ইসলাম ডেস্ক
ফরজ নামাজের দুর্বলতা কাটাতে যেমন নফল নামাজ রয়েছে, তেমনি ফরজ রোজার কমতি কাটাতে রয়েছে শাওয়ালের ছয় রোজা। শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই ছয় নফল রোজা রমজানের ফরজ রোজার সব ত্রুটিবিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ।
শাওয়ালের ছয় রোজার মাধ্যমে রমজানের রোজা রাখতে পারার শুকরিয়া আদায়ও করা হয়। বান্দার আমল আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল হওয়ার আলামত হলো, সেই কাজের পর সে অন্য নেক আমলগুলো করতে থাকে। সুতরাং এই ছয় রোজা রাখতে পারা রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রাখার নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল। (মুসলিম: ২৬৪৮)
রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ৬টি রোজা যুক্ত হলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬। আর প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ আছে পবিত্র কোরআনে। তাহলে ৩৬টি রোজার ১০ গুণ হলো ৩৬০টি রোজার সমান (এটি পুরস্কারের দিক থেকে), অর্থাৎ সারা বছর রোজার সমান সওয়াব হবে।
এই ব্যাখ্যার সমর্থনে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি একটি সৎ কাজ করল, সে ১০ গুণ সওয়াব পাবে।’ (সুরা আনআম: ১৬০) হাদিসে এসেছে, সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য, আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং, এই হলো এক বছরের রোজা।’ (নাসায়ি: ২/১৬২)
শাওয়ালের ছয়টি রোজার ব্যাপারে কিছু ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত। অনেকের ধারণা, এই রোজা শুধু নারীরা রাখবেন। এই ধারণা সত্য নয়। এই রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুন্নত।
মাসের শুরু, শেষ কিংবা মাঝামাঝি—সব সময়ই রাখা যায় এই রোজাগুলো। একনাগাড়ে অথবা মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাসে শুরু করে এই মাসে শেষ করলেই হলো। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখাই উত্তম।
ফরজ নামাজের দুর্বলতা কাটাতে যেমন নফল নামাজ রয়েছে, তেমনি ফরজ রোজার কমতি কাটাতে রয়েছে শাওয়ালের ছয় রোজা। শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই ছয় নফল রোজা রমজানের ফরজ রোজার সব ত্রুটিবিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ।
শাওয়ালের ছয় রোজার মাধ্যমে রমজানের রোজা রাখতে পারার শুকরিয়া আদায়ও করা হয়। বান্দার আমল আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল হওয়ার আলামত হলো, সেই কাজের পর সে অন্য নেক আমলগুলো করতে থাকে। সুতরাং এই ছয় রোজা রাখতে পারা রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রাখার নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল। (মুসলিম: ২৬৪৮)
রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ৬টি রোজা যুক্ত হলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬। আর প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ আছে পবিত্র কোরআনে। তাহলে ৩৬টি রোজার ১০ গুণ হলো ৩৬০টি রোজার সমান (এটি পুরস্কারের দিক থেকে), অর্থাৎ সারা বছর রোজার সমান সওয়াব হবে।
এই ব্যাখ্যার সমর্থনে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি একটি সৎ কাজ করল, সে ১০ গুণ সওয়াব পাবে।’ (সুরা আনআম: ১৬০) হাদিসে এসেছে, সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য, আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং, এই হলো এক বছরের রোজা।’ (নাসায়ি: ২/১৬২)
শাওয়ালের ছয়টি রোজার ব্যাপারে কিছু ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত। অনেকের ধারণা, এই রোজা শুধু নারীরা রাখবেন। এই ধারণা সত্য নয়। এই রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুন্নত।
মাসের শুরু, শেষ কিংবা মাঝামাঝি—সব সময়ই রাখা যায় এই রোজাগুলো। একনাগাড়ে অথবা মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাসে শুরু করে এই মাসে শেষ করলেই হলো। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখাই উত্তম।
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
৬ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১২ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১২ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১৭ ঘণ্টা আগে