পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অঞ্চল দুটি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো দখল নেওয়া তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার-এ-লাগোতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকেরা বলেন, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের দখল নিতে সামরিক বা অর্থনৈতিক চাপপ্রয়োগ করা হবে না— বিশ্বকে তিনি এমন আশ্বাস দেবেন কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমি এ নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এগুলো (পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড) আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য দরকার।’
গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাবে ডেনমার্ক রাজি না হলে তাদের ওপর শুল্ক আরোপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ডেনমার্ক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। অন্যদিকে পানামা খাল পুনর্দখলের হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাভিয়ের মার্তিনেজ-আচার বলেন, ‘পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ শুধু পানামার হাতেই থাকবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশ কঠোর বিদেশনীতি অনুসরণ করবেন ট্রাম্প। এরইমধ্যে বেশ আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিষয় বা মার্কিন মিত্রদের উদ্বেগের কোনো মূল্য দিচ্ছেন না।
ট্রাম্প বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর কানাডাকে মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার, ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি এবং মেক্সিকো উপসাগরকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কানাডা থেকে আমদানি ও দেশটিকে সামরিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এসবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ হয় না। তিনি দুই দেশের মধ্যে সীমান্তকে ‘কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা’ আখ্যা দেন।
ন্যাটো সদস্যদের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দাগেন ট্রাম্প। অধিকাংশ সদস্য ন্যাটোকে ‘ন্যায্য পাওনা দিতে প্রস্তুত নয়’ বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প চান, ন্যাটো সদস্যরা নিজেদের মোট দেশজ উৎপাদনের ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করুক, যা বর্তমান ২ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ন্যাটোকে ৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। তারা সবাই এটা করতে পারবে। তবে তাদের ৫ শতাংশ ব্যয় করা উচিত, ২ শতাংশ নয়।’
ন্যাটোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রসহ জোটটির কোনো সদস্য দেশই বর্তমানে প্রতিরক্ষায় ৫ শতাংশ ব্যয় করে না। জিডিপি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যয় করে পোল্যান্ড, যা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ, এরপর ইস্তোনিয়া ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গালফ অব মেক্সিকোর নাম গালফ অব আমেরিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তবে মেক্সিকোর অর্থনৈতিক মন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড গালফ অব মেক্সিকো পুনর্নামের ট্রাম্পের আহ্বানকে তেমন গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘আজ আমি আপনাকে বলব, যদি আমরা ৩০ বছর পর দেখা করি, গালফ অব মেক্সিকো তখনো গালফ অব মেক্সিকো হিসেবেই থাকবে। মেক্সিকো সরকার এই বিতর্কে জড়াবে না বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ডেনালির নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট ম্যাককিনলি করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই নামটি পরিবর্তন করেছিলেন এবং এটি উত্তর আমেরিকার আদিবাসীদের সম্মানে করা হয়েছিল।
পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অঞ্চল দুটি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো দখল নেওয়া তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার-এ-লাগোতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকেরা বলেন, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের দখল নিতে সামরিক বা অর্থনৈতিক চাপপ্রয়োগ করা হবে না— বিশ্বকে তিনি এমন আশ্বাস দেবেন কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমি এ নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এগুলো (পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড) আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য দরকার।’
গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাবে ডেনমার্ক রাজি না হলে তাদের ওপর শুল্ক আরোপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ডেনমার্ক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। অন্যদিকে পানামা খাল পুনর্দখলের হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাভিয়ের মার্তিনেজ-আচার বলেন, ‘পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ শুধু পানামার হাতেই থাকবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশ কঠোর বিদেশনীতি অনুসরণ করবেন ট্রাম্প। এরইমধ্যে বেশ আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিষয় বা মার্কিন মিত্রদের উদ্বেগের কোনো মূল্য দিচ্ছেন না।
ট্রাম্প বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর কানাডাকে মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার, ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি এবং মেক্সিকো উপসাগরকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কানাডা থেকে আমদানি ও দেশটিকে সামরিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এসবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ হয় না। তিনি দুই দেশের মধ্যে সীমান্তকে ‘কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা’ আখ্যা দেন।
ন্যাটো সদস্যদের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দাগেন ট্রাম্প। অধিকাংশ সদস্য ন্যাটোকে ‘ন্যায্য পাওনা দিতে প্রস্তুত নয়’ বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প চান, ন্যাটো সদস্যরা নিজেদের মোট দেশজ উৎপাদনের ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করুক, যা বর্তমান ২ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ন্যাটোকে ৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। তারা সবাই এটা করতে পারবে। তবে তাদের ৫ শতাংশ ব্যয় করা উচিত, ২ শতাংশ নয়।’
ন্যাটোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রসহ জোটটির কোনো সদস্য দেশই বর্তমানে প্রতিরক্ষায় ৫ শতাংশ ব্যয় করে না। জিডিপি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যয় করে পোল্যান্ড, যা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ, এরপর ইস্তোনিয়া ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গালফ অব মেক্সিকোর নাম গালফ অব আমেরিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তবে মেক্সিকোর অর্থনৈতিক মন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড গালফ অব মেক্সিকো পুনর্নামের ট্রাম্পের আহ্বানকে তেমন গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘আজ আমি আপনাকে বলব, যদি আমরা ৩০ বছর পর দেখা করি, গালফ অব মেক্সিকো তখনো গালফ অব মেক্সিকো হিসেবেই থাকবে। মেক্সিকো সরকার এই বিতর্কে জড়াবে না বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ডেনালির নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট ম্যাককিনলি করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই নামটি পরিবর্তন করেছিলেন এবং এটি উত্তর আমেরিকার আদিবাসীদের সম্মানে করা হয়েছিল।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
৩৪ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে