হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল দেশটি। কিন্তু দেশটি নানা কারণে ইরানকে সহায়তা করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিগত ৪৫ বছর ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মূলত ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরপরই দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরও ইরান রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইরান সরকার আমাদের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিল। আমরা জানিয়েছিলাম, আমরা সহায়তা করতে পারলে খুশিই হব...এমন পরিস্থিতিতে আমরা যেকোনো সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কাজ করব।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারণে আমরা সেই সহায়তা দিতে পারিনি।’ কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই মার্কিন কর্মকর্তা।
ম্যাথিউ মিলার জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই তেহরান ওয়াশিংটনের সহায়তা চায়। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি ম্যাথিউ মিলার।
এদিকে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ইরানি জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছি।’
তবে এই সমবেদনা ইরানের শাসকগোষ্ঠী বা রাইসির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নয় বলেই উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যার হাতে প্রচুর (মানুষে) রক্ত লেগে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাইসি নৃশংসতার জন্য দায়ী। যাই হোক, অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আমরা অবশ্যই যেকোনো মৃত্যুতে অনুতপ্ত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারি শোক প্রকাশ করেছি।’
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক জানালেও যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্তালিন, উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুং এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কোনো বার্তা পাঠায়নি।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল দেশটি। কিন্তু দেশটি নানা কারণে ইরানকে সহায়তা করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিগত ৪৫ বছর ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মূলত ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরপরই দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরও ইরান রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইরান সরকার আমাদের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিল। আমরা জানিয়েছিলাম, আমরা সহায়তা করতে পারলে খুশিই হব...এমন পরিস্থিতিতে আমরা যেকোনো সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কাজ করব।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারণে আমরা সেই সহায়তা দিতে পারিনি।’ কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই মার্কিন কর্মকর্তা।
ম্যাথিউ মিলার জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই তেহরান ওয়াশিংটনের সহায়তা চায়। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি ম্যাথিউ মিলার।
এদিকে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ইরানি জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছি।’
তবে এই সমবেদনা ইরানের শাসকগোষ্ঠী বা রাইসির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নয় বলেই উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যার হাতে প্রচুর (মানুষে) রক্ত লেগে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাইসি নৃশংসতার জন্য দায়ী। যাই হোক, অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আমরা অবশ্যই যেকোনো মৃত্যুতে অনুতপ্ত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারি শোক প্রকাশ করেছি।’
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক জানালেও যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্তালিন, উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুং এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কোনো বার্তা পাঠায়নি।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৭ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৯ ঘণ্টা আগে