অনলাইন ডেস্ক
ইরানে ব্যাপক ইসরায়েলি হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক চুক্তির সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান নিয়ে কৌশলগত বৈঠকের জন্য ‘সিচুয়েশন রুমে’ যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এ কথা বলেন।
ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্বের বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দেশটির শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদেরও হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক স্থাপনা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইটগুলোতে সক্রিয়ভাবে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরানের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা এই হামলার জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য ইরানি প্রতিশোধমূলক হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ আগামীকাল রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে পরিকল্পিত ষষ্ঠ দফার পারমাণবিক আলোচনায় বসতে চান। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা অংশ নেবে না।
ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছে, ট্রাম্প তা ব্যবহার করে ইরানকে আলোচনা টেবিলে ফিরিয়ে আনতে চান। তাঁর মতে, এখন ইরান দুর্বল অবস্থানে আছে। তবে সামগ্রিকভাবে পারমাণবিক কূটনীতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল দেখাচ্ছে না।
ইসরায়েলের হামলা পারমাণবিক কূটনীতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। হয়তো উল্টোটা। হয়তো এখন তারা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করবে।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম, আজ ৬১ তম দিন। তাদের একটি চুক্তি করা উচিত ছিল।’
ট্রাম্প যুক্তি দেন, ইসরায়েলের পঙ্গুকারী হামলার পর ইরানের এখন চুক্তি করার জন্য আরও জোরালো উৎসাহ আছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ৬০ দিনের মধ্যে একটি চুক্তিতে আনতে পারিনি। তারা কাছাকাছি ছিল, তাদের করা উচিত ছিল। হয়তো এখন তা হবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘গতকাল একটি বড় দিন ছিল’ এবং ইসরায়েল হামলায় ‘দুর্দান্ত সব আমেরিকান সরঞ্জাম।’
এদিকে, হামলা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিলেন যেন চুক্তির সম্ভাবনা ‘ভেঙে’ যায়, এমন কিছু ইসরায়েল না করে। গত রাত থেকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন যে, ট্রাম্প পুরোপুরি রাজি ছিলেন। আর কেবল ‘ধোঁয়াশা’ হিসেবে জনসমক্ষে হামলার বিরোধিতা করেছিলেন, যাতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে।
হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শুক্রবার অ্যাক্সিওসের সঙ্গে ফোনালাপে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক আলোচনা চলমান থাকাকালে ট্রাম্প চাননি ইসরায়েল ইরান আক্রমণ করুক।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা হামলার আগে প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলিদের এটি বলেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরান আক্রমণ করার বা ইসরায়েলি অভিযানে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।’
উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে ফোরদোতে একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে হবে, যা একটি পাহাড়ের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। এই স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলের কাছে বড় বাঙ্কার বাস্টার নেই। তাই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আশা করছেন—যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো ধ্বংসের অভিযানে যোগ দেবে।
ইরানে ব্যাপক ইসরায়েলি হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক চুক্তির সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান নিয়ে কৌশলগত বৈঠকের জন্য ‘সিচুয়েশন রুমে’ যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এ কথা বলেন।
ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্বের বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দেশটির শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদেরও হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক স্থাপনা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইটগুলোতে সক্রিয়ভাবে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরানের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা এই হামলার জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য ইরানি প্রতিশোধমূলক হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ আগামীকাল রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে পরিকল্পিত ষষ্ঠ দফার পারমাণবিক আলোচনায় বসতে চান। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা অংশ নেবে না।
ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছে, ট্রাম্প তা ব্যবহার করে ইরানকে আলোচনা টেবিলে ফিরিয়ে আনতে চান। তাঁর মতে, এখন ইরান দুর্বল অবস্থানে আছে। তবে সামগ্রিকভাবে পারমাণবিক কূটনীতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল দেখাচ্ছে না।
ইসরায়েলের হামলা পারমাণবিক কূটনীতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। হয়তো উল্টোটা। হয়তো এখন তারা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করবে।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম, আজ ৬১ তম দিন। তাদের একটি চুক্তি করা উচিত ছিল।’
ট্রাম্প যুক্তি দেন, ইসরায়েলের পঙ্গুকারী হামলার পর ইরানের এখন চুক্তি করার জন্য আরও জোরালো উৎসাহ আছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ৬০ দিনের মধ্যে একটি চুক্তিতে আনতে পারিনি। তারা কাছাকাছি ছিল, তাদের করা উচিত ছিল। হয়তো এখন তা হবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘গতকাল একটি বড় দিন ছিল’ এবং ইসরায়েল হামলায় ‘দুর্দান্ত সব আমেরিকান সরঞ্জাম।’
এদিকে, হামলা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিলেন যেন চুক্তির সম্ভাবনা ‘ভেঙে’ যায়, এমন কিছু ইসরায়েল না করে। গত রাত থেকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন যে, ট্রাম্প পুরোপুরি রাজি ছিলেন। আর কেবল ‘ধোঁয়াশা’ হিসেবে জনসমক্ষে হামলার বিরোধিতা করেছিলেন, যাতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে।
হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শুক্রবার অ্যাক্সিওসের সঙ্গে ফোনালাপে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক আলোচনা চলমান থাকাকালে ট্রাম্প চাননি ইসরায়েল ইরান আক্রমণ করুক।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা হামলার আগে প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলিদের এটি বলেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরান আক্রমণ করার বা ইসরায়েলি অভিযানে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।’
উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে ফোরদোতে একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে হবে, যা একটি পাহাড়ের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। এই স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলের কাছে বড় বাঙ্কার বাস্টার নেই। তাই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আশা করছেন—যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো ধ্বংসের অভিযানে যোগ দেবে।
ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ মিনিট আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
৩ মিনিট আগেলোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
২৫ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
৪০ মিনিট আগে