মহিউদ্দীন জুয়েল, চট্টগ্রাম
‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম…
মইশখালীর পানের খিলি তারে
বানাই খাবাইতাম...’
শিল্পী শেফালী ঘোষের জনপ্রিয় এ গানের কথা মনে আছে নিশ্চয়? মইশখালী বা মহেশখালীর মিষ্টিপান সে যুগেও যেমন, এই যুগেও তেমনি মন কেড়ে নেয় মানুষের।
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাটি ও আবহাওয়ায় জন্মে মিষ্টিপান। স্থানীয় পানচাষিদের অনেকে মনে করেন, সম্রাট আকবরের আমল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পানের জনপ্রিয়তা বাড়ে। আঠারো শতকের শেষে চট্টগ্রামে আসা ড. ফ্রান্সিস বুকানন মহেশখালী দ্বীপে পানের বরজ দেখতে পান। সেই গল্প রয়েছে তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে।
মুখে মিশে যায়, ঝাল নেই
মুখে দিয়ে চিবোলে দ্রুত মিশে যাওয়ার পর রেশ লেগে থাকে অনেকক্ষণ, কোনো ঝাল নেই, এটিই মহেশখালীর পানের বৈশিষ্ট্য। এই পান খাওয়া হয় হরেক পদের মসলা দিয়ে। মসলার স্বাদের ওপর নির্ভর করে পানের স্বাদ। নুরানি, শাহি, বেনারসি, এলাচি, জাফরান কত নাম যে আছে এ পানের, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মানুষমাত্রই তা জানেন।
চট্টগ্রাম নগরের লাভ লেন, রেয়াজুদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাট, কক্সবাজার ও মহেশখালীতে রয়েছে মিষ্টি খিলিপানের অসংখ্য দোকান। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পান বিক্রি করেন আবদুর রাজ্জাক। এক সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি সড়কে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। আবদুর রাজ্জাক জানান, বিয়ে-শাদিতে কয়েক শ পিস খিলিপান অর্ডার হয়। অনুষ্ঠানের দিন সকালে ক্লাবে কিংবা বাড়িতে গিয়ে প্যাকেট সাজিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব পান।
পান-মসলা
৭০-৮০ ধরনের মসলা দিয়ে খাওয়া হয় মহেশখালীর মিষ্টিপান। এতে মসলার বৈচিত্র্য বাড়লে স্বাদ বেড়ে যায় অনেক। এই পানের প্রধান মসলা কস্তুরি। পানে এটি দেওয়া হয় জর্দার মতো করে। চুন-সুপারির পরিমাণ অনেক কম।
অনেকে আলুবোখারা আর মিষ্টি জিরা ছিটিয়ে দিতে বলেন। শরীর ভালো রাখার জন্য বয়োজ্যেষ্ঠরা পানে পছন্দ করেন কালিজিরা। পান বানানোর আগে দোকানদারকে বলে দিতে হবে পানে কোন মসলা খাবেন।
দরদাম
৩ পদের মসলা মেশানো ভালো মানের পানের দাম ৫০ টাকা। মসলাভেদে এর দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম…
মইশখালীর পানের খিলি তারে
বানাই খাবাইতাম...’
শিল্পী শেফালী ঘোষের জনপ্রিয় এ গানের কথা মনে আছে নিশ্চয়? মইশখালী বা মহেশখালীর মিষ্টিপান সে যুগেও যেমন, এই যুগেও তেমনি মন কেড়ে নেয় মানুষের।
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাটি ও আবহাওয়ায় জন্মে মিষ্টিপান। স্থানীয় পানচাষিদের অনেকে মনে করেন, সম্রাট আকবরের আমল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পানের জনপ্রিয়তা বাড়ে। আঠারো শতকের শেষে চট্টগ্রামে আসা ড. ফ্রান্সিস বুকানন মহেশখালী দ্বীপে পানের বরজ দেখতে পান। সেই গল্প রয়েছে তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে।
মুখে মিশে যায়, ঝাল নেই
মুখে দিয়ে চিবোলে দ্রুত মিশে যাওয়ার পর রেশ লেগে থাকে অনেকক্ষণ, কোনো ঝাল নেই, এটিই মহেশখালীর পানের বৈশিষ্ট্য। এই পান খাওয়া হয় হরেক পদের মসলা দিয়ে। মসলার স্বাদের ওপর নির্ভর করে পানের স্বাদ। নুরানি, শাহি, বেনারসি, এলাচি, জাফরান কত নাম যে আছে এ পানের, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মানুষমাত্রই তা জানেন।
চট্টগ্রাম নগরের লাভ লেন, রেয়াজুদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাট, কক্সবাজার ও মহেশখালীতে রয়েছে মিষ্টি খিলিপানের অসংখ্য দোকান। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পান বিক্রি করেন আবদুর রাজ্জাক। এক সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি সড়কে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। আবদুর রাজ্জাক জানান, বিয়ে-শাদিতে কয়েক শ পিস খিলিপান অর্ডার হয়। অনুষ্ঠানের দিন সকালে ক্লাবে কিংবা বাড়িতে গিয়ে প্যাকেট সাজিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব পান।
পান-মসলা
৭০-৮০ ধরনের মসলা দিয়ে খাওয়া হয় মহেশখালীর মিষ্টিপান। এতে মসলার বৈচিত্র্য বাড়লে স্বাদ বেড়ে যায় অনেক। এই পানের প্রধান মসলা কস্তুরি। পানে এটি দেওয়া হয় জর্দার মতো করে। চুন-সুপারির পরিমাণ অনেক কম।
অনেকে আলুবোখারা আর মিষ্টি জিরা ছিটিয়ে দিতে বলেন। শরীর ভালো রাখার জন্য বয়োজ্যেষ্ঠরা পানে পছন্দ করেন কালিজিরা। পান বানানোর আগে দোকানদারকে বলে দিতে হবে পানে কোন মসলা খাবেন।
দরদাম
৩ পদের মসলা মেশানো ভালো মানের পানের দাম ৫০ টাকা। মসলাভেদে এর দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আজ টুনা দিবস। বিশ্বব্যাপী খাদ্যনিরাপত্তা, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং অর্থনীতিতে টুনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের ২ মে বিশ্ব টুনা দিবস পালিত হয়। টুনা মাছের প্রজননপ্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে মাছ ধরাকে উৎসাহিত করতেই দিবসটি পালিত হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী খাদ্যনিরাপত্তা, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং অর্থনীতিতে টুনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছরের ২ মে বিশ্ব টুনা দিবস পালিত হয়। টুনা মাছের প্রজননপ্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে মাছ ধরাকে উৎসাহিত করতেই দিবসটি পালিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের আলোকচিত্রী নিকা রিতচেল ব্যালেরিনাদের ছবি তুলে যুদ্ধের অমানিশা ভুলে থাকার চেষ্টা করছেন। কিয়েভের বোমার শব্দের মধ্যেও থেমে না থেকে তিনি শিল্পচর্চায় আগ্রহীদের মনে জাগিয়ে তুলছেন সাহস, আশাবাদ ও স্বাধীনতার স্বপ্ন।
১ দিন আগেযারা হাইকিং ভালোবাসেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ট্রেইলে হাইকিং করে থাকেন, তাঁদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে থাইল্যান্ডের ট্রেইলগুলো। এসব ট্রেইল ধরে হাঁটার সময় এক ভিন্ন রকম উপকূলীয় সৌন্দর্য এবং থাইল্যান্ডের এক ভিন্ন রকম সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে। ঘন জঙ্গল, ধানখেত, কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড় ও পাহাড়ের ওপরের মন্
২ দিন আগে