মাওলানা ইসমাইল নাজিম
আমাদের সমাজে দেখা যায়, কোরবানির পশু জবাই করার সময় জবাইকারীকে কোরবানিদাতার নাম উচ্চারণ করার জন্য বলা হয়। বিশেষ করে অংশীদারি কোরবানিতে সব অংশীদারের নাম উচ্চারণ করতে পীড়াপীড়ি করতেও দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোরবানির পশু জবাই করার সময় কি এভাবে সবার নাম উচ্চারণ করা জরুরি? না করলে কি কোরবানি আদায় হবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে আলিমগণ বলেছেন, কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় মালিকের নাম উচ্চারণ করা জরুরি নয়, বরং জায়েজ। নির্দিষ্ট করে ‘অমুক অমুকের পক্ষ থেকে এটি কোরবানি করছি’ বললে যেমন কোরবানি আদায় হবে, তেমনি নির্দিষ্ট না করে ‘এই পশুর সব মালিকের পক্ষ থেকে কোরবানি করছি’ বললেও আদায় হবে। তাই আল্লাহু আকবার বলে জবাই করে দিলে কোরবানি হয়ে যাবে। নাম উচ্চারণ না করার কারণে কোরবানিতে কোনো ক্ষতি হবে না। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ: ১৫/ ৫১৭; বাদায়েউস সানায়ে: ৫/ ৭১)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় সুরা আনআমের ৭৯, ১৬২ ও ১৬৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করে বলেছেন, ‘আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা আন মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার থেকেই প্রাপ্ত এবং আপনার জন্যই উৎসর্গিত; মুহাম্মদ ও তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করুন।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২১)
এক এক করে সবার নাম উচ্চারণ করা জরুরি না হওয়ার কারণ হলো, কোরবানিটি কাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে, তা পশুটি কেনার সময়ই নির্ধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং জবাইয়ের সময় আলাদা করে নাম উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। ‘পশুর মালিকদের পক্ষ থেকে’ বললে বা জবাইকারীর মনে এই নিয়ত থাকলেই জবাই ও কোরবানি শুদ্ধ হবে। তবে জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে।
মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের সমাজে দেখা যায়, কোরবানির পশু জবাই করার সময় জবাইকারীকে কোরবানিদাতার নাম উচ্চারণ করার জন্য বলা হয়। বিশেষ করে অংশীদারি কোরবানিতে সব অংশীদারের নাম উচ্চারণ করতে পীড়াপীড়ি করতেও দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোরবানির পশু জবাই করার সময় কি এভাবে সবার নাম উচ্চারণ করা জরুরি? না করলে কি কোরবানি আদায় হবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে আলিমগণ বলেছেন, কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় মালিকের নাম উচ্চারণ করা জরুরি নয়, বরং জায়েজ। নির্দিষ্ট করে ‘অমুক অমুকের পক্ষ থেকে এটি কোরবানি করছি’ বললে যেমন কোরবানি আদায় হবে, তেমনি নির্দিষ্ট না করে ‘এই পশুর সব মালিকের পক্ষ থেকে কোরবানি করছি’ বললেও আদায় হবে। তাই আল্লাহু আকবার বলে জবাই করে দিলে কোরবানি হয়ে যাবে। নাম উচ্চারণ না করার কারণে কোরবানিতে কোনো ক্ষতি হবে না। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ: ১৫/ ৫১৭; বাদায়েউস সানায়ে: ৫/ ৭১)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় সুরা আনআমের ৭৯, ১৬২ ও ১৬৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করে বলেছেন, ‘আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা আন মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার থেকেই প্রাপ্ত এবং আপনার জন্যই উৎসর্গিত; মুহাম্মদ ও তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করুন।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২১)
এক এক করে সবার নাম উচ্চারণ করা জরুরি না হওয়ার কারণ হলো, কোরবানিটি কাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে, তা পশুটি কেনার সময়ই নির্ধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং জবাইয়ের সময় আলাদা করে নাম উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। ‘পশুর মালিকদের পক্ষ থেকে’ বললে বা জবাইকারীর মনে এই নিয়ত থাকলেই জবাই ও কোরবানি শুদ্ধ হবে। তবে জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে।
মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউস সানি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, মাসের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রহমত, নেক আমল ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। জুমা নিজেই সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রাখে। এ দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ মাফ এবং নেক কাজের প্রতিশ্রুতি অনেক বেশি।
২ ঘণ্টা আগেইসলাম মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গের দিকনির্দেশনা দেয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। খেলাধুলাকে ইসলাম কেবল চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং শরীরচর্চা, সুস্থ মন ও সামরিক প্রস্তুতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে। ইসলাম খেলাধুলার অনুমতি দিয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেঅনেক সময় গরমের কারণে আমরা হাফ হাতা শার্ট, গেঞ্জি বা টি-শার্ট পরে নামাজ আদায় করি। কেউ কেউ আবার স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নামাজ আদায় করে থাকেন, যেখানে কাঁধ খোলা থাকে। এই অবস্থায় নামাজ আদায় করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে ইসলামি বইমেলা-২০২৫। মেলায় আসছে নতুন নতুন বই। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে আসছে পাঠকেরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ আসছে বইমেলায়। তারা নতুন-পুরোনো সব ধরনের বই নেড়েচেড়ে দেখছে। পছন্দের বই কিনতে ভুলছে না।
৩ ঘণ্টা আগে