আবদুল আযীয কাসেমি

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
লেখক: শিক্ষক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ কর
২৪ মার্চ ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে