যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন এমন কয়েক ডজন তথ্যদাতা এবং এজেন্টের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে প্রতিটি স্টেশন এবং ঘাঁটিতে তারবার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োগ করা তথ্যদাতার সংখ্যা কমে এসেছে। গত কয়েক বছর ধরেই এমন চিত্র দেখছেন তাঁরা। তবে ঠিক কী কারণে এমন হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। নিখোঁজদের হত্যা করা হয়েছে, অন্য কোনো সংস্থার হাতে ধরা পড়েছেন কিংবা কারও সঙ্গে সমঝোতা করেছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদের সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি। সিআইএ এমন তথ্য কখনোই প্রকাশ করে না।
গত কয়েক বছরে এমন অনেক ঘটনার তদন্ত করেছে সিআইএর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স মিশন সেন্টার। এসব তদন্তে বিদেশি তথ্যদাতাদের হত্যা, গ্রেপ্তার বা সমঝোতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে গোপন তারবার্তায় নির্দিষ্টসংখ্যক এজেন্ট নিহত হওয়ার তথ্য পাঠিয়েছে সিআইএ। এ ছাড়া বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো সিআইএর গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে জোরেশোরে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে গুপ্তচরদের উভয় পক্ষের হয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
সিআইএ স্বীকার করে নিয়েছে গুপ্তচর নিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। ঝুঁকি হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্বল বাণিজ্যিক পরিবহন, সোর্সের ওপর অতিবিশ্বাস, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে অবমূল্যায়ন করা এবং গোয়েন্দা ঝুঁকির দিকে যথেষ্ট মনোযোগ না দিয়ে গুপ্তচর নিয়োগ দেওয়া।
সিআইএ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিপুলসংখ্যক সিআইএ তথ্যদাতাকে সমঝোতায় নিয়ে সংস্থাটির গতিবিধি শনাক্তের চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা বায়োমেট্রিক স্ক্যান, ফেসিয়াল রিকগনিশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও হ্যাকিংয়ের মতো বিষয়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এজেন্ট নিয়োগ করতে বেশ বেগ পেতে হয় সিআইএকে। কারণ, এমন পরিবেশে কাজ করতে হয় যাতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানতে না পারে। এ জন্যই বিশ্বে তাঁদের এজেন্টদের সেরা হিসেবে মানা হয়। এ জটিলতার কথা উল্লেখ করলেও সম্প্রতি দ্রুত নতুন এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তারবার্তায় জানায় সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও অন্যান্য দেশের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিআইএর এজেন্টকে ধরতে এবং সব তথ্য জানতে নিজেদের এজেন্ট দ্বিগুণ করেছে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তান। এতে করে চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে সিআইএ এজেন্টদের। এমন আরও বাধা নতুন করে সামনে এলেও সেগুলো তেমন গুরুত্ব না দিয়েই দ্রুত এজেন্ট বাড়িয়েছে সংস্থাটি। এতে করে কয়েক ডজন এজেন্ট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে রয়েছে তাঁরা।
এমন তথ্য প্রকাশের পর সিআইএর অভ্যন্তরীণ জটিলতার কিছু চিত্র উঠে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তা ডগলাস লন্ডন রয়টার্সকে বলেন, ‘কোনো এজেন্টের সঙ্গে যখন বাজে কিছু ঘটে, তখন কাউকেই দায়ী করা হয় না। তবে এমনও হয় যে, এসব ব্যাপার আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে কিছুই করার থাকে না। কিন্তু এজেন্টদের প্রতি অবহেলা করা হলে এ ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কখনোই দায় স্বীকার করেন না।’ এমন মন্তব্য করলেও সিআইএর সাম্প্রতিক তারবার্তা নিয়ে অবগত নন বলে জানান ডগলাস।
সংস্থাটির কর্মকাণ্ড নিয়েও দেখা দিয়েছে কিছুটা দ্বন্দ্ব। গত দুই দশকে আফগানিস্তান, ইরাক ও ইরানে সংঘাত এবং সন্ত্রাসবাদে বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা। প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করা রাশিয়া ও চীনের ব্যাপারে এতটা গুরুত্ব পায়নি। এটি এখন আবারও তাদের মূল ইস্যু হবে বলে তারবার্তায় আভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েক ডজন কর্মী হারানোর ফলে কাজটা এত সহজ হবে না। সেই সঙ্গে কর্মী নিয়োগে জটিলতা তো রয়েছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন এমন কয়েক ডজন তথ্যদাতা এবং এজেন্টের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে প্রতিটি স্টেশন এবং ঘাঁটিতে তারবার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োগ করা তথ্যদাতার সংখ্যা কমে এসেছে। গত কয়েক বছর ধরেই এমন চিত্র দেখছেন তাঁরা। তবে ঠিক কী কারণে এমন হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। নিখোঁজদের হত্যা করা হয়েছে, অন্য কোনো সংস্থার হাতে ধরা পড়েছেন কিংবা কারও সঙ্গে সমঝোতা করেছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদের সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি। সিআইএ এমন তথ্য কখনোই প্রকাশ করে না।
গত কয়েক বছরে এমন অনেক ঘটনার তদন্ত করেছে সিআইএর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স মিশন সেন্টার। এসব তদন্তে বিদেশি তথ্যদাতাদের হত্যা, গ্রেপ্তার বা সমঝোতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে গোপন তারবার্তায় নির্দিষ্টসংখ্যক এজেন্ট নিহত হওয়ার তথ্য পাঠিয়েছে সিআইএ। এ ছাড়া বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো সিআইএর গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে জোরেশোরে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে গুপ্তচরদের উভয় পক্ষের হয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
সিআইএ স্বীকার করে নিয়েছে গুপ্তচর নিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। ঝুঁকি হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্বল বাণিজ্যিক পরিবহন, সোর্সের ওপর অতিবিশ্বাস, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে অবমূল্যায়ন করা এবং গোয়েন্দা ঝুঁকির দিকে যথেষ্ট মনোযোগ না দিয়ে গুপ্তচর নিয়োগ দেওয়া।
সিআইএ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিপুলসংখ্যক সিআইএ তথ্যদাতাকে সমঝোতায় নিয়ে সংস্থাটির গতিবিধি শনাক্তের চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা বায়োমেট্রিক স্ক্যান, ফেসিয়াল রিকগনিশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও হ্যাকিংয়ের মতো বিষয়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এজেন্ট নিয়োগ করতে বেশ বেগ পেতে হয় সিআইএকে। কারণ, এমন পরিবেশে কাজ করতে হয় যাতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানতে না পারে। এ জন্যই বিশ্বে তাঁদের এজেন্টদের সেরা হিসেবে মানা হয়। এ জটিলতার কথা উল্লেখ করলেও সম্প্রতি দ্রুত নতুন এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তারবার্তায় জানায় সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও অন্যান্য দেশের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিআইএর এজেন্টকে ধরতে এবং সব তথ্য জানতে নিজেদের এজেন্ট দ্বিগুণ করেছে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তান। এতে করে চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে সিআইএ এজেন্টদের। এমন আরও বাধা নতুন করে সামনে এলেও সেগুলো তেমন গুরুত্ব না দিয়েই দ্রুত এজেন্ট বাড়িয়েছে সংস্থাটি। এতে করে কয়েক ডজন এজেন্ট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে রয়েছে তাঁরা।
এমন তথ্য প্রকাশের পর সিআইএর অভ্যন্তরীণ জটিলতার কিছু চিত্র উঠে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তা ডগলাস লন্ডন রয়টার্সকে বলেন, ‘কোনো এজেন্টের সঙ্গে যখন বাজে কিছু ঘটে, তখন কাউকেই দায়ী করা হয় না। তবে এমনও হয় যে, এসব ব্যাপার আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে কিছুই করার থাকে না। কিন্তু এজেন্টদের প্রতি অবহেলা করা হলে এ ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কখনোই দায় স্বীকার করেন না।’ এমন মন্তব্য করলেও সিআইএর সাম্প্রতিক তারবার্তা নিয়ে অবগত নন বলে জানান ডগলাস।
সংস্থাটির কর্মকাণ্ড নিয়েও দেখা দিয়েছে কিছুটা দ্বন্দ্ব। গত দুই দশকে আফগানিস্তান, ইরাক ও ইরানে সংঘাত এবং সন্ত্রাসবাদে বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা। প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করা রাশিয়া ও চীনের ব্যাপারে এতটা গুরুত্ব পায়নি। এটি এখন আবারও তাদের মূল ইস্যু হবে বলে তারবার্তায় আভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েক ডজন কর্মী হারানোর ফলে কাজটা এত সহজ হবে না। সেই সঙ্গে কর্মী নিয়োগে জটিলতা তো রয়েছেই।
তাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
৩৯ মিনিট আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
১ ঘণ্টা আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
১ ঘণ্টা আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও স্পেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার যে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যে যুক্তিই তুলে ধরা হোক না কেন, তা আন্তর্জা
১ ঘণ্টা আগে