আবরার নাঈম
ইমান কেবল কয়েকটি বিশ্বাস বা কিছু নিয়মনীতির সমষ্টি নয়; এটি হলো হৃদয়ের এক গভীরতম অনুভূতি, যা আত্মাকে সজীব করে তোলে এবং জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলে। এই অনুভূতির মধ্য দিয়েই একজন মুমিন জীবনের প্রকৃত তৃপ্তি ও প্রশান্তি খুঁজে পায়।
ইমানের এই গভীরতাকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তুলনা করেছেন এক অনাবিল স্বাদের সঙ্গে—যেন তা মধুর চেয়েও মিষ্টি। তিনি এমন তিনটি গুণের কথা বলেছেন, যা অর্জন করলে একজন ব্যক্তি ইমানের এই অতুলনীয় স্বাদ আস্বাদন করতে পারে।
এই গুণগুলো অর্জনের মাধ্যমেই মুমিন তার হৃদয়ে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির এক বিশেষ অনুভূতি লাভ করে। সেই তিনটি গুণ হলো:
১. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা
এই গুণের মূল কথা হলো, একজন মুমিনের অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা দুনিয়ার সকল মায়া-মোহাব্বত থেকে বেশি শক্তিশালী হবে। এই ভালোবাসা কেবল মুখের কথায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। যখন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর আদেশকে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, পরিবারের ভালোবাসা কিংবা পার্থিব স্বার্থের ওপর প্রাধান্য দেবে, তখনই সে ইমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করবে।
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা
পার্থিব কোনো স্বার্থ বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে নয়, বরং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি কাউকে এ জন্য ভালোবাসেন যে, সে চরিত্রবান, মুত্তাকি, নামাজি এবং নিয়মিত কোরআন পাঠ করে, তখন এই ভালোবাসা ইবাদতের মর্যাদা লাভ করে।
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য দান করে এবং আল্লাহর জন্যই বিরত থাকে, সে পূর্ণ ইমান লাভ করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৬৮১)
৩. কুফরিতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো অপছন্দ করা
এটি হলো ইমানের ওপর অটল থাকার এক দৃঢ় সংকল্প। মানুষ যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে তীব্রভাবে অপছন্দ করে এবং দগ্ধ হওয়া থেকে দূরে থাকে, একজন মুমিনও ঠিক সেভাবেই কুফরিকে ঘৃণা করবে এবং ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়াকে ভয় পাবে। এই গুণটি মুমিনকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে সাহায্য করে এবং তার ইমানকে সকল প্রকার প্রলোভন ও পরীক্ষার মুখে মজবুত রাখে।
এই তিনটি গুণ যদি আমরা অর্জন করতে পারি, তাহলে আমরাও সেই খাঁটি ইমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারব।
ইমান কেবল কয়েকটি বিশ্বাস বা কিছু নিয়মনীতির সমষ্টি নয়; এটি হলো হৃদয়ের এক গভীরতম অনুভূতি, যা আত্মাকে সজীব করে তোলে এবং জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলে। এই অনুভূতির মধ্য দিয়েই একজন মুমিন জীবনের প্রকৃত তৃপ্তি ও প্রশান্তি খুঁজে পায়।
ইমানের এই গভীরতাকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তুলনা করেছেন এক অনাবিল স্বাদের সঙ্গে—যেন তা মধুর চেয়েও মিষ্টি। তিনি এমন তিনটি গুণের কথা বলেছেন, যা অর্জন করলে একজন ব্যক্তি ইমানের এই অতুলনীয় স্বাদ আস্বাদন করতে পারে।
এই গুণগুলো অর্জনের মাধ্যমেই মুমিন তার হৃদয়ে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির এক বিশেষ অনুভূতি লাভ করে। সেই তিনটি গুণ হলো:
১. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা
এই গুণের মূল কথা হলো, একজন মুমিনের অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা দুনিয়ার সকল মায়া-মোহাব্বত থেকে বেশি শক্তিশালী হবে। এই ভালোবাসা কেবল মুখের কথায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। যখন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর আদেশকে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, পরিবারের ভালোবাসা কিংবা পার্থিব স্বার্থের ওপর প্রাধান্য দেবে, তখনই সে ইমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করবে।
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা
পার্থিব কোনো স্বার্থ বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে নয়, বরং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি কাউকে এ জন্য ভালোবাসেন যে, সে চরিত্রবান, মুত্তাকি, নামাজি এবং নিয়মিত কোরআন পাঠ করে, তখন এই ভালোবাসা ইবাদতের মর্যাদা লাভ করে।
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য দান করে এবং আল্লাহর জন্যই বিরত থাকে, সে পূর্ণ ইমান লাভ করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৬৮১)
৩. কুফরিতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো অপছন্দ করা
এটি হলো ইমানের ওপর অটল থাকার এক দৃঢ় সংকল্প। মানুষ যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে তীব্রভাবে অপছন্দ করে এবং দগ্ধ হওয়া থেকে দূরে থাকে, একজন মুমিনও ঠিক সেভাবেই কুফরিকে ঘৃণা করবে এবং ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়াকে ভয় পাবে। এই গুণটি মুমিনকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে সাহায্য করে এবং তার ইমানকে সকল প্রকার প্রলোভন ও পরীক্ষার মুখে মজবুত রাখে।
এই তিনটি গুণ যদি আমরা অর্জন করতে পারি, তাহলে আমরাও সেই খাঁটি ইমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারব।
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে