিপবাম বা প্রাকৃতিক যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তে পুষ্টি উপাদান পৌঁছানোর জন্য নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।
ঠোঁট গোলাপি রাখতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে। ধূমপানের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।

বড্ড রাশভারী লোক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ছয় ফুটের ওপর উচ্চতা, ভারী কণ্ঠ, আর অসামান্য ব্যক্তিত্ব—রায় বংশের উচ্চতা ও গভীরতা শারীরিক অবয়বেও যেন ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁরই সৃষ্ট ফেলুদা চরিত্রকে যে তিনি নিজের আদলেই রূপায়ণ করেছিলেন, তা আর না বললেও চলে
০২ মে ২০২১
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করেই ফুলে ফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থপ্রাপ্তি আর খরচ, দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
১ ঘণ্টা আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে