শরিফ আহমাদ
আজান ইসলামের মৌলিক আহ্বান। আজান শুনে মানুষ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শয়তান দূরে পালায়। আজানের সময় আজান শোনা এবং তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। প্রত্যেক আজানের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও—তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৪)
মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতাদের ওই বাক্যটির মাধ্যমে আজানের জবাব দিতে হয়। নিয়মিত আজানের জবাব দানকারীর পুরস্কার জান্নাত।
হজরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে আবু কাসির (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন—মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ্’ বলল, তখন মুআবিয়া (রা.) বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী (সা.)-কে আমরা এমন বলতে শুনেছি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৬, সহিহ্ মুসলিম: ৭৩৬)
আজান টেলিভিশন বা রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত। রেকর্ডিং আজান হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। আজানের জবাব দিয়ে মুয়াজ্জিনের সম পর্যায়ের সওয়াব পাওয়া যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কীভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মুয়াজ্জিনরা যে রূপ বলে তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রূপ সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৪)
আজানের পর দরুদ শরিফ পাঠ করে দোয়া পাঠ করতে হয়। এর পুরস্কার ও সম্মাননা অনেক বড়়। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে দোয়া করে—‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াব্আসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।’ কিয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভের অধিকারী হবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৭)
আজান ইসলামের মৌলিক আহ্বান। আজান শুনে মানুষ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শয়তান দূরে পালায়। আজানের সময় আজান শোনা এবং তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। প্রত্যেক আজানের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও—তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৪)
মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতাদের ওই বাক্যটির মাধ্যমে আজানের জবাব দিতে হয়। নিয়মিত আজানের জবাব দানকারীর পুরস্কার জান্নাত।
হজরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে আবু কাসির (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন—মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ্’ বলল, তখন মুআবিয়া (রা.) বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী (সা.)-কে আমরা এমন বলতে শুনেছি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৬, সহিহ্ মুসলিম: ৭৩৬)
আজান টেলিভিশন বা রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত। রেকর্ডিং আজান হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। আজানের জবাব দিয়ে মুয়াজ্জিনের সম পর্যায়ের সওয়াব পাওয়া যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কীভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মুয়াজ্জিনরা যে রূপ বলে তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রূপ সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৪)
আজানের পর দরুদ শরিফ পাঠ করে দোয়া পাঠ করতে হয়। এর পুরস্কার ও সম্মাননা অনেক বড়়। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে দোয়া করে—‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াব্আসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।’ কিয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভের অধিকারী হবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৭)
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে