ইমদাদুল হক শেখ
পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ তিন সুরা—ইখলাস, ফালাক ও নাস। সুরা ইখলাস মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরায় আল্লাহ তাআলার সর্বোৎকৃষ্ট পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। সুরা ফালাক ও নাস মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ সুরা দুটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে সুরা তিনটির বেশ গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের এমন তিনটি সুরার কথা বলছি, যার মতো সুরা তাওরাত, ইঞ্জিল, জাবুর ও কোরআনেও অবতীর্ণ হইনি।’ (ইবনে কাসির: ৮ / ৫০৪) এই তিন সুরা পাঠের দুটি উপকারের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো—
এক. এই তিন সুরা যাবতীয় অনিষ্ট থেকে মানুষকে রক্ষা করে।মুআজ ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘এক বৃষ্টিভেজা অন্ধকার রাতে নামাজ আদায় করার জন্য আমরা রাসুল (সা.)-কে খুঁজছিলাম।আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেন, “বলো”। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, “বলো”। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, “বলো”। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, কী বলব? তিনি বললেন, তুমি যখন সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হও, তিনবার করে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়বে। এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে।’ (আবু দাউদ: ৫০৮২)
দুই. শয়নকালে ক্ষতিকর সব বস্তু থেকে হিফাজত করবে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে নিজের উভয় হাত একসঙ্গে মিলিয়ে উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। এরূপ তিনি তিনবার করতেন।’ (বুখারি: ৫০১৭)
লেখক: শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ সদর
পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ তিন সুরা—ইখলাস, ফালাক ও নাস। সুরা ইখলাস মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরায় আল্লাহ তাআলার সর্বোৎকৃষ্ট পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। সুরা ফালাক ও নাস মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ সুরা দুটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে সুরা তিনটির বেশ গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের এমন তিনটি সুরার কথা বলছি, যার মতো সুরা তাওরাত, ইঞ্জিল, জাবুর ও কোরআনেও অবতীর্ণ হইনি।’ (ইবনে কাসির: ৮ / ৫০৪) এই তিন সুরা পাঠের দুটি উপকারের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো—
এক. এই তিন সুরা যাবতীয় অনিষ্ট থেকে মানুষকে রক্ষা করে।মুআজ ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘এক বৃষ্টিভেজা অন্ধকার রাতে নামাজ আদায় করার জন্য আমরা রাসুল (সা.)-কে খুঁজছিলাম।আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেন, “বলো”। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, “বলো”। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, “বলো”। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, কী বলব? তিনি বললেন, তুমি যখন সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হও, তিনবার করে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়বে। এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে।’ (আবু দাউদ: ৫০৮২)
দুই. শয়নকালে ক্ষতিকর সব বস্তু থেকে হিফাজত করবে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে নিজের উভয় হাত একসঙ্গে মিলিয়ে উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। এরূপ তিনি তিনবার করতেন।’ (বুখারি: ৫০১৭)
লেখক: শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ সদর
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১২ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে