তাহমিনা আক্তার
হেমন্তের শিশিরস্নাত সকাল কিংবা বিকেলের ঝিরঝিরে বাতাস শুধু শীতের আগমনী বার্তাই দেয় না, মুমিনদের জন্য নিয়ে আসে অফুরন্ত রহমত। মুমিনদের জন্য রমজান মাসের পর ইবাদতের উত্তম মৌসুম শীতের দিনগুলো। রাসুল (সা.) বলেন, ‘শীতকাল হলো মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ)
খলিফা ওমর (রা.) বলেছেন, ‘শীত মুমিনের গনিমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ)।’ রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘শীতের গনিমত হলো দিনে রোজা রাখা।’ (সুনানে তিরমিজি)। শীত এমন গনিমত, যা কোনো রক্তপাত, ক্ষয়ক্ষতি বা পরিশ্রম ছাড়াই অর্জন করা যায়।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘শীতের রাতগুলো বড় হওয়ায় দীর্ঘ সময় নামাজে কাটানো যায়। আর দিন ছোট হওয়ায় বেশি বেশি নফল রোজা রাখা যায়।’ (বায়হাকি) শীতকাল নফল রোজা পালনের সুবর্ণকাল। সাপ্তাহিক ও মাসিক নফল রোজাগুলো এ সময় রাখতে পারি। কাজা রোজা থাকলে তা আদায়ের জন্য শীতকাল অধিক উপযোগী।
সাহাবায়ে কেরাম শীতের জন্য অপেক্ষা করতেন। শীত এলে খুশি হতেন। প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন, ‘হে প্রিয় শীত, তোমাকে স্বাগত। কেননা সে (শীত) বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হয় বলে কিয়ামুল লাইল সহজ হয় এবং দিন ছোট হয় বলে রোজা রাখা সহজ।’ (আল মাকাসিদুল হাসানা, হাদিস: ২৫০)
মুমিনের বসন্ত শীত আসছে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ইবাদতের জন্য, মানবসেবার জন্য। শীতের রাতগুলোতে আমরা চাইলেই পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিয়ে রাতের শেষ প্রহরের কিছুটা সময় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য বরাদ্দ রাখতে পারি, কিয়ামুল লাইল আদায়ের চেষ্টা করতে পারি। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে রবের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। এরপর সাহ্রি খেয়ে নফল রোজা আদায় করতে পারি।
তাহমিনা আক্তার, শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
হেমন্তের শিশিরস্নাত সকাল কিংবা বিকেলের ঝিরঝিরে বাতাস শুধু শীতের আগমনী বার্তাই দেয় না, মুমিনদের জন্য নিয়ে আসে অফুরন্ত রহমত। মুমিনদের জন্য রমজান মাসের পর ইবাদতের উত্তম মৌসুম শীতের দিনগুলো। রাসুল (সা.) বলেন, ‘শীতকাল হলো মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ)
খলিফা ওমর (রা.) বলেছেন, ‘শীত মুমিনের গনিমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ)।’ রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘শীতের গনিমত হলো দিনে রোজা রাখা।’ (সুনানে তিরমিজি)। শীত এমন গনিমত, যা কোনো রক্তপাত, ক্ষয়ক্ষতি বা পরিশ্রম ছাড়াই অর্জন করা যায়।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘শীতের রাতগুলো বড় হওয়ায় দীর্ঘ সময় নামাজে কাটানো যায়। আর দিন ছোট হওয়ায় বেশি বেশি নফল রোজা রাখা যায়।’ (বায়হাকি) শীতকাল নফল রোজা পালনের সুবর্ণকাল। সাপ্তাহিক ও মাসিক নফল রোজাগুলো এ সময় রাখতে পারি। কাজা রোজা থাকলে তা আদায়ের জন্য শীতকাল অধিক উপযোগী।
সাহাবায়ে কেরাম শীতের জন্য অপেক্ষা করতেন। শীত এলে খুশি হতেন। প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন, ‘হে প্রিয় শীত, তোমাকে স্বাগত। কেননা সে (শীত) বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হয় বলে কিয়ামুল লাইল সহজ হয় এবং দিন ছোট হয় বলে রোজা রাখা সহজ।’ (আল মাকাসিদুল হাসানা, হাদিস: ২৫০)
মুমিনের বসন্ত শীত আসছে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ইবাদতের জন্য, মানবসেবার জন্য। শীতের রাতগুলোতে আমরা চাইলেই পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিয়ে রাতের শেষ প্রহরের কিছুটা সময় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য বরাদ্দ রাখতে পারি, কিয়ামুল লাইল আদায়ের চেষ্টা করতে পারি। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে রবের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। এরপর সাহ্রি খেয়ে নফল রোজা আদায় করতে পারি।
তাহমিনা আক্তার, শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর জন্যই মৃত্যু এক অবধারিত ও ধ্রুব সত্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)। মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং এটি এক নতুন জীবনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়া। এই চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও জীবিতদের জন্য একটি
৪ ঘণ্টা আগে১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস, যা ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে। এর উদ্দেশ্য তরুণদের দায়িত্বশীল ও প্রভাবশালী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১৬ ঘণ্টা আগেযখন একজন মানুষ শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতায় ভোগেন, তখন তার পাশে দাঁড়ানো, সান্ত্বনা দেওয়া এবং খোঁজখবর নেওয়া শুধু একটি মানবিক কর্তব্য নয়, বরং ইসলামের দৃষ্টিতে এটি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া মানে আল্লাহর সন্তুষ্টির সন্ধান করা।
১৬ ঘণ্টা আগেমানুষ স্বভাবতই আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন একটি প্রাণী। এই আত্মমর্যাদা ও সম্মানবোধ স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা মানুষকে দান করেছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে বৈচিত্র্যপূর্ণ রং, আকার ও আকৃতি দিয়ে তৈরি করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে