ইসলাম ডেস্ক
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে অপারগ হলে শর্তসাপেক্ষে রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। সেই রোজা রমজান পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়া কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়। নিচে রোজার কাজা ও কাফফারার বিধান বিবৃত হলো—
যখন শুধু কাজা আদায় করতে হবে
১. কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতার কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে।
২. মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে, অনুরূপ গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী যদি নিজের বা শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫, সুনানে তিরমিজি হাদিস: ৭১৫)
৩. মাসিক ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবকালীন স্রাবের সময় রোজা রাখা জায়েজ নেই। তবে ওই দিনগুলোর কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা আদায় করতে হবে না। রোজা রাখার পর দিনের বেলায় (ইফতারের সময় হওয়ার আগে পর্যন্ত) যদি কোনো নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, তার রোজা ভেঙে যাবে এবং পরে কাজা করে দিতে হবে।
৪. যে নারী ঋতুস্রাবের কারণে রোজা রাখেননি, দিনের যে সময়ে তাঁর স্রাবের সময় শেষ হবে, তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের মতো দিনের অবশিষ্ট অংশ অতিবাহিত করবেন এবং পরে ওই দিনের রোজা কাজা করে নেবেন। (আল-লুবাব: ১ / ১৭৩)
যাদের কাজা আদায় করতে হবে না
নাবালেগ (শরিয়তের দৃষ্টিতে সাবালক হয়নি) বা শিশুদের রোজা রাখা ফরজ নয়, তবু তারা নিজেদের আগ্রহে ও বড়দের উৎসাহে রোজা রাখে। তারা যদি রোজা রেখে কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেকোনোভাবে রোজা ভেঙে ফেলে, তাহলে তাদের এই রোজার কাজা বা কাফফারা কোনোটিই লাগবে না। এরপরও যদি তারা বড়দের সঙ্গে কাজা রোজা রাখতে শুরু করে এবং তা আবার ভেঙে ফেলে, তারও কাজা লাগবে না। (আল-হিদায়া)
রোজার কাফফারা আদায় করতে হবে যাদের
শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার জন্য কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক। তবে পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হবে না, শুধু কাজা করতে হবে। (মাবসুতে সারাখসি: ৩ / ৭২)
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি
কাফফারা তিনভাবে আদায় করা যায়। প্রথমত, একজন দাস মুক্ত করা; দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা এবং তৃতীয়ত, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো।
রোজার কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা আদায় করা। আর একটি কাজার বিপরীতে কাফফারা হলো ৬০টি রোজা অতিরিক্ত আদায় করা।
এভাবে অনুমোদিত কারণ ছাড়া যে কয়টি রোজা ভাঙবে, প্রতিটির পরিবর্তে একটি করে কাজা এবং তার সঙ্গে যুক্ত হবে একটি কাফফারা (অর্থাৎ ৬০টি রোজা)।
একই রমজানে কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিক রোজা ভাঙলে এক কাফফারাই (৬০ রোজা) যথেষ্ট হবে। সে হিসাবে একটি রোজা যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভাঙলে তার জন্য কাজা ও কাফফারা হবে ৬১টি রোজা, দুটি ভাঙলে হবে ৬২টি রোজা, তিনটি ভাঙলে হবে ৬৩টি রোজা।
কাজা ও কাফফারাসহ মোট ৬১ বা তার বেশি হলে কমপক্ষে ৬১টি রোজা একটানা আদায় করতে হবে। এর মাঝে বিরতি হলে বা ভাঙলে আরেকটি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে। অর্থাৎ ৬১টি রোজা পূর্ণ হওয়ার আগে বিরতি হলে আবার নতুন করে এক থেকে শুরু করে ৬১টি পূর্ণ করতে হবে। তবে নারীরা ঋতু স্রাবের সময় বাদ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে পারবেন। এই রোজাগুলো নফল পরিগণিত হবে।
রোজার কাফফারা যদি কেউ ৬০টি রোজার মাধ্যমে আদায় করতে না পারেন, তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খাওয়াবে। অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার মাধ্যমেও কাফফারা আদায় করা যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ১০১, রদ্দুল মুহতার: ২ / ৪১৩)
৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খাবার খাওয়ানোর পরিবর্তে প্রত্যেককে এক ফিতরা পরিমাণ খাবার দেওয়া যেতে পারে। একজন গরিবকে প্রতিদিন এক ফিতরা পরিমাণ করে ৬০ দিন দিলে বা খাবার খাওয়ালেও কাফফারা আদায় হবে। ৬০ দিনের ফিতরা পরিমাণ খাবার একবারে একজনকে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১ / ৫১৩, রদ্দুল মুহতার ৩ / ৪৭৮)
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে অপারগ হলে শর্তসাপেক্ষে রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। সেই রোজা রমজান পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়া কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়। নিচে রোজার কাজা ও কাফফারার বিধান বিবৃত হলো—
যখন শুধু কাজা আদায় করতে হবে
১. কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতার কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে।
২. মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে, অনুরূপ গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী যদি নিজের বা শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫, সুনানে তিরমিজি হাদিস: ৭১৫)
৩. মাসিক ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবকালীন স্রাবের সময় রোজা রাখা জায়েজ নেই। তবে ওই দিনগুলোর কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা আদায় করতে হবে না। রোজা রাখার পর দিনের বেলায় (ইফতারের সময় হওয়ার আগে পর্যন্ত) যদি কোনো নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, তার রোজা ভেঙে যাবে এবং পরে কাজা করে দিতে হবে।
৪. যে নারী ঋতুস্রাবের কারণে রোজা রাখেননি, দিনের যে সময়ে তাঁর স্রাবের সময় শেষ হবে, তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের মতো দিনের অবশিষ্ট অংশ অতিবাহিত করবেন এবং পরে ওই দিনের রোজা কাজা করে নেবেন। (আল-লুবাব: ১ / ১৭৩)
যাদের কাজা আদায় করতে হবে না
নাবালেগ (শরিয়তের দৃষ্টিতে সাবালক হয়নি) বা শিশুদের রোজা রাখা ফরজ নয়, তবু তারা নিজেদের আগ্রহে ও বড়দের উৎসাহে রোজা রাখে। তারা যদি রোজা রেখে কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেকোনোভাবে রোজা ভেঙে ফেলে, তাহলে তাদের এই রোজার কাজা বা কাফফারা কোনোটিই লাগবে না। এরপরও যদি তারা বড়দের সঙ্গে কাজা রোজা রাখতে শুরু করে এবং তা আবার ভেঙে ফেলে, তারও কাজা লাগবে না। (আল-হিদায়া)
রোজার কাফফারা আদায় করতে হবে যাদের
শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার জন্য কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক। তবে পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হবে না, শুধু কাজা করতে হবে। (মাবসুতে সারাখসি: ৩ / ৭২)
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি
কাফফারা তিনভাবে আদায় করা যায়। প্রথমত, একজন দাস মুক্ত করা; দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা এবং তৃতীয়ত, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো।
রোজার কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা আদায় করা। আর একটি কাজার বিপরীতে কাফফারা হলো ৬০টি রোজা অতিরিক্ত আদায় করা।
এভাবে অনুমোদিত কারণ ছাড়া যে কয়টি রোজা ভাঙবে, প্রতিটির পরিবর্তে একটি করে কাজা এবং তার সঙ্গে যুক্ত হবে একটি কাফফারা (অর্থাৎ ৬০টি রোজা)।
একই রমজানে কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিক রোজা ভাঙলে এক কাফফারাই (৬০ রোজা) যথেষ্ট হবে। সে হিসাবে একটি রোজা যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভাঙলে তার জন্য কাজা ও কাফফারা হবে ৬১টি রোজা, দুটি ভাঙলে হবে ৬২টি রোজা, তিনটি ভাঙলে হবে ৬৩টি রোজা।
কাজা ও কাফফারাসহ মোট ৬১ বা তার বেশি হলে কমপক্ষে ৬১টি রোজা একটানা আদায় করতে হবে। এর মাঝে বিরতি হলে বা ভাঙলে আরেকটি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে। অর্থাৎ ৬১টি রোজা পূর্ণ হওয়ার আগে বিরতি হলে আবার নতুন করে এক থেকে শুরু করে ৬১টি পূর্ণ করতে হবে। তবে নারীরা ঋতু স্রাবের সময় বাদ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে পারবেন। এই রোজাগুলো নফল পরিগণিত হবে।
রোজার কাফফারা যদি কেউ ৬০টি রোজার মাধ্যমে আদায় করতে না পারেন, তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খাওয়াবে। অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার মাধ্যমেও কাফফারা আদায় করা যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ১০১, রদ্দুল মুহতার: ২ / ৪১৩)
৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খাবার খাওয়ানোর পরিবর্তে প্রত্যেককে এক ফিতরা পরিমাণ খাবার দেওয়া যেতে পারে। একজন গরিবকে প্রতিদিন এক ফিতরা পরিমাণ করে ৬০ দিন দিলে বা খাবার খাওয়ালেও কাফফারা আদায় হবে। ৬০ দিনের ফিতরা পরিমাণ খাবার একবারে একজনকে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১ / ৫১৩, রদ্দুল মুহতার ৩ / ৪৭৮)
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে