ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয় স্মৃতিকথায় ভিন্নমাত্রা যুক্ত করলেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সাধারণ জনগণের উদ্দেশে কিছু বলতে গেলে তিনি ভয় পেতেন এবং প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতেন। আর সেই সময়টাতে তিনি মাদক গ্রহণসহ নানা উপায়ে সেই আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করতেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রিন্স হ্যারি তাঁর স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’-এর স্প্যানিশ সংস্করণে লিখেছেন, ‘সাইকেডেলিক ওষুধও আমাকে সাহায্য করেছিল। আমি সাধারণ আনন্দের জন্য সারা বছর ধরে এটা খেতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি এটা ওষুধ হিসেবে, থেরাপির জন্য খাই।’
হ্যারি আরও উল্লেখ করেন, এসব ওষুধ তাঁকে ‘খুব সীমিত সংবেদনশীল উপলব্ধির বাইরে অন্য একটি জগৎ’ দেখতে দিয়েছে। দার্শনিকেরা যে অবস্থান থেকে বলতেন যে ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবন একটি বিভ্রম’, তেমন একধরনের উপলব্ধি তাঁর হতো বলে জানিয়েছেন হ্যারি।
হ্যারি আরও স্বীকার করেছেন, তিনি এমন পরিস্থিতিতে ‘অন্য রকম অনুভব করতে’ কোকেন সেবন করতেন।
প্রিন্স হ্যারির বহুল আলোচিত স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’ বাজারে আসবে ১০ জানুয়ারি। এর আগে বইটির কপি পেয়েছে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বইটির একটি অধ্যায়ে অগ্রজ প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী মেগানকে প্রিন্স উইলিয়াম “অভদ্র”, “রূঢ়”, “বেয়াদব” বলেছেন। এ নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে জড়ান। একপর্যায়ে আমার কলার চেপে ধরেন উইলিয়াম। এতে আমার গলার নেকলেস ছিঁড়ে যায়। এরপর তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন। আমি ছিটকে কুকুরের খাবার রাখা পাত্রের ওপর পড়ে যাই। পাত্রটি ভেঙে আমার পিঠ কেটে যায়। আমি হতবাক হয়ে ওখানেই শুয়ে ছিলাম। তিনি আমার পায়ের কাছে এসে দাঁড়ান এবং ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মারা গেছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর মৃত্যুর পর রাজার সিংহাসনে আরোহণ করেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির বাবা ৭৪ বছর বয়সী চার্লস।
তার পর থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।
২০২০ সালে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে গেছেন প্রিন্স হ্যারি। এর পর থেকে রাজপরিবার ও ভাইয়ের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
গত বছর বিখ্যাত টেলিভিশন তারকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজপরিবার সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্রে হ্যারি ও ৪১ বছর বয়সী মেগান তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমানোর নেপথ্যের কারণ বলেছেন। সেই তথ্যচিত্রে তাঁরা রাজপরিবারের সঙ্গে তাঁদের নানান নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অকপটে প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয় স্মৃতিকথায় ভিন্নমাত্রা যুক্ত করলেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সাধারণ জনগণের উদ্দেশে কিছু বলতে গেলে তিনি ভয় পেতেন এবং প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতেন। আর সেই সময়টাতে তিনি মাদক গ্রহণসহ নানা উপায়ে সেই আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করতেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রিন্স হ্যারি তাঁর স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’-এর স্প্যানিশ সংস্করণে লিখেছেন, ‘সাইকেডেলিক ওষুধও আমাকে সাহায্য করেছিল। আমি সাধারণ আনন্দের জন্য সারা বছর ধরে এটা খেতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি এটা ওষুধ হিসেবে, থেরাপির জন্য খাই।’
হ্যারি আরও উল্লেখ করেন, এসব ওষুধ তাঁকে ‘খুব সীমিত সংবেদনশীল উপলব্ধির বাইরে অন্য একটি জগৎ’ দেখতে দিয়েছে। দার্শনিকেরা যে অবস্থান থেকে বলতেন যে ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবন একটি বিভ্রম’, তেমন একধরনের উপলব্ধি তাঁর হতো বলে জানিয়েছেন হ্যারি।
হ্যারি আরও স্বীকার করেছেন, তিনি এমন পরিস্থিতিতে ‘অন্য রকম অনুভব করতে’ কোকেন সেবন করতেন।
প্রিন্স হ্যারির বহুল আলোচিত স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’ বাজারে আসবে ১০ জানুয়ারি। এর আগে বইটির কপি পেয়েছে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বইটির একটি অধ্যায়ে অগ্রজ প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী মেগানকে প্রিন্স উইলিয়াম “অভদ্র”, “রূঢ়”, “বেয়াদব” বলেছেন। এ নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে জড়ান। একপর্যায়ে আমার কলার চেপে ধরেন উইলিয়াম। এতে আমার গলার নেকলেস ছিঁড়ে যায়। এরপর তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন। আমি ছিটকে কুকুরের খাবার রাখা পাত্রের ওপর পড়ে যাই। পাত্রটি ভেঙে আমার পিঠ কেটে যায়। আমি হতবাক হয়ে ওখানেই শুয়ে ছিলাম। তিনি আমার পায়ের কাছে এসে দাঁড়ান এবং ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মারা গেছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর মৃত্যুর পর রাজার সিংহাসনে আরোহণ করেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির বাবা ৭৪ বছর বয়সী চার্লস।
তার পর থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।
২০২০ সালে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে গেছেন প্রিন্স হ্যারি। এর পর থেকে রাজপরিবার ও ভাইয়ের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
গত বছর বিখ্যাত টেলিভিশন তারকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজপরিবার সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্রে হ্যারি ও ৪১ বছর বয়সী মেগান তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমানোর নেপথ্যের কারণ বলেছেন। সেই তথ্যচিত্রে তাঁরা রাজপরিবারের সঙ্গে তাঁদের নানান নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অকপটে প্রকাশ করেছেন।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২১ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে