ইসলাম ডেস্ক
আরবি পঞ্জিকার সর্বশেষ মাস জিলহজ। ১২ মাসের মাঝে এটি একটু আলাদা। হালকা শিউলি ফুলের মত করে আসে। মুসলিমদের জন্য এর গুরুত্ব এতটাই যে—এই মাসেই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর ‘হজ’ হয়ে থাকে। শরীর, মন আর সামর্থ্য—সব মিলিয়ে যে ইবাদতের শুরু, তাই হজ। হজের শুরু হয় ইহরাম দিয়ে। সাদা কাপড়ে নিজেকে ঢেকে, পরিচ্ছন্ন শরীরে দাঁড়িয়ে মানুষ বলে ওঠে—লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...। কাঁপা কাঁপা সুর বুকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হৃদয়ে আলো ছড়ায় লাব্বাইক ধ্বনি। তখন মনে হয়—অন্তর যেন নিজের সব পরিচয় ভুলে গেছে, স্মরণ আছে শুধু একটি পরিচয়—আমি আল্লাহর বান্দা।
এরপর শুরু হয় মিনা, আরাফাহ, মুজদালিফা, কাবা ঘরের তাওয়াফ—একটার পর একটা ধাপ।
মিনায় রাত্রিযাপনের অনুভূতি একটু অন্যরকম। সাদা তাঁবুর নিচে অসংখ্য মানুষ—তবুও চারদিকে কেমন যেন এক নিঃশব্দতা।
তারপর আরাফাহ। ৯ জিলহজ। সূর্য গড়ায়, ময়দানে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে চোখ ভেজানো দোয়ায়। এটাই হজের মূল। এটাই কান্না, মিনতি, আত্মসমর্পণের দিন।
সূর্য ডুবে গেলে সবাই যায় মুজদালিফায়। রাতটা কাটে খোলা আকাশের নিচে। আকাশ তখন তাঁবু। চাঁদ-তারার সঙ্গে তখন হৃদয়ে খেলা চলে। আল্লাহর অবাক করা সৃষ্টির সঙ্গে মনের মিতালি গড়ে ওঠে। কত নেয়ামত দিয়ে প্রভু সাজিয়েছেন এই আকাশ। মনে জাগে, ‘ফাবি আইয়ি আলায়ি রাব্বিকুমাতুকাজ্জিবান—অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে!’ সেই রাতেই পাথর কুড়িয়ে রাখে সকালের জন্য। শয়তানকে নিক্ষেপের প্রস্তুতি।
১০ তারিখ ভোরে আবার মিনা। হাতে কঙ্কর। মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে জামারাতের সামনে। একে একে সাতটি পাথর ছোড়া হয় বড় শয়তানকে। তালবিয়া তখন থেমে যায়।
তারপর কোরবানি। হজে তামাত্তু কিংবা কিরান করলে এই কোরবানি ওয়াজিব। প্রাণী জবাইয়ের সেই মুহূর্তে এক ধরনের অনুভূতি হয়—কিছু ত্যাগ করার, কিছু বিলিয়ে দেওয়ার।
এরপর মাথা মুণ্ডানো বা কিছু চুল কেটে ফেলা। তারপর আসে তাওয়াফে ইফাদা—কাবা শরিফের তাওয়াফ, ফরজ রোকন। সেখানেই হয় সায়ি—সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি। হজরত হাজেরার স্মৃতি। পানির খোঁজে একজন মায়ের ছুটে চলা। সন্তানের কান্না থামানোর অব্যর্থ চেষ্টা।
সবশেষে আবার মিনা—১১,১২, চাইলে ১৩ তারিখও। তিনটা জামারাতে সাতটা করে পাথর। প্রতিদিন। ছোট, মাঝারি, বড়। একটা করে দিনের বিদায়। রাতগুলো কাটে মিনার তাঁবুতে।
সবশেষে মক্কা ছাড়ার সময় কাবা ঘরের চারপাশে বিদায়ী তাওয়াফ। হেঁটে হেঁটে চোখ ভিজে যায়। মনে হয়—এতো তাড়াতাড়ি চলে যেতে হচ্ছে কেন?
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে হজ করল, অশ্লীলতা বা গুনাহে লিপ্ত হলো না, সে ফিরে আসবে নিঃসন্দেহে নিষ্পাপ হয়ে—যেমন একেবারে নবজাতক ছিল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৫০)
হজ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটা একধরনের নিঃশব্দ বিপ্লব। নিজেকে বদলে ফেলার শুরু। আত্মা ধুয়ে ফেলার সময়।
আরবি পঞ্জিকার সর্বশেষ মাস জিলহজ। ১২ মাসের মাঝে এটি একটু আলাদা। হালকা শিউলি ফুলের মত করে আসে। মুসলিমদের জন্য এর গুরুত্ব এতটাই যে—এই মাসেই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর ‘হজ’ হয়ে থাকে। শরীর, মন আর সামর্থ্য—সব মিলিয়ে যে ইবাদতের শুরু, তাই হজ। হজের শুরু হয় ইহরাম দিয়ে। সাদা কাপড়ে নিজেকে ঢেকে, পরিচ্ছন্ন শরীরে দাঁড়িয়ে মানুষ বলে ওঠে—লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...। কাঁপা কাঁপা সুর বুকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হৃদয়ে আলো ছড়ায় লাব্বাইক ধ্বনি। তখন মনে হয়—অন্তর যেন নিজের সব পরিচয় ভুলে গেছে, স্মরণ আছে শুধু একটি পরিচয়—আমি আল্লাহর বান্দা।
এরপর শুরু হয় মিনা, আরাফাহ, মুজদালিফা, কাবা ঘরের তাওয়াফ—একটার পর একটা ধাপ।
মিনায় রাত্রিযাপনের অনুভূতি একটু অন্যরকম। সাদা তাঁবুর নিচে অসংখ্য মানুষ—তবুও চারদিকে কেমন যেন এক নিঃশব্দতা।
তারপর আরাফাহ। ৯ জিলহজ। সূর্য গড়ায়, ময়দানে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে চোখ ভেজানো দোয়ায়। এটাই হজের মূল। এটাই কান্না, মিনতি, আত্মসমর্পণের দিন।
সূর্য ডুবে গেলে সবাই যায় মুজদালিফায়। রাতটা কাটে খোলা আকাশের নিচে। আকাশ তখন তাঁবু। চাঁদ-তারার সঙ্গে তখন হৃদয়ে খেলা চলে। আল্লাহর অবাক করা সৃষ্টির সঙ্গে মনের মিতালি গড়ে ওঠে। কত নেয়ামত দিয়ে প্রভু সাজিয়েছেন এই আকাশ। মনে জাগে, ‘ফাবি আইয়ি আলায়ি রাব্বিকুমাতুকাজ্জিবান—অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে!’ সেই রাতেই পাথর কুড়িয়ে রাখে সকালের জন্য। শয়তানকে নিক্ষেপের প্রস্তুতি।
১০ তারিখ ভোরে আবার মিনা। হাতে কঙ্কর। মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে জামারাতের সামনে। একে একে সাতটি পাথর ছোড়া হয় বড় শয়তানকে। তালবিয়া তখন থেমে যায়।
তারপর কোরবানি। হজে তামাত্তু কিংবা কিরান করলে এই কোরবানি ওয়াজিব। প্রাণী জবাইয়ের সেই মুহূর্তে এক ধরনের অনুভূতি হয়—কিছু ত্যাগ করার, কিছু বিলিয়ে দেওয়ার।
এরপর মাথা মুণ্ডানো বা কিছু চুল কেটে ফেলা। তারপর আসে তাওয়াফে ইফাদা—কাবা শরিফের তাওয়াফ, ফরজ রোকন। সেখানেই হয় সায়ি—সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি। হজরত হাজেরার স্মৃতি। পানির খোঁজে একজন মায়ের ছুটে চলা। সন্তানের কান্না থামানোর অব্যর্থ চেষ্টা।
সবশেষে আবার মিনা—১১,১২, চাইলে ১৩ তারিখও। তিনটা জামারাতে সাতটা করে পাথর। প্রতিদিন। ছোট, মাঝারি, বড়। একটা করে দিনের বিদায়। রাতগুলো কাটে মিনার তাঁবুতে।
সবশেষে মক্কা ছাড়ার সময় কাবা ঘরের চারপাশে বিদায়ী তাওয়াফ। হেঁটে হেঁটে চোখ ভিজে যায়। মনে হয়—এতো তাড়াতাড়ি চলে যেতে হচ্ছে কেন?
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে হজ করল, অশ্লীলতা বা গুনাহে লিপ্ত হলো না, সে ফিরে আসবে নিঃসন্দেহে নিষ্পাপ হয়ে—যেমন একেবারে নবজাতক ছিল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৫০)
হজ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটা একধরনের নিঃশব্দ বিপ্লব। নিজেকে বদলে ফেলার শুরু। আত্মা ধুয়ে ফেলার সময়।
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে