মুফতি হাসান আরিফ
ইসলামে সন্তানের সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। কারণ নাম শুধু পরিচয়ের মাধ্যম নয়, বরং তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনের ওপর এর এক গভীর প্রভাব থাকে। এ কারণে অভিভাবকের উচিত এমন নাম নির্বাচন করা, যা ইসলামি ভাবধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং যার অর্থ সুন্দর ও কল্যাণকর।
এই প্রেক্ষাপটে অনেক সময় কিছু প্রচলিত নাম নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়, যেমন—‘বিসমিল্লাহ’ কি সন্তানের নাম হিসেবে রাখা যায়?
‘বিসমিল্লাহ’-এর অর্থ ও তাৎপর্য
‘বিসমিল্লাহ’ শব্দের অর্থ হলো, ‘আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি।’ এটি কোনো সাধারণ শব্দ নয়, বরং এটি একটি পবিত্র ও বরকতময় বাক্য। যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে এই বাক্যটি পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাহায্য ও রহমত কামনা করি। এর মধ্য দিয়ে আমরা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিই এবং নিজেদের কাজকে ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত করে নিই। এই কারণেই এটি মুসলিমদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তবে এটি একটি বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কোনো ব্যক্তির পরিচয় বহনকারী শব্দ হিসেবে নয়।
নাম হিসেবে ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার বিধান
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ নাম রাখা উচিত কি না, এ বিষয়ে অধিকাংশ ইসলামবিষয়ক গবেষক একই মত পোষণ করেন। তাঁদের মতে, ‘বিসমিল্লাহ’ কোনো ব্যক্তির নাম নয়, বরং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত লাভের জন্য ব্যবহৃত একটি বাক্য। তাই নাম হিসেবে এটি রাখা উচিত নয়।
তবে যদি কোনো কারণে কেউ এই নামটি রেখেও ফেলে, তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি হারাম বা নিষিদ্ধ নয়। এ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের একটি ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘নাম হিসেবে এটি রাখা উচিত না হলেও, যদি রেখেও ফেলা হয়, তাহলে তাতে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই।’
উত্তম নামের নির্দেশনা
সন্তানের জন্য নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের উচিত ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা। নবীজি (সা.) আমাদের সবচেয়ে উত্তম নাম রাখতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আবদুর রহমান’। এ ছাড়া তিনি নবী-রাসুলদের নাম, সাহাবিদের নাম এবং এমন সব নাম রাখতে বলেছেন যার অর্থ সুন্দর ও ইতিবাচক।
সুতরাং, যদিও ‘বিসমিল্লাহ’ নাম রাখা নিষিদ্ধ নয়, তবু উত্তম হলো এমন নাম রাখা, যা আল্লাহর নিকট প্রিয় এবং যার অর্থ সুন্দর ও সুস্পষ্ট। একটি নাম সারা জীবনের পরিচয় বহন করে, তাই এর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
ইসলামে সন্তানের সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। কারণ নাম শুধু পরিচয়ের মাধ্যম নয়, বরং তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনের ওপর এর এক গভীর প্রভাব থাকে। এ কারণে অভিভাবকের উচিত এমন নাম নির্বাচন করা, যা ইসলামি ভাবধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং যার অর্থ সুন্দর ও কল্যাণকর।
এই প্রেক্ষাপটে অনেক সময় কিছু প্রচলিত নাম নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়, যেমন—‘বিসমিল্লাহ’ কি সন্তানের নাম হিসেবে রাখা যায়?
‘বিসমিল্লাহ’-এর অর্থ ও তাৎপর্য
‘বিসমিল্লাহ’ শব্দের অর্থ হলো, ‘আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি।’ এটি কোনো সাধারণ শব্দ নয়, বরং এটি একটি পবিত্র ও বরকতময় বাক্য। যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে এই বাক্যটি পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাহায্য ও রহমত কামনা করি। এর মধ্য দিয়ে আমরা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিই এবং নিজেদের কাজকে ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত করে নিই। এই কারণেই এটি মুসলিমদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তবে এটি একটি বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কোনো ব্যক্তির পরিচয় বহনকারী শব্দ হিসেবে নয়।
নাম হিসেবে ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার বিধান
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ নাম রাখা উচিত কি না, এ বিষয়ে অধিকাংশ ইসলামবিষয়ক গবেষক একই মত পোষণ করেন। তাঁদের মতে, ‘বিসমিল্লাহ’ কোনো ব্যক্তির নাম নয়, বরং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত লাভের জন্য ব্যবহৃত একটি বাক্য। তাই নাম হিসেবে এটি রাখা উচিত নয়।
তবে যদি কোনো কারণে কেউ এই নামটি রেখেও ফেলে, তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি হারাম বা নিষিদ্ধ নয়। এ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের একটি ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘নাম হিসেবে এটি রাখা উচিত না হলেও, যদি রেখেও ফেলা হয়, তাহলে তাতে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই।’
উত্তম নামের নির্দেশনা
সন্তানের জন্য নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের উচিত ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা। নবীজি (সা.) আমাদের সবচেয়ে উত্তম নাম রাখতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আবদুর রহমান’। এ ছাড়া তিনি নবী-রাসুলদের নাম, সাহাবিদের নাম এবং এমন সব নাম রাখতে বলেছেন যার অর্থ সুন্দর ও ইতিবাচক।
সুতরাং, যদিও ‘বিসমিল্লাহ’ নাম রাখা নিষিদ্ধ নয়, তবু উত্তম হলো এমন নাম রাখা, যা আল্লাহর নিকট প্রিয় এবং যার অর্থ সুন্দর ও সুস্পষ্ট। একটি নাম সারা জীবনের পরিচয় বহন করে, তাই এর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
৬ ঘণ্টা আগেইসলামের সত্য বাণী দ্রুতই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সত্যান্বেষী মানুষেরা দলে দলে আশ্রয় নিতে থাকে ইসলামের পতাকাতলে। অন্ধকার বিদূরিত হয়ে জ্বলে ওঠে সত্যের আলো। সমাজ থেকে দূর হয়ে যায় যাবতীয় পাপ, অন্যায় আর অসাধুতা। রাসুলের সংস্পর্শ লাভে একসময়ের পাষণ্ড, নির্দয় মানুষগুলোও পরিণত হয় সোনার মানুষে।
৭ ঘণ্টা আগেমুমিনের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা। এটি এমন এক আমল, যা সরাসরি কোরআনের নির্দেশ এবং অসংখ্য সহিহ হাদিসে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠ করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে