
প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
তবে আপনি যদি সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে ভাবেন, যখন আপনি তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ অনুভব করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে তাঁকে অনুভব করেছেন, তাহলে দেখবেন যে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কোনো বস্তু ততটা প্রভাব ফেলতে পারে না। বরং, সেসব সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সূক্ষ্ম মুহূর্তগুলোই আপনাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার ও অনুভব করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হয়, যেগুলো আপনার নিঃশব্দ ও অপ্রকাশিত চাহিদাগুলো বুঝতে সহায়তা করেছে। আর অপরপক্ষও অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।
মনোবিদেরা এমন কিছু বিষয়ই শনাক্ত করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, সবচেয়ে কার্যকর প্রভাবশালী উপহারগুলো সাধারণত বস্তুগত হয় না!
সত্যিকারের উপহার: কারও না বলা প্রয়োজনকে সম্মান করা
তাহলে, প্রিয়জনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার কী? এটি স্থূল ভাববিনিময়ে নয়, বরং আরও অন্তরঙ্গ কিছুতে নিহিত—এটি হলো প্রিয়জনের অস্ফুট বা অপ্রকাশিত প্রয়োজনকে সম্মান করা। যখন আপনি কারও নিঃশব্দ সংকেত চিনতে পারেন এবং সাড়া দেন, তখন আপনি একটি গভীর বার্তা পাঠান। বার্তা এমন—আমি তোমার প্রতি নজর রাখি, তোমার কথা শুনি এবং তোমার যত্ন নিই।
এই উপহার বস্তুগত বিনিময়ের বাইরে কিছু। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী আবেগগত ছাপ ফেলে। এই বিশেষ উপহারটি কীভাবে কাছের মানুষকে আরও সুচিন্তিতভাবে দিতে পারেন, সেটি নিয়েই এই আলোচনা।
১. না বলা চাহিদাগুলো চেনা
কারও (প্রয়োজনের) ইঙ্গিতের প্রতি সম্মান করা মানে শুধু তাদের কথা শোনা নয়; এটি তার শরীরী ভাষা, আচরণগত পরিবর্তন এবং সূক্ষ্ম স্বরভঙ্গিগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া।
না বলা এই সংকেতগুলো প্রায়ই একজনের মানসিক অবস্থার অনেক কিছু প্রকাশ করে। এগুলো শনাক্ত করতে পারলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সময়োপযোগী, অর্থবহ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার সঙ্গী যদি হঠাৎ করে বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকে বা দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে সে কোনো কারণে বিপর্যস্ত। এ সময় একটি সহজ বাক্য, যেমন—আমি লক্ষ্য করছি, আজ তোমাকে একটু অন্য রকম লাগছে, তুমি কি কিছু বলতে চাও?—এই ধরনের আন্তরিক আলাপ তাকে মন খুলে কথা বলতে উৎসাহিত করতে পারে। আবার, ‘তুমি খুব চাপে আছ মনে হচ্ছে—আমি কি এতে কিছু সাহায্য করতে পারি?’ এই ধরনের ছোট ছোট প্রস্তাব আস্থার একটি পরিসর তৈরি করে এবং সম্পর্ককে গভীর করে।
২. তাদের আনন্দ উদ্যাপনে শরিক হওয়া
আনন্দ এমন একটি শক্তিশালী অনুভূতি—যা প্রায়ই চোখের ঝিলিক, উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গি বা প্রাণবন্ত স্বরে প্রকাশ পায়। এই মুহূর্তগুলো স্বীকার করা মানে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনি শুধু তাঁর দুঃখ–কষ্টেই নয়, সুখেও অংশ নিচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সঙ্গী একটি বিশেষ শখ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস দেখায়—ধরুন, ছবি আঁকা বা ট্রেকিং পছন্দ করে—তাহলে সেই আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিন। বলতে পারেন, ‘ছবি আঁকা নিয়ে কথা বলার সময় তোমাকে বেশ খুশি দেখায়। আমরা কি এ সপ্তাহে কিছু সময় বের করে এ বিষয়ে কিছু করতে পারি?’
গবেষণা বলছে, ইতিবাচক মুহূর্ত উদ্যাপন সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ২০০৬ সালে ‘জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, যারা পরস্পরের আনন্দের মুহূর্তগুলো উদ্যাপন করে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী এবং সুখী হয়।
৩. দুর্বলতাকে স্বীকার করা
দুর্বলতা প্রায়ই সূক্ষ্ম সংকেতের আড়ালে থাকে—দ্বিধান্বিত কণ্ঠস্বর, অস্থিরভাবে হাত নাড়ানো বা আচরণে পরিবর্তন। এই সংকেতগুলো চেনা এবং সেগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া সম্পর্ককে আরও গভীর করে।
ধরা যাক, আপনার সঙ্গী কোনো বড় প্রেজেন্টেশন নিয়ে নার্ভাস। আপনি লক্ষ্য করলেন, সে অস্থিরভাবে পায়চারি করছে। এই মুহূর্তে একটি সরল বাক্য, যেমন—আমি জানি তুমি খুব ভালো করবে—তুমি সব সময় এমন পরিস্থিতিতে ভালো করো। এ ধরনের কথা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা
গভীর আবেগঘন সম্পর্কের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। যখন কেউ জানেন তিনি অপরের বিচার বা মূল্যায়নের মুখে পড়া ছাড়াই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, তখন একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে ওঠে।
এই পরিবেশ তৈরি করতে, সক্রিয়ভাবে তাঁকে শুনুন এবং তাঁর আলাপ ও কর্মকাণ্ডে নিজের পুরোপুরি উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। যখন আপনার সঙ্গী ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করেন, তখন ‘শুনে মনে হচ্ছে এটা তোমার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ; আমাকে আরও বলো’—এই ধরনের প্রতিক্রিয়া তাঁর অভিজ্ঞতাগুলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
৫. সহানুভূতির মাধ্যমে বন্ধন দৃঢ় করা
সহানুভূতি সব ধরনের সম্পর্কের ভিত্তি। যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সংকেতগুলো চেনেন, তখন আপনি তাঁর অনুভূতিগুলোর প্রতি আন্তরিকভাবে সাড়া দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনি কর্মস্থলের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে বলতে পারেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা তোমার জন্য কতটা কঠিন; তুমি যে চেষ্টা করছ এর জন্যই আমি গর্বিত।’
এভাবে, আপনি শুধু তাঁর কথা শুনছেন এমন না, বরং তাঁর যাত্রার অংশ হচ্ছেন এবং তাঁর অনুভূতিগুলোকে সত্যিকার অর্থে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
সবশেষ কথা হলো, প্রিয়জনকে যত্নের অনুভূতি দেওয়ার জন্য তাঁর সংকেতগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে এই সংকেতগুলোতে সাড়া দিন এবং দেখুন, কীভাবে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর এবং অর্থবহ হয়ে ওঠে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
তবে আপনি যদি সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে ভাবেন, যখন আপনি তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ অনুভব করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে তাঁকে অনুভব করেছেন, তাহলে দেখবেন যে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কোনো বস্তু ততটা প্রভাব ফেলতে পারে না। বরং, সেসব সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সূক্ষ্ম মুহূর্তগুলোই আপনাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার ও অনুভব করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হয়, যেগুলো আপনার নিঃশব্দ ও অপ্রকাশিত চাহিদাগুলো বুঝতে সহায়তা করেছে। আর অপরপক্ষও অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।
মনোবিদেরা এমন কিছু বিষয়ই শনাক্ত করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, সবচেয়ে কার্যকর প্রভাবশালী উপহারগুলো সাধারণত বস্তুগত হয় না!
সত্যিকারের উপহার: কারও না বলা প্রয়োজনকে সম্মান করা
তাহলে, প্রিয়জনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার কী? এটি স্থূল ভাববিনিময়ে নয়, বরং আরও অন্তরঙ্গ কিছুতে নিহিত—এটি হলো প্রিয়জনের অস্ফুট বা অপ্রকাশিত প্রয়োজনকে সম্মান করা। যখন আপনি কারও নিঃশব্দ সংকেত চিনতে পারেন এবং সাড়া দেন, তখন আপনি একটি গভীর বার্তা পাঠান। বার্তা এমন—আমি তোমার প্রতি নজর রাখি, তোমার কথা শুনি এবং তোমার যত্ন নিই।
এই উপহার বস্তুগত বিনিময়ের বাইরে কিছু। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী আবেগগত ছাপ ফেলে। এই বিশেষ উপহারটি কীভাবে কাছের মানুষকে আরও সুচিন্তিতভাবে দিতে পারেন, সেটি নিয়েই এই আলোচনা।
১. না বলা চাহিদাগুলো চেনা
কারও (প্রয়োজনের) ইঙ্গিতের প্রতি সম্মান করা মানে শুধু তাদের কথা শোনা নয়; এটি তার শরীরী ভাষা, আচরণগত পরিবর্তন এবং সূক্ষ্ম স্বরভঙ্গিগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া।
না বলা এই সংকেতগুলো প্রায়ই একজনের মানসিক অবস্থার অনেক কিছু প্রকাশ করে। এগুলো শনাক্ত করতে পারলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সময়োপযোগী, অর্থবহ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার সঙ্গী যদি হঠাৎ করে বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকে বা দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে সে কোনো কারণে বিপর্যস্ত। এ সময় একটি সহজ বাক্য, যেমন—আমি লক্ষ্য করছি, আজ তোমাকে একটু অন্য রকম লাগছে, তুমি কি কিছু বলতে চাও?—এই ধরনের আন্তরিক আলাপ তাকে মন খুলে কথা বলতে উৎসাহিত করতে পারে। আবার, ‘তুমি খুব চাপে আছ মনে হচ্ছে—আমি কি এতে কিছু সাহায্য করতে পারি?’ এই ধরনের ছোট ছোট প্রস্তাব আস্থার একটি পরিসর তৈরি করে এবং সম্পর্ককে গভীর করে।
২. তাদের আনন্দ উদ্যাপনে শরিক হওয়া
আনন্দ এমন একটি শক্তিশালী অনুভূতি—যা প্রায়ই চোখের ঝিলিক, উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গি বা প্রাণবন্ত স্বরে প্রকাশ পায়। এই মুহূর্তগুলো স্বীকার করা মানে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনি শুধু তাঁর দুঃখ–কষ্টেই নয়, সুখেও অংশ নিচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সঙ্গী একটি বিশেষ শখ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস দেখায়—ধরুন, ছবি আঁকা বা ট্রেকিং পছন্দ করে—তাহলে সেই আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিন। বলতে পারেন, ‘ছবি আঁকা নিয়ে কথা বলার সময় তোমাকে বেশ খুশি দেখায়। আমরা কি এ সপ্তাহে কিছু সময় বের করে এ বিষয়ে কিছু করতে পারি?’
গবেষণা বলছে, ইতিবাচক মুহূর্ত উদ্যাপন সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ২০০৬ সালে ‘জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, যারা পরস্পরের আনন্দের মুহূর্তগুলো উদ্যাপন করে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী এবং সুখী হয়।
৩. দুর্বলতাকে স্বীকার করা
দুর্বলতা প্রায়ই সূক্ষ্ম সংকেতের আড়ালে থাকে—দ্বিধান্বিত কণ্ঠস্বর, অস্থিরভাবে হাত নাড়ানো বা আচরণে পরিবর্তন। এই সংকেতগুলো চেনা এবং সেগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া সম্পর্ককে আরও গভীর করে।
ধরা যাক, আপনার সঙ্গী কোনো বড় প্রেজেন্টেশন নিয়ে নার্ভাস। আপনি লক্ষ্য করলেন, সে অস্থিরভাবে পায়চারি করছে। এই মুহূর্তে একটি সরল বাক্য, যেমন—আমি জানি তুমি খুব ভালো করবে—তুমি সব সময় এমন পরিস্থিতিতে ভালো করো। এ ধরনের কথা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা
গভীর আবেগঘন সম্পর্কের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। যখন কেউ জানেন তিনি অপরের বিচার বা মূল্যায়নের মুখে পড়া ছাড়াই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, তখন একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে ওঠে।
এই পরিবেশ তৈরি করতে, সক্রিয়ভাবে তাঁকে শুনুন এবং তাঁর আলাপ ও কর্মকাণ্ডে নিজের পুরোপুরি উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। যখন আপনার সঙ্গী ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করেন, তখন ‘শুনে মনে হচ্ছে এটা তোমার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ; আমাকে আরও বলো’—এই ধরনের প্রতিক্রিয়া তাঁর অভিজ্ঞতাগুলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
৫. সহানুভূতির মাধ্যমে বন্ধন দৃঢ় করা
সহানুভূতি সব ধরনের সম্পর্কের ভিত্তি। যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সংকেতগুলো চেনেন, তখন আপনি তাঁর অনুভূতিগুলোর প্রতি আন্তরিকভাবে সাড়া দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনি কর্মস্থলের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে বলতে পারেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা তোমার জন্য কতটা কঠিন; তুমি যে চেষ্টা করছ এর জন্যই আমি গর্বিত।’
এভাবে, আপনি শুধু তাঁর কথা শুনছেন এমন না, বরং তাঁর যাত্রার অংশ হচ্ছেন এবং তাঁর অনুভূতিগুলোকে সত্যিকার অর্থে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
সবশেষ কথা হলো, প্রিয়জনকে যত্নের অনুভূতি দেওয়ার জন্য তাঁর সংকেতগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে এই সংকেতগুলোতে সাড়া দিন এবং দেখুন, কীভাবে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর এবং অর্থবহ হয়ে ওঠে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
তবে আপনি যদি সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে ভাবেন, যখন আপনি তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ অনুভব করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে তাঁকে অনুভব করেছেন, তাহলে দেখবেন যে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কোনো বস্তু ততটা প্রভাব ফেলতে পারে না। বরং, সেসব সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সূক্ষ্ম মুহূর্তগুলোই আপনাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার ও অনুভব করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হয়, যেগুলো আপনার নিঃশব্দ ও অপ্রকাশিত চাহিদাগুলো বুঝতে সহায়তা করেছে। আর অপরপক্ষও অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।
মনোবিদেরা এমন কিছু বিষয়ই শনাক্ত করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, সবচেয়ে কার্যকর প্রভাবশালী উপহারগুলো সাধারণত বস্তুগত হয় না!
সত্যিকারের উপহার: কারও না বলা প্রয়োজনকে সম্মান করা
তাহলে, প্রিয়জনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার কী? এটি স্থূল ভাববিনিময়ে নয়, বরং আরও অন্তরঙ্গ কিছুতে নিহিত—এটি হলো প্রিয়জনের অস্ফুট বা অপ্রকাশিত প্রয়োজনকে সম্মান করা। যখন আপনি কারও নিঃশব্দ সংকেত চিনতে পারেন এবং সাড়া দেন, তখন আপনি একটি গভীর বার্তা পাঠান। বার্তা এমন—আমি তোমার প্রতি নজর রাখি, তোমার কথা শুনি এবং তোমার যত্ন নিই।
এই উপহার বস্তুগত বিনিময়ের বাইরে কিছু। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী আবেগগত ছাপ ফেলে। এই বিশেষ উপহারটি কীভাবে কাছের মানুষকে আরও সুচিন্তিতভাবে দিতে পারেন, সেটি নিয়েই এই আলোচনা।
১. না বলা চাহিদাগুলো চেনা
কারও (প্রয়োজনের) ইঙ্গিতের প্রতি সম্মান করা মানে শুধু তাদের কথা শোনা নয়; এটি তার শরীরী ভাষা, আচরণগত পরিবর্তন এবং সূক্ষ্ম স্বরভঙ্গিগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া।
না বলা এই সংকেতগুলো প্রায়ই একজনের মানসিক অবস্থার অনেক কিছু প্রকাশ করে। এগুলো শনাক্ত করতে পারলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সময়োপযোগী, অর্থবহ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার সঙ্গী যদি হঠাৎ করে বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকে বা দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে সে কোনো কারণে বিপর্যস্ত। এ সময় একটি সহজ বাক্য, যেমন—আমি লক্ষ্য করছি, আজ তোমাকে একটু অন্য রকম লাগছে, তুমি কি কিছু বলতে চাও?—এই ধরনের আন্তরিক আলাপ তাকে মন খুলে কথা বলতে উৎসাহিত করতে পারে। আবার, ‘তুমি খুব চাপে আছ মনে হচ্ছে—আমি কি এতে কিছু সাহায্য করতে পারি?’ এই ধরনের ছোট ছোট প্রস্তাব আস্থার একটি পরিসর তৈরি করে এবং সম্পর্ককে গভীর করে।
২. তাদের আনন্দ উদ্যাপনে শরিক হওয়া
আনন্দ এমন একটি শক্তিশালী অনুভূতি—যা প্রায়ই চোখের ঝিলিক, উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গি বা প্রাণবন্ত স্বরে প্রকাশ পায়। এই মুহূর্তগুলো স্বীকার করা মানে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনি শুধু তাঁর দুঃখ–কষ্টেই নয়, সুখেও অংশ নিচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সঙ্গী একটি বিশেষ শখ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস দেখায়—ধরুন, ছবি আঁকা বা ট্রেকিং পছন্দ করে—তাহলে সেই আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিন। বলতে পারেন, ‘ছবি আঁকা নিয়ে কথা বলার সময় তোমাকে বেশ খুশি দেখায়। আমরা কি এ সপ্তাহে কিছু সময় বের করে এ বিষয়ে কিছু করতে পারি?’
গবেষণা বলছে, ইতিবাচক মুহূর্ত উদ্যাপন সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ২০০৬ সালে ‘জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, যারা পরস্পরের আনন্দের মুহূর্তগুলো উদ্যাপন করে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী এবং সুখী হয়।
৩. দুর্বলতাকে স্বীকার করা
দুর্বলতা প্রায়ই সূক্ষ্ম সংকেতের আড়ালে থাকে—দ্বিধান্বিত কণ্ঠস্বর, অস্থিরভাবে হাত নাড়ানো বা আচরণে পরিবর্তন। এই সংকেতগুলো চেনা এবং সেগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া সম্পর্ককে আরও গভীর করে।
ধরা যাক, আপনার সঙ্গী কোনো বড় প্রেজেন্টেশন নিয়ে নার্ভাস। আপনি লক্ষ্য করলেন, সে অস্থিরভাবে পায়চারি করছে। এই মুহূর্তে একটি সরল বাক্য, যেমন—আমি জানি তুমি খুব ভালো করবে—তুমি সব সময় এমন পরিস্থিতিতে ভালো করো। এ ধরনের কথা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা
গভীর আবেগঘন সম্পর্কের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। যখন কেউ জানেন তিনি অপরের বিচার বা মূল্যায়নের মুখে পড়া ছাড়াই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, তখন একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে ওঠে।
এই পরিবেশ তৈরি করতে, সক্রিয়ভাবে তাঁকে শুনুন এবং তাঁর আলাপ ও কর্মকাণ্ডে নিজের পুরোপুরি উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। যখন আপনার সঙ্গী ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করেন, তখন ‘শুনে মনে হচ্ছে এটা তোমার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ; আমাকে আরও বলো’—এই ধরনের প্রতিক্রিয়া তাঁর অভিজ্ঞতাগুলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
৫. সহানুভূতির মাধ্যমে বন্ধন দৃঢ় করা
সহানুভূতি সব ধরনের সম্পর্কের ভিত্তি। যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সংকেতগুলো চেনেন, তখন আপনি তাঁর অনুভূতিগুলোর প্রতি আন্তরিকভাবে সাড়া দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনি কর্মস্থলের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে বলতে পারেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা তোমার জন্য কতটা কঠিন; তুমি যে চেষ্টা করছ এর জন্যই আমি গর্বিত।’
এভাবে, আপনি শুধু তাঁর কথা শুনছেন এমন না, বরং তাঁর যাত্রার অংশ হচ্ছেন এবং তাঁর অনুভূতিগুলোকে সত্যিকার অর্থে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
সবশেষ কথা হলো, প্রিয়জনকে যত্নের অনুভূতি দেওয়ার জন্য তাঁর সংকেতগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে এই সংকেতগুলোতে সাড়া দিন এবং দেখুন, কীভাবে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর এবং অর্থবহ হয়ে ওঠে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
তবে আপনি যদি সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে ভাবেন, যখন আপনি তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ অনুভব করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে তাঁকে অনুভব করেছেন, তাহলে দেখবেন যে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কোনো বস্তু ততটা প্রভাব ফেলতে পারে না। বরং, সেসব সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সূক্ষ্ম মুহূর্তগুলোই আপনাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার ও অনুভব করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হয়, যেগুলো আপনার নিঃশব্দ ও অপ্রকাশিত চাহিদাগুলো বুঝতে সহায়তা করেছে। আর অপরপক্ষও অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।
মনোবিদেরা এমন কিছু বিষয়ই শনাক্ত করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, সবচেয়ে কার্যকর প্রভাবশালী উপহারগুলো সাধারণত বস্তুগত হয় না!
সত্যিকারের উপহার: কারও না বলা প্রয়োজনকে সম্মান করা
তাহলে, প্রিয়জনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার কী? এটি স্থূল ভাববিনিময়ে নয়, বরং আরও অন্তরঙ্গ কিছুতে নিহিত—এটি হলো প্রিয়জনের অস্ফুট বা অপ্রকাশিত প্রয়োজনকে সম্মান করা। যখন আপনি কারও নিঃশব্দ সংকেত চিনতে পারেন এবং সাড়া দেন, তখন আপনি একটি গভীর বার্তা পাঠান। বার্তা এমন—আমি তোমার প্রতি নজর রাখি, তোমার কথা শুনি এবং তোমার যত্ন নিই।
এই উপহার বস্তুগত বিনিময়ের বাইরে কিছু। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী আবেগগত ছাপ ফেলে। এই বিশেষ উপহারটি কীভাবে কাছের মানুষকে আরও সুচিন্তিতভাবে দিতে পারেন, সেটি নিয়েই এই আলোচনা।
১. না বলা চাহিদাগুলো চেনা
কারও (প্রয়োজনের) ইঙ্গিতের প্রতি সম্মান করা মানে শুধু তাদের কথা শোনা নয়; এটি তার শরীরী ভাষা, আচরণগত পরিবর্তন এবং সূক্ষ্ম স্বরভঙ্গিগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া।
না বলা এই সংকেতগুলো প্রায়ই একজনের মানসিক অবস্থার অনেক কিছু প্রকাশ করে। এগুলো শনাক্ত করতে পারলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সময়োপযোগী, অর্থবহ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার সঙ্গী যদি হঠাৎ করে বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকে বা দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে সে কোনো কারণে বিপর্যস্ত। এ সময় একটি সহজ বাক্য, যেমন—আমি লক্ষ্য করছি, আজ তোমাকে একটু অন্য রকম লাগছে, তুমি কি কিছু বলতে চাও?—এই ধরনের আন্তরিক আলাপ তাকে মন খুলে কথা বলতে উৎসাহিত করতে পারে। আবার, ‘তুমি খুব চাপে আছ মনে হচ্ছে—আমি কি এতে কিছু সাহায্য করতে পারি?’ এই ধরনের ছোট ছোট প্রস্তাব আস্থার একটি পরিসর তৈরি করে এবং সম্পর্ককে গভীর করে।
২. তাদের আনন্দ উদ্যাপনে শরিক হওয়া
আনন্দ এমন একটি শক্তিশালী অনুভূতি—যা প্রায়ই চোখের ঝিলিক, উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গি বা প্রাণবন্ত স্বরে প্রকাশ পায়। এই মুহূর্তগুলো স্বীকার করা মানে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনি শুধু তাঁর দুঃখ–কষ্টেই নয়, সুখেও অংশ নিচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সঙ্গী একটি বিশেষ শখ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস দেখায়—ধরুন, ছবি আঁকা বা ট্রেকিং পছন্দ করে—তাহলে সেই আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিন। বলতে পারেন, ‘ছবি আঁকা নিয়ে কথা বলার সময় তোমাকে বেশ খুশি দেখায়। আমরা কি এ সপ্তাহে কিছু সময় বের করে এ বিষয়ে কিছু করতে পারি?’
গবেষণা বলছে, ইতিবাচক মুহূর্ত উদ্যাপন সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ২০০৬ সালে ‘জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, যারা পরস্পরের আনন্দের মুহূর্তগুলো উদ্যাপন করে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী এবং সুখী হয়।
৩. দুর্বলতাকে স্বীকার করা
দুর্বলতা প্রায়ই সূক্ষ্ম সংকেতের আড়ালে থাকে—দ্বিধান্বিত কণ্ঠস্বর, অস্থিরভাবে হাত নাড়ানো বা আচরণে পরিবর্তন। এই সংকেতগুলো চেনা এবং সেগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া সম্পর্ককে আরও গভীর করে।
ধরা যাক, আপনার সঙ্গী কোনো বড় প্রেজেন্টেশন নিয়ে নার্ভাস। আপনি লক্ষ্য করলেন, সে অস্থিরভাবে পায়চারি করছে। এই মুহূর্তে একটি সরল বাক্য, যেমন—আমি জানি তুমি খুব ভালো করবে—তুমি সব সময় এমন পরিস্থিতিতে ভালো করো। এ ধরনের কথা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা
গভীর আবেগঘন সম্পর্কের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। যখন কেউ জানেন তিনি অপরের বিচার বা মূল্যায়নের মুখে পড়া ছাড়াই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, তখন একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে ওঠে।
এই পরিবেশ তৈরি করতে, সক্রিয়ভাবে তাঁকে শুনুন এবং তাঁর আলাপ ও কর্মকাণ্ডে নিজের পুরোপুরি উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। যখন আপনার সঙ্গী ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করেন, তখন ‘শুনে মনে হচ্ছে এটা তোমার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ; আমাকে আরও বলো’—এই ধরনের প্রতিক্রিয়া তাঁর অভিজ্ঞতাগুলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
৫. সহানুভূতির মাধ্যমে বন্ধন দৃঢ় করা
সহানুভূতি সব ধরনের সম্পর্কের ভিত্তি। যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সংকেতগুলো চেনেন, তখন আপনি তাঁর অনুভূতিগুলোর প্রতি আন্তরিকভাবে সাড়া দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনি কর্মস্থলের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে বলতে পারেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা তোমার জন্য কতটা কঠিন; তুমি যে চেষ্টা করছ এর জন্যই আমি গর্বিত।’
এভাবে, আপনি শুধু তাঁর কথা শুনছেন এমন না, বরং তাঁর যাত্রার অংশ হচ্ছেন এবং তাঁর অনুভূতিগুলোকে সত্যিকার অর্থে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
সবশেষ কথা হলো, প্রিয়জনকে যত্নের অনুভূতি দেওয়ার জন্য তাঁর সংকেতগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে এই সংকেতগুলোতে সাড়া দিন এবং দেখুন, কীভাবে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর এবং অর্থবহ হয়ে ওঠে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৪ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৪ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৪ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

প্রিয়জনকে খুশি করবেন এবং তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন—এমন উপহারের কথা চিন্তা করলে সাধারণত বড়, দৃশ্যমান জিনিসগুলোই মনে আসে। যেমন—ফুল, তাঁর প্রিয় জিনিস বা নিয়মিত ব্যবহারের জিনিস, এমনকি স্থূল ইঙ্গিত বা ভাববিনিময়ও হতে পারে। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে উপহারের ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৪ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে