তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এই তিনজনের অভিযোগ, শরীরের গন্ধের অভিযোগ এনে তাঁদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
অ্যারিজোনার ফিনিক্স থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানে গত ৫ জানুয়ারি ঘটে এ ঘটনা। অ্যালভিন জ্যাকসন, ইমানুয়েল জিন জোসেফ ও জেভিয়ার ভেলের করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই তিনজনসহ আরও যে কৃষ্ণাঙ্গরা বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন—তাঁরা একসঙ্গেও বসেননি এবং কেউ কাউকে চিনতেনও না। কিন্তু সেই ফ্লাইটের প্রত্যেক কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীকেই তাঁদের আসন থেকে তুলে বের করে দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই আচরণের শিকার ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা কালো হওয়ায় আমেরিকান এয়ারলাইনস আমাদের আলাদা করেছে, আমাদের বিব্রত এবং আমাদের অপমান করেছে।’
টেক্সাসভিত্তিক এয়ারলাইনসটি বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। কারণ, অভিযোগগুলো তাঁদের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফিনিক্স থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানটি যখন ছাড়বে, সে রকম সময়ে একজন ফ্লাইট ক্রু এসে কৃষ্ণাঙ্গদের বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন। অ্যালভিন জ্যাকসন, ইমানুয়েল জিন জোসেফ ও জেভিয়ার ভেলের কাছে তখন পরিষ্কার হয় যে কেবল গায়ের রঙের কারণেই তাঁদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই তিন ব্যক্তিই সেদিন সকালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বিমানে করে অ্যারিজোনায় এসেছিলেন।
এই তিনজনসহ বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় মোট পাঁচজন কৃষ্ণাঙ্গকে। বিমানের দরজায় এয়ারলাইনসটির এক কর্মী তাঁদের জানান, একজন শ্বেতাঙ্গ ফ্লাইট ক্রু অজ্ঞাত যাত্রীর শরীরের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
বিবৃতিতে মামলাকারীরা বলেন, ‘আমাদের গায়ের রং ছাড়া সেই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা নেই। পরিষ্কারভাবে এটি বর্ণবাদী বৈষম্য।’
সেই রাতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের কর্মীরা এই ব্যক্তিদের অন্য ফ্লাইটে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে রাতে নিউইয়র্কগামী আর কোনো ফ্লাইট ছিল না। তাই তাঁদের আসল ফ্লাইটেই আবার ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে আরও এসেছে যে ফ্লাইটজুড়ে—বিমানে পুনরায় ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিবার সাক্ষাতেই বাদীরা অনুভব করেছেন বিব্রত, অপমান, উদ্বেগ, রাগ ও কষ্টের অনুভূতি।
আমেরিকান এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বৈষম্যের সব অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই এবং আমরা চাই, আমাদের গ্রাহকেরা যেন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পান।’
কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিরা যখন বিমানের বাইরে ছিলেন তখন পাইলট এক ঘোষণায় বলছিলেন, গায়ের দুর্গন্ধের কারণে সৃষ্ট এক ঘটনার জন্য ফ্লাইট শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। তবে বাদীরা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মামলাকারীদের একজন ইমানুয়েল জিন জোসেফ বিবিসিকে বলেন, সেদিনের অভিজ্ঞতা তাঁকে নাগরিক অধিকার সংগ্রামের নায়ক রোজা পার্কসের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্র-অনুমোদিত জাতিগত বৈষম্যের কারণে রোজা পার্কসকে ১৯৫৫ সালে আলাবামায় বাসের পেছনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এই তিনজনের অভিযোগ, শরীরের গন্ধের অভিযোগ এনে তাঁদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
অ্যারিজোনার ফিনিক্স থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানে গত ৫ জানুয়ারি ঘটে এ ঘটনা। অ্যালভিন জ্যাকসন, ইমানুয়েল জিন জোসেফ ও জেভিয়ার ভেলের করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই তিনজনসহ আরও যে কৃষ্ণাঙ্গরা বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন—তাঁরা একসঙ্গেও বসেননি এবং কেউ কাউকে চিনতেনও না। কিন্তু সেই ফ্লাইটের প্রত্যেক কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীকেই তাঁদের আসন থেকে তুলে বের করে দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই আচরণের শিকার ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা কালো হওয়ায় আমেরিকান এয়ারলাইনস আমাদের আলাদা করেছে, আমাদের বিব্রত এবং আমাদের অপমান করেছে।’
টেক্সাসভিত্তিক এয়ারলাইনসটি বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। কারণ, অভিযোগগুলো তাঁদের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফিনিক্স থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানটি যখন ছাড়বে, সে রকম সময়ে একজন ফ্লাইট ক্রু এসে কৃষ্ণাঙ্গদের বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন। অ্যালভিন জ্যাকসন, ইমানুয়েল জিন জোসেফ ও জেভিয়ার ভেলের কাছে তখন পরিষ্কার হয় যে কেবল গায়ের রঙের কারণেই তাঁদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই তিন ব্যক্তিই সেদিন সকালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বিমানে করে অ্যারিজোনায় এসেছিলেন।
এই তিনজনসহ বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় মোট পাঁচজন কৃষ্ণাঙ্গকে। বিমানের দরজায় এয়ারলাইনসটির এক কর্মী তাঁদের জানান, একজন শ্বেতাঙ্গ ফ্লাইট ক্রু অজ্ঞাত যাত্রীর শরীরের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
বিবৃতিতে মামলাকারীরা বলেন, ‘আমাদের গায়ের রং ছাড়া সেই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা নেই। পরিষ্কারভাবে এটি বর্ণবাদী বৈষম্য।’
সেই রাতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের কর্মীরা এই ব্যক্তিদের অন্য ফ্লাইটে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে রাতে নিউইয়র্কগামী আর কোনো ফ্লাইট ছিল না। তাই তাঁদের আসল ফ্লাইটেই আবার ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে আরও এসেছে যে ফ্লাইটজুড়ে—বিমানে পুনরায় ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিবার সাক্ষাতেই বাদীরা অনুভব করেছেন বিব্রত, অপমান, উদ্বেগ, রাগ ও কষ্টের অনুভূতি।
আমেরিকান এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বৈষম্যের সব অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই এবং আমরা চাই, আমাদের গ্রাহকেরা যেন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পান।’
কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিরা যখন বিমানের বাইরে ছিলেন তখন পাইলট এক ঘোষণায় বলছিলেন, গায়ের দুর্গন্ধের কারণে সৃষ্ট এক ঘটনার জন্য ফ্লাইট শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। তবে বাদীরা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মামলাকারীদের একজন ইমানুয়েল জিন জোসেফ বিবিসিকে বলেন, সেদিনের অভিজ্ঞতা তাঁকে নাগরিক অধিকার সংগ্রামের নায়ক রোজা পার্কসের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্র-অনুমোদিত জাতিগত বৈষম্যের কারণে রোজা পার্কসকে ১৯৫৫ সালে আলাবামায় বাসের পেছনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২২ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩৫ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে