Ajker Patrika

কোরআনের ভাষায় অন্যায় হত্যাকাণ্ডের শাস্তি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১১: ৩১
কোরআনের ভাষায় অন্যায় হত্যাকাণ্ডের শাস্তি

অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও পাপের একটি বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করেছেন, বিভিন্ন শাস্তির কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের কিছু আয়াত তুলে ধরা হলো—

এক. যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অমান্য করে, নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে এবং মানুষের মধ্যে যারা ন্যায়-নীতি শিক্ষা দেয় তাদেরও হত্যা করে, (হে নবী) তাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। এরাই তারা, যাদের সমুদয় আমল দুনিয়া ও আখিরাতে নিষ্ফল হবে এবং তাদের কোনো সাহায্যকারী নেই। (সুরা আলে ইমরান: ২১-২২)

দুই. যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে ইচ্ছাপূর্বক হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম। তার মধ্যে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। তার ওপর আল্লাহর ক্রোধ ও অভিসম্পাত। আল্লাহ তার জন্য মহা শাস্তি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। (সুরা নিসা: ৯৩)

তিন. আর যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, আর কৃপণতাও করে না; এ দুইয়ের মধ্যবর্তী পন্থা গ্রহণ করে। তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না। আর যথার্থতা ব্যতীত কোনো প্রাণ হত্যা করে না, যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন এবং তারা ব্যভিচার করে না। আর যে এগুলো করে সে শাস্তির সাক্ষাৎ লাভ করবে। কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে। সে সেখানে (জাহান্নামে) লাঞ্ছিত হয়ে চির বাস করবে। (সুরা ফুরকান: ৬৭-৬৯)

চার. এ কারণেই আমি বনি ইসরাইলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম—যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা জমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকেই রক্ষা করল। তাদের কাছে আমার রাসুলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়িই করেছিল। (সুরা মায়িদা: ৩২)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত