এএফপি, ওয়াশিংটন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কই যেন কাল হতে যাচ্ছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য। তাঁর নিজ দলের নেতারা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, চলতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যেন সরে দাঁড়ান। এরই মধ্যে গতকাল নতুন এক জরিপে বলা হয়েছে, অর্ধেক ডেমোক্র্যাটই চাইছেন বাইডেন যেন সরে দাঁড়ান।
বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ ও ইপসস একটি জরিপ চালায়। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও বাইডেন এই জরিপে সমান ৪৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। গত এপ্রিলে এবিসি নিউজ ও ইপসসের জরিপেও এমন চিত্র উঠে এসেছিল। তবে এবার বাইডেনের জন্য দুঃসংবাদই উঠে এল জরিপে। ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপে বলা হয়েছে, ৫৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারই চাইছেন, বাইডেন যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আর জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক মার্কিন চাইছেন, ট্রাম্পও যেন সরে দাঁড়ান।
সর্বশেষ প্রকাশ্যে বাইডেনের সমালোচনা করেছেন হলিউডের অন্যতম তারকা জর্জ ক্লুনি। এই তারকা বাইডেনের জন্য তহবিল সংগ্রহের আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসে একটি কলামে জর্জ ক্লুনি লিখেছেন, ‘সপ্তাহ তিনেক আগে যে জো বাইডেনকে আমি দেখেছি, তিনি ২০১০ সালে দেখা বাইডেন নন। এমনকি তিনি ২০২০ সালে দেখা বাইডেনও নন। বরং তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে আমরা বিতর্কের মঞ্চে (ট্রাম্পের সঙ্গে) দেখেছি।’
সিএনএন বলছে, শুধু জর্জ ক্লুনি একা নন, বরং নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চাপ ক্রমে বাড়ছে বাইডেনের ওপর। দলীয় আইনপ্রণেতা থেকে দাতা—অনেকেই বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার চাইছেন। গত বুধবার ভারমন্টের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর পিটার ওয়েলচ প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা থেকে সরে আসার দাবি তোলেন। সংবাদপত্রে লেখা এক কলামে তিনি বলেন, ‘এটা দেশের জন্য ভালো হবে।’ ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে পিটার প্রথম সিনেটর, যিনি প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবি তুললেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন। বিতর্কে মোটেও ভালো করতে পারেননি তিনি। মূলত এর পর থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। এখন দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করছেন। মূলত মানসিক স্বাস্থ্যকে সামনে এনে তাঁরা বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। এই নেতারা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাইডেন আর মানসিকভাবে প্রস্তুত নন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, পিটার ওয়েলচ ছাড়াও বাইডেনের সমালোচনাকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য প্যাট রায়ান, মিকি শেরিল, অ্যাডাম স্মিথ, লয়েড ডগগেট, রাউল গ্রিজালভা, সেথ মল্টন, মাইক কুইগলি, অ্যাঞ্জি ক্রেগসহ আরও কয়েকজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে প্যাট রায়ান বলেছেন, বাইডেন একজন দেশপ্রেমিক। কিন্তু ট্রাম্পকে হারানোর জন্য তিনি আর দলের সেরা প্রার্থী নন। দেশের ভালোর জন্য বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলছেন তিনি।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ থেকে ২২ আগস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলন হবে। এই সময় মূলত প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। দলটির অনেক নেতাই এখন বাইডেনের বদলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করতে চাইছেন। এর আগে বাইডেন যদি নিজ থেকে সরে না দাঁড়ান, তবে তা হবে কুৎসিত ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কই যেন কাল হতে যাচ্ছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য। তাঁর নিজ দলের নেতারা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, চলতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যেন সরে দাঁড়ান। এরই মধ্যে গতকাল নতুন এক জরিপে বলা হয়েছে, অর্ধেক ডেমোক্র্যাটই চাইছেন বাইডেন যেন সরে দাঁড়ান।
বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ ও ইপসস একটি জরিপ চালায়। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও বাইডেন এই জরিপে সমান ৪৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। গত এপ্রিলে এবিসি নিউজ ও ইপসসের জরিপেও এমন চিত্র উঠে এসেছিল। তবে এবার বাইডেনের জন্য দুঃসংবাদই উঠে এল জরিপে। ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপে বলা হয়েছে, ৫৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারই চাইছেন, বাইডেন যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আর জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক মার্কিন চাইছেন, ট্রাম্পও যেন সরে দাঁড়ান।
সর্বশেষ প্রকাশ্যে বাইডেনের সমালোচনা করেছেন হলিউডের অন্যতম তারকা জর্জ ক্লুনি। এই তারকা বাইডেনের জন্য তহবিল সংগ্রহের আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসে একটি কলামে জর্জ ক্লুনি লিখেছেন, ‘সপ্তাহ তিনেক আগে যে জো বাইডেনকে আমি দেখেছি, তিনি ২০১০ সালে দেখা বাইডেন নন। এমনকি তিনি ২০২০ সালে দেখা বাইডেনও নন। বরং তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে আমরা বিতর্কের মঞ্চে (ট্রাম্পের সঙ্গে) দেখেছি।’
সিএনএন বলছে, শুধু জর্জ ক্লুনি একা নন, বরং নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চাপ ক্রমে বাড়ছে বাইডেনের ওপর। দলীয় আইনপ্রণেতা থেকে দাতা—অনেকেই বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার চাইছেন। গত বুধবার ভারমন্টের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর পিটার ওয়েলচ প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা থেকে সরে আসার দাবি তোলেন। সংবাদপত্রে লেখা এক কলামে তিনি বলেন, ‘এটা দেশের জন্য ভালো হবে।’ ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে পিটার প্রথম সিনেটর, যিনি প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবি তুললেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন। বিতর্কে মোটেও ভালো করতে পারেননি তিনি। মূলত এর পর থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। এখন দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করছেন। মূলত মানসিক স্বাস্থ্যকে সামনে এনে তাঁরা বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। এই নেতারা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাইডেন আর মানসিকভাবে প্রস্তুত নন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, পিটার ওয়েলচ ছাড়াও বাইডেনের সমালোচনাকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য প্যাট রায়ান, মিকি শেরিল, অ্যাডাম স্মিথ, লয়েড ডগগেট, রাউল গ্রিজালভা, সেথ মল্টন, মাইক কুইগলি, অ্যাঞ্জি ক্রেগসহ আরও কয়েকজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে প্যাট রায়ান বলেছেন, বাইডেন একজন দেশপ্রেমিক। কিন্তু ট্রাম্পকে হারানোর জন্য তিনি আর দলের সেরা প্রার্থী নন। দেশের ভালোর জন্য বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলছেন তিনি।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ থেকে ২২ আগস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলন হবে। এই সময় মূলত প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। দলটির অনেক নেতাই এখন বাইডেনের বদলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করতে চাইছেন। এর আগে বাইডেন যদি নিজ থেকে সরে না দাঁড়ান, তবে তা হবে কুৎসিত ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৪ ঘণ্টা আগে