মাহমুদ হাসান ফাহিম
তাকওয়া শব্দের অর্থ আল্লাহর ভয়ে কোনো কিছু করা বা না করার বোধ। তাকওয়া ছাড়া কোনো ইবাদত কবুল হয় না। তাকওয়া ইবাদতের প্রাণ। যেকোনো কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য তাকওয়ার প্রয়োজন। কাজি নাসিরুদ্দিন বায়দাবি (রহ.) তাফসিরে বায়দাবিতে তাকওয়ার তিনটি স্তরের কথা উল্লেখ করেছেন। তা হলো
এক. শিরকমুক্ত হয়ে চিরস্থায়ী আজাব থেকে বাঁচার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তাদের তাকওয়ার কালেমা তথা একত্মবাদের ওপর সুদৃঢ় রাখলেন।’ (সুরা ফাতাহ: ২৬) এই স্তরের মূল কথা হলো কুফর ও শিরক থেকে বেঁচে থাকা। এই অর্থে একজন সাধারণ মুসলমানও মুত্তাকি বা তাকওয়াবান; যদিও তার থেকে গুনাহ্ প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ অর্থ বোঝানোর জন্য পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় মুত্তাকুন, মুত্তাকিন, তাকওয়া বহুবচন বা ব্যাপক অর্থবোধক ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে।
দুই. যা করলে পাপ অথবা ছাড়লেও পাপ এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকা। এক কথায় সব গুনাহ বর্জন করা। ইসলামি শরিয়তে একেই সাধারণত তাকওয়া বলা হয়। পবিত্র কোরআনের বাণী ‘আর যদি সেসব জনপদবাসী ইমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশসমূহ ও পৃথিবীর কল্যাণধারা উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা (সত্য) প্রত্যাখ্যান করেছে।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
তিন. আল্লাহ তাআলার স্মরণ থেকে বিরত রাখে এমন সবকিছু থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহমুখী হওয়া। এটিই প্রকৃত তাকওয়া। এদিকে ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০২)
এটি তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। নবী-রাসুলগণ ও তাঁদের বিশেষ উত্তরাধিকারী সাহাবায়ে কেরাম, অলি-বুজুর্গগণ এ স্তরের তাকওয়া অর্জন করে থাকেন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
তাকওয়া শব্দের অর্থ আল্লাহর ভয়ে কোনো কিছু করা বা না করার বোধ। তাকওয়া ছাড়া কোনো ইবাদত কবুল হয় না। তাকওয়া ইবাদতের প্রাণ। যেকোনো কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য তাকওয়ার প্রয়োজন। কাজি নাসিরুদ্দিন বায়দাবি (রহ.) তাফসিরে বায়দাবিতে তাকওয়ার তিনটি স্তরের কথা উল্লেখ করেছেন। তা হলো
এক. শিরকমুক্ত হয়ে চিরস্থায়ী আজাব থেকে বাঁচার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তাদের তাকওয়ার কালেমা তথা একত্মবাদের ওপর সুদৃঢ় রাখলেন।’ (সুরা ফাতাহ: ২৬) এই স্তরের মূল কথা হলো কুফর ও শিরক থেকে বেঁচে থাকা। এই অর্থে একজন সাধারণ মুসলমানও মুত্তাকি বা তাকওয়াবান; যদিও তার থেকে গুনাহ্ প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ অর্থ বোঝানোর জন্য পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় মুত্তাকুন, মুত্তাকিন, তাকওয়া বহুবচন বা ব্যাপক অর্থবোধক ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে।
দুই. যা করলে পাপ অথবা ছাড়লেও পাপ এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকা। এক কথায় সব গুনাহ বর্জন করা। ইসলামি শরিয়তে একেই সাধারণত তাকওয়া বলা হয়। পবিত্র কোরআনের বাণী ‘আর যদি সেসব জনপদবাসী ইমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশসমূহ ও পৃথিবীর কল্যাণধারা উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা (সত্য) প্রত্যাখ্যান করেছে।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
তিন. আল্লাহ তাআলার স্মরণ থেকে বিরত রাখে এমন সবকিছু থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহমুখী হওয়া। এটিই প্রকৃত তাকওয়া। এদিকে ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০২)
এটি তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। নবী-রাসুলগণ ও তাঁদের বিশেষ উত্তরাধিকারী সাহাবায়ে কেরাম, অলি-বুজুর্গগণ এ স্তরের তাকওয়া অর্জন করে থাকেন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
৮ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১৪ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১৫ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
২০ ঘণ্টা আগে