ইসলাম ডেস্ক
গাছ মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। গাছপালার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জীবনধারণের অনেক উপাদান দিয়ে থাকেন। গাছ আমাদের চারপাশের সৌন্দর্য বাড়ায়, বায়ুদূষণ কমায়, অক্সিজেন সরবরাহ করে, ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ইসলামে গাছ লাগানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়; তবে সেই চারাটি রোপণ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১২৯০২)। তিনি গাছ লাগানোর বিষয়ে উৎসাহিত করে বলেন, ‘যে মুসলমান ফলদ গাছ লাগাবে, তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয়, তা তার জন্য দানস্বরূপ; যা কিছু চুরি হয়, তাও দানস্বরূপ; বন্য জন্তু যা খেয়ে নেয়, তাও দানস্বরূপ; পাখি যা খেয়ে নেয়, তাও দানস্বরূপ; আর কেউ কিছু নিয়ে গেলে তাও তার জন্য দানস্বরূপ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৮৬০)
অনেককেই দেখা যায়, অযথা গাছের পাতা ছিঁড়ে ফেলে, এটি উচিত নয়। গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ আল্লাহর জিকির করে। প্রয়োজন ছাড়া পাতা ছিঁড়ে তাকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের পরিচয় নয়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘বিনা প্রয়োজনে যে ব্যক্তি বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৪১)। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অপ্রয়োজনে ও অন্যায়ভাবে খোলা ময়দানের বরইগাছ কেটে ফেলে, যার ছায়ায় পথচারী ও চতুষ্পদ প্রাণী আশ্রয় নিয়ে থাকে, আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের অবদান অসামান্য। বৃক্ষরোপণ শুধু আজকের প্রজন্মের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে সহায়ক। আসুন, নিজে গাছ লাগাই, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করি।
গাছ মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। গাছপালার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জীবনধারণের অনেক উপাদান দিয়ে থাকেন। গাছ আমাদের চারপাশের সৌন্দর্য বাড়ায়, বায়ুদূষণ কমায়, অক্সিজেন সরবরাহ করে, ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ইসলামে গাছ লাগানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়; তবে সেই চারাটি রোপণ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১২৯০২)। তিনি গাছ লাগানোর বিষয়ে উৎসাহিত করে বলেন, ‘যে মুসলমান ফলদ গাছ লাগাবে, তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয়, তা তার জন্য দানস্বরূপ; যা কিছু চুরি হয়, তাও দানস্বরূপ; বন্য জন্তু যা খেয়ে নেয়, তাও দানস্বরূপ; পাখি যা খেয়ে নেয়, তাও দানস্বরূপ; আর কেউ কিছু নিয়ে গেলে তাও তার জন্য দানস্বরূপ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৮৬০)
অনেককেই দেখা যায়, অযথা গাছের পাতা ছিঁড়ে ফেলে, এটি উচিত নয়। গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ আল্লাহর জিকির করে। প্রয়োজন ছাড়া পাতা ছিঁড়ে তাকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের পরিচয় নয়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘বিনা প্রয়োজনে যে ব্যক্তি বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৪১)। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অপ্রয়োজনে ও অন্যায়ভাবে খোলা ময়দানের বরইগাছ কেটে ফেলে, যার ছায়ায় পথচারী ও চতুষ্পদ প্রাণী আশ্রয় নিয়ে থাকে, আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের অবদান অসামান্য। বৃক্ষরোপণ শুধু আজকের প্রজন্মের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে সহায়ক। আসুন, নিজে গাছ লাগাই, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করি।
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে