ইসলাম ডেস্ক
জুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের কর্তব্য।
ইসলামের প্রথম যুগে জুমার আজান একটি ছিল। তখন শুধু খুতবার আগেই আজান দেওয়া হতো। পরে মানুষের অবহেলা বেড়ে গেলে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) প্রথম আজানটি চালু করেন। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেন। ফলে ইজমার মাধ্যমে প্রথম আজানও জুমার অংশে পরিণত হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার আজানের পর যে বেচাকেনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা মূলত জুমার দ্বিতীয় আজান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
আলিমগণ বলেন, জুমার দ্বিতীয় আজানের পর সব ধরনের পার্থিব কাজকর্ম করা হারাম। এতে কারও দ্বিমত নেই। আর প্রথম আজান সম্পর্কে ফকিহগণ বলেছেন, প্রথম আজানের পরও জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ—যেমন গোসল, অজু, টয়লেট, কাপড় পরিধান ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করাও নাজায়েজ।
কেউ কেউ প্রথম আজানের পর পার্থিব কাজ তথা বেচাকেনা, চাকরির ডিউটি ইত্যাদিকে মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন। তাই প্রথম আজানের পর সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে আগে আগে মসজিদে চলে যাওয়া উচিত।
সূত্র: বুখারি: ৮৭৮; ফাতহুল বারি: ২ / ৪১৯; কুরতুবি: ১৮ / ৭০; আহকামুল কোরআন: ৪ / ৬৪; আলবাহরুর রায়েক: ২ / ১৫৬; ফাতাওয়া উসমানি: ১ / ৫৮০।
জুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের কর্তব্য।
ইসলামের প্রথম যুগে জুমার আজান একটি ছিল। তখন শুধু খুতবার আগেই আজান দেওয়া হতো। পরে মানুষের অবহেলা বেড়ে গেলে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) প্রথম আজানটি চালু করেন। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেন। ফলে ইজমার মাধ্যমে প্রথম আজানও জুমার অংশে পরিণত হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার আজানের পর যে বেচাকেনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা মূলত জুমার দ্বিতীয় আজান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
আলিমগণ বলেন, জুমার দ্বিতীয় আজানের পর সব ধরনের পার্থিব কাজকর্ম করা হারাম। এতে কারও দ্বিমত নেই। আর প্রথম আজান সম্পর্কে ফকিহগণ বলেছেন, প্রথম আজানের পরও জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ—যেমন গোসল, অজু, টয়লেট, কাপড় পরিধান ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করাও নাজায়েজ।
কেউ কেউ প্রথম আজানের পর পার্থিব কাজ তথা বেচাকেনা, চাকরির ডিউটি ইত্যাদিকে মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন। তাই প্রথম আজানের পর সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে আগে আগে মসজিদে চলে যাওয়া উচিত।
সূত্র: বুখারি: ৮৭৮; ফাতহুল বারি: ২ / ৪১৯; কুরতুবি: ১৮ / ৭০; আহকামুল কোরআন: ৪ / ৬৪; আলবাহরুর রায়েক: ২ / ১৫৬; ফাতাওয়া উসমানি: ১ / ৫৮০।
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
২১ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে