ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি যদি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে মার্কিন সরকারের কাছে থাকা ভিনগ্রহীদের (UFO বা UAP) সম্পর্কিত সমস্ত গোপন নথি প্রকাশ করে দেবেন। এই প্রতিশ্রুতি তাঁর ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের একটি অংশ হিসেবেও এসেছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে UFO কি। এটা হলো Unidentified Flying Object, যার বাংলা অর্থ ‘অজ্ঞাত উড্ডয়ন বস্তু’। এটি সাধারণত আকাশে এমন কোনো বস্তু বা ঘটনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার পরিচয় বা প্রকৃতি তৎক্ষণাৎ শনাক্ত করা যায় না।
UFO শব্দটি প্রথমে সামরিক ও বেসামরিক পাইলট এবং বিজ্ঞানীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছিল এমন উড্ডয়ন বস্তু বোঝাতে যেগুলো মানুষের সাধারণ জ্ঞানের বাইরে ছিল। এটি ভিনগ্রহের যান বোঝানোর জন্য সরাসরি ব্যবহৃত না হলেও, জনসাধারণের কাছে শব্দটি সাধারণত ভিনগ্রহীদের যান হিসেবেই ধরা হয়।
১৯৫০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এই শব্দটি জনপ্রিয় হয়, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর গবেষণার অংশ হিসেবে। UFO-র বদলে এখন নতুন আরেকটি শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা হলো UAP (Unidentified Aerial Phenomena), যা মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ও বিজ্ঞানীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য।
নির্বাচনের আগে দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুসারে, তিনি নিজের প্রশাসনে বিমানবাহিনীর কিছু অভিজ্ঞ পাইলটের কাছ থেকে গোলাকার উজ্জ্বল রঙের অস্বাভাবিক বস্তু সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলেন। এসব বস্তু ফাইটার জেটের চেয়ে চারগুণ দ্রুত গতিতে চলতে সক্ষম।
ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। এখন মানুষ আশা করছে, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভিনগ্রহীদের সব তথ্য সামনে আসবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা সীমিত হতে পারে। এর প্রধান কারণ, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কাছে কেবল তার নিজের প্রশাসনের সময় তৈরি হওয়া নথি অ্যাক্সেসের অনুমতি রয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের অধীনে থাকা কোনো নথি প্রকাশ করতে হলে বর্তমান প্রেসিডেন্টেরও সম্মতি প্রয়োজন।
দ্বিতীয় কারণ হলো, ভিনগ্রহীদের তথ্য সংক্রান্ত নথি যদি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তবে সেগুলোর প্রকাশ করতে কঠোর আইনি ও নিরাপত্তা বাধা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল রেকর্ড অ্যাক্ট অনুযায়ী, এসব নথি সাধারণত জাতীয় আর্কাইভের অধীনে থাকে এবং সাবেক প্রেসিডেন্টদের সেগুলোর ওপর সরাসরি কোনো অধিকার থাকে না।
আরেকটি কারণও আছে, ভিনগ্রহী বা UFO সংক্রান্ত অনেক তথ্য সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অধীনেই থাকে। সেগুলো জনসমক্ষে আনার আগে নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ণয় করা হয়।
ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের শেষদিকে ২০২০ সালে একটি আইন স্বাক্ষর করেছিলেন যা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে UFO বিষয়ে একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করে। এই রিপোর্ট পরে কংগ্রেসে জমা দেওয়া হয় এবং এর কিছু অংশ জনসমক্ষে আসে। তবে এটি কংগ্রেসের উদ্যোগ ছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি সিদ্ধান্ত নয়।
ভিনগ্রহীদের নিয়ে আমেরিকানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেন্টাগন বেশ কিছু UFO ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং এটি এই বিষয়ের প্রতি জনগণের আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সবাই অপেক্ষায় করছেন কবে তারা এসব জানতে পারবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি যদি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে মার্কিন সরকারের কাছে থাকা ভিনগ্রহীদের (UFO বা UAP) সম্পর্কিত সমস্ত গোপন নথি প্রকাশ করে দেবেন। এই প্রতিশ্রুতি তাঁর ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের একটি অংশ হিসেবেও এসেছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে UFO কি। এটা হলো Unidentified Flying Object, যার বাংলা অর্থ ‘অজ্ঞাত উড্ডয়ন বস্তু’। এটি সাধারণত আকাশে এমন কোনো বস্তু বা ঘটনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার পরিচয় বা প্রকৃতি তৎক্ষণাৎ শনাক্ত করা যায় না।
UFO শব্দটি প্রথমে সামরিক ও বেসামরিক পাইলট এবং বিজ্ঞানীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছিল এমন উড্ডয়ন বস্তু বোঝাতে যেগুলো মানুষের সাধারণ জ্ঞানের বাইরে ছিল। এটি ভিনগ্রহের যান বোঝানোর জন্য সরাসরি ব্যবহৃত না হলেও, জনসাধারণের কাছে শব্দটি সাধারণত ভিনগ্রহীদের যান হিসেবেই ধরা হয়।
১৯৫০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এই শব্দটি জনপ্রিয় হয়, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর গবেষণার অংশ হিসেবে। UFO-র বদলে এখন নতুন আরেকটি শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা হলো UAP (Unidentified Aerial Phenomena), যা মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ও বিজ্ঞানীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য।
নির্বাচনের আগে দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুসারে, তিনি নিজের প্রশাসনে বিমানবাহিনীর কিছু অভিজ্ঞ পাইলটের কাছ থেকে গোলাকার উজ্জ্বল রঙের অস্বাভাবিক বস্তু সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলেন। এসব বস্তু ফাইটার জেটের চেয়ে চারগুণ দ্রুত গতিতে চলতে সক্ষম।
ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। এখন মানুষ আশা করছে, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভিনগ্রহীদের সব তথ্য সামনে আসবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা সীমিত হতে পারে। এর প্রধান কারণ, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কাছে কেবল তার নিজের প্রশাসনের সময় তৈরি হওয়া নথি অ্যাক্সেসের অনুমতি রয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের অধীনে থাকা কোনো নথি প্রকাশ করতে হলে বর্তমান প্রেসিডেন্টেরও সম্মতি প্রয়োজন।
দ্বিতীয় কারণ হলো, ভিনগ্রহীদের তথ্য সংক্রান্ত নথি যদি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তবে সেগুলোর প্রকাশ করতে কঠোর আইনি ও নিরাপত্তা বাধা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল রেকর্ড অ্যাক্ট অনুযায়ী, এসব নথি সাধারণত জাতীয় আর্কাইভের অধীনে থাকে এবং সাবেক প্রেসিডেন্টদের সেগুলোর ওপর সরাসরি কোনো অধিকার থাকে না।
আরেকটি কারণও আছে, ভিনগ্রহী বা UFO সংক্রান্ত অনেক তথ্য সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অধীনেই থাকে। সেগুলো জনসমক্ষে আনার আগে নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ণয় করা হয়।
ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের শেষদিকে ২০২০ সালে একটি আইন স্বাক্ষর করেছিলেন যা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে UFO বিষয়ে একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করে। এই রিপোর্ট পরে কংগ্রেসে জমা দেওয়া হয় এবং এর কিছু অংশ জনসমক্ষে আসে। তবে এটি কংগ্রেসের উদ্যোগ ছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি সিদ্ধান্ত নয়।
ভিনগ্রহীদের নিয়ে আমেরিকানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেন্টাগন বেশ কিছু UFO ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং এটি এই বিষয়ের প্রতি জনগণের আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সবাই অপেক্ষায় করছেন কবে তারা এসব জানতে পারবেন।
মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ মিনিট আগেলোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
২৩ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
৩৮ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে