হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতের জন্য আজীবন সত্য ও সুন্দরের দাওয়াত পেশ করেছেন। উম্মতকে মুক্তির উপায় বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। আর এই শস্যক্ষেত্র থেকেই উম্মতকে সঠিক পদ্ধতি, বিদআতমুক্ত খালেস আমল করে জান্নাত লাভ করতে হবে।
আর জান্নাত লাভের জন্য প্রিয় নবী (সা.) ছয়টি আমলের কথা বলেছেন। হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি আমলের ওয়াদা দাও; আমি তোমাদের জান্নাতের ওয়াদা দেব।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২৭৫৭।)
আমলগুলো হলো
১. সত্য কথা বলা: সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। তাই সত্য কথা এবং সত্যের পথে চলা সবার জন্য আবশ্যক। ২. ওয়াদা পূর্ণ করা: কাউকে কথা দিলে কথা রাখা এবং অঙ্গীকার পূর্ণ করা উচিত।
৩. আমানতের খেয়ানত না করা: আমানতের খেয়ানতকারী মুনাফিকের অন্তর্ভুক্ত। দুর্নীতি খেয়ানতের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
৪. লজ্জাস্থানের হেফাজত করা: নিজেকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে লজ্জাস্থান হেফাজতের বিকল্প নেই। নারী-পুরুষ সবার জন্য এটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
৫. দৃষ্টি অবনত রাখা: চোখের গুনাহ বড় গুনাহ। চোখের হেফাজতেও নারী-পুরুষ সমানভাবে আদিষ্ট।
৬. জুলুম থেকে বিরত থাকা: আল্লাহ তাআলার সঙ্গে শিরক করা সবচেয়ে বড় জুলুম। এ ছাড়া কাউকে নিপীড়ন করাও জুলুম। সব ধরনের জুলুম থেকে বিরত থাকা মুমিনের কর্তব্য।
প্রিয় নবী (সা.) যেহেতু এই ছয় আমলের বিনিময়ে জান্নাতের ওয়াদা করেছেন, তা পালন করা নিশ্চয়ই ফলদায়ক হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।
হুসাইন আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতের জন্য আজীবন সত্য ও সুন্দরের দাওয়াত পেশ করেছেন। উম্মতকে মুক্তির উপায় বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। আর এই শস্যক্ষেত্র থেকেই উম্মতকে সঠিক পদ্ধতি, বিদআতমুক্ত খালেস আমল করে জান্নাত লাভ করতে হবে।
আর জান্নাত লাভের জন্য প্রিয় নবী (সা.) ছয়টি আমলের কথা বলেছেন। হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি আমলের ওয়াদা দাও; আমি তোমাদের জান্নাতের ওয়াদা দেব।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২৭৫৭।)
আমলগুলো হলো
১. সত্য কথা বলা: সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। তাই সত্য কথা এবং সত্যের পথে চলা সবার জন্য আবশ্যক। ২. ওয়াদা পূর্ণ করা: কাউকে কথা দিলে কথা রাখা এবং অঙ্গীকার পূর্ণ করা উচিত।
৩. আমানতের খেয়ানত না করা: আমানতের খেয়ানতকারী মুনাফিকের অন্তর্ভুক্ত। দুর্নীতি খেয়ানতের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
৪. লজ্জাস্থানের হেফাজত করা: নিজেকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে লজ্জাস্থান হেফাজতের বিকল্প নেই। নারী-পুরুষ সবার জন্য এটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
৫. দৃষ্টি অবনত রাখা: চোখের গুনাহ বড় গুনাহ। চোখের হেফাজতেও নারী-পুরুষ সমানভাবে আদিষ্ট।
৬. জুলুম থেকে বিরত থাকা: আল্লাহ তাআলার সঙ্গে শিরক করা সবচেয়ে বড় জুলুম। এ ছাড়া কাউকে নিপীড়ন করাও জুলুম। সব ধরনের জুলুম থেকে বিরত থাকা মুমিনের কর্তব্য।
প্রিয় নবী (সা.) যেহেতু এই ছয় আমলের বিনিময়ে জান্নাতের ওয়াদা করেছেন, তা পালন করা নিশ্চয়ই ফলদায়ক হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।
হুসাইন আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে