মানুষের কত বিচিত্র শখই না থাকে। তাই বলে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের কাভার বা প্রচ্ছদ তৈরির বিষয়টি কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। তবে এমন ঘটনাই ঘটেছিল উনিশ শতকের শেষ দিকে। ১৮৮০ সালের দিকে ফরাসি দার্শনিক ও ঔপন্যাসিক আর্সেন হোস্যে ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বা আত্মার নিয়তি নামে একটি বই লিখেন। তবে বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তিনি নিজে বাঁধাই করেননি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্সেন হোস্যের সেই বই বিগত ৯০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে রক্ষিত। গত বুধবার কভারটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যার চামড়া ব্যবহৃত হয়েছিল, তাঁর মর্যাদাহানির অভিযোগ উঠছিল। তাই প্রচ্ছদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির দাবি, একসময় বইয়ের কভারে ব্যাপকভাবে মৃত মানুষের চামড়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। ২০১৪ সালে এক পরীক্ষায় জানা যায়, বইটিতে ব্যবহৃত মানব চামড়াটি এক নারীর। ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কেউই তাঁর লাশ দাবি করতে আসেনি।
কতিপয় গবেষকের দাবি, যাঁাঁ বই সংগ্রহ করতেন, সাধারণত তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া মানুষের চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করতেন। মূলত, মানুষ যেন বইয়ের প্রতি সম্মান দেখায়, এ কারণে এই কাজ করা হতো। তবে অনেক গবেষকই বিষয়টিকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বইটির প্রচ্ছদ নিয়ে প্রথম গবেষণা হয় ২০১৪ সালে। সে সময় গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি। তবে বইটির লেখক এই কাজ করেননি। করেছেন আর্সেন হোস্যের বন্ধু চিকিৎসাবিদ ড. লুদভিক বোল্যান্ডকে।
ড. বোল্যান্ডের নিজেরও বই সংগ্রহের প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনিই মূলত বইটির প্রচ্ছদ করেছিলেন মানুষের চামড়া দিয়ে। একজন নারীর চামড়া দিয়ে। ড. বোল্যান্ড যে নারীর চামড়া দিয়ে বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করেছিলেন, দীর্ঘদিন কোনো ব্যক্তি তাঁর মরদেহ শনাক্ত বা দাবি করেননি। আর মূলত এ কারণেই সুযোগ পেয়ে বোল্যান্ড তার সদ্ব্যবহার করেছেন।
আর্সেন হোস্যে ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আসেন। সে সময় তাঁর বন্ধু ড. বোল্যান্ড মানুষের বইটির একটি কপি লেখকের কাছে পাঠান। সেই সঙ্গে তিনি একটি চিরকুটও লিখেছিলেন ‘এর মাহাত্ম্য রক্ষা করো’ মর্মে। বোল্যান্ড আরও লিখেছিলেন, ‘আমি একজন নারীর পিঠের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছি। মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই পাওয়ার যোগ্য।’
মানুষের কত বিচিত্র শখই না থাকে। তাই বলে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের কাভার বা প্রচ্ছদ তৈরির বিষয়টি কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। তবে এমন ঘটনাই ঘটেছিল উনিশ শতকের শেষ দিকে। ১৮৮০ সালের দিকে ফরাসি দার্শনিক ও ঔপন্যাসিক আর্সেন হোস্যে ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বা আত্মার নিয়তি নামে একটি বই লিখেন। তবে বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তিনি নিজে বাঁধাই করেননি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্সেন হোস্যের সেই বই বিগত ৯০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে রক্ষিত। গত বুধবার কভারটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যার চামড়া ব্যবহৃত হয়েছিল, তাঁর মর্যাদাহানির অভিযোগ উঠছিল। তাই প্রচ্ছদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির দাবি, একসময় বইয়ের কভারে ব্যাপকভাবে মৃত মানুষের চামড়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। ২০১৪ সালে এক পরীক্ষায় জানা যায়, বইটিতে ব্যবহৃত মানব চামড়াটি এক নারীর। ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কেউই তাঁর লাশ দাবি করতে আসেনি।
কতিপয় গবেষকের দাবি, যাঁাঁ বই সংগ্রহ করতেন, সাধারণত তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া মানুষের চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করতেন। মূলত, মানুষ যেন বইয়ের প্রতি সম্মান দেখায়, এ কারণে এই কাজ করা হতো। তবে অনেক গবেষকই বিষয়টিকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ‘দে দেসতিনে দে লা’মো’ বইটির প্রচ্ছদ নিয়ে প্রথম গবেষণা হয় ২০১৪ সালে। সে সময় গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, বইটির প্রচ্ছদ মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি। তবে বইটির লেখক এই কাজ করেননি। করেছেন আর্সেন হোস্যের বন্ধু চিকিৎসাবিদ ড. লুদভিক বোল্যান্ডকে।
ড. বোল্যান্ডের নিজেরও বই সংগ্রহের প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনিই মূলত বইটির প্রচ্ছদ করেছিলেন মানুষের চামড়া দিয়ে। একজন নারীর চামড়া দিয়ে। ড. বোল্যান্ড যে নারীর চামড়া দিয়ে বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করেছিলেন, দীর্ঘদিন কোনো ব্যক্তি তাঁর মরদেহ শনাক্ত বা দাবি করেননি। আর মূলত এ কারণেই সুযোগ পেয়ে বোল্যান্ড তার সদ্ব্যবহার করেছেন।
আর্সেন হোস্যে ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আসেন। সে সময় তাঁর বন্ধু ড. বোল্যান্ড মানুষের বইটির একটি কপি লেখকের কাছে পাঠান। সেই সঙ্গে তিনি একটি চিরকুটও লিখেছিলেন ‘এর মাহাত্ম্য রক্ষা করো’ মর্মে। বোল্যান্ড আরও লিখেছিলেন, ‘আমি একজন নারীর পিঠের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেছি। মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই পাওয়ার যোগ্য।’
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ-সংঘাত বন্ধে নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরবেন তিনি। কিন্তু সময় বলছে ভিন্ন কথা। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়িয়ে নিয়ে...
৫ মিনিট আগেভারতে নাগরিকদের জন্য সতর্কতার জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৮ জুন ভারত ভ্রমণবিষয় সতর্কবার্তা হালনাগাদ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, কিছু এলাকায় অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ বেড়ে যাওয়ায় সেসব অঞ্চলে ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬ মিনিট আগেসব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে