
আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকার নেন রক্ষণশীল রাজনীতি বিশ্লেষক হিউ হিউইট। এ সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের অভিবাসননীতির কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কীভাবে উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে লোকেদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে? যাদের মধ্যে ১৩ হাজারই খুনি। তাদের মধ্যে অনেকেই একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। আপনারা জানেন, আমি বিশ্বাস করি, খুন তাদের জিনে আছে এবং আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক খারাপ জিন আছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘এ ধরনের ভাষা খুবই ঘৃণ্য, জঘন্য ও ভুলে ভরা। আমাদের দেশে এর কোনো স্থান নেই।’
বিভিন্ন সমালোচক বলেছেন, অভিবাসীদের বলির পাঁঠা বানানো এবং জাতিগত পক্ষপাতের লম্বা ইতিহাস রয়েছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতি বিশ্লেষক মিখাইল ম্যাকফাউল লিখেছেন, এই বক্তব্য যেন নাৎসিবাদী জার্মানিরই প্রতিধ্বনি করেছে।
আইসিইর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, সংস্থাটির তালিকাভুক্ত খুনের দাগি আসামি ১৩ হাজার ৯৯ জন। তবে তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। অন্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন কয়েক বছর বা দশক আগে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চান। তিনি অনিবন্ধিত অভিবাসী ও অনুপ্রবেশকারীদের সমালোচনাও করেছেন।
গত মাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, কমলা হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসের সীমান্তনীতির জন্য বিচারের আওতায় আনা উচিত। ধর্ষণ, লুটপাট, চুরি, লণ্ঠন ও হত্যাকাণ্ডের জন্য অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ‘পশু’ বলা ডাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘তারা আপনার রান্নাঘরে ঢুকে আপনার গলায় ছুরি চালিয়ে দেবে।’ ট্রাম্প হাইতি থেকে বৈধ বাসিন্দাদের নির্বাসনের হুমকিও দিয়েছিলেন। তাঁরা ওহাইওতে পারিবারিকভাবে পোষা প্রাণী খেয়ে ফেলেন বলে বিতর্কিত দাবির পুনরাবৃত্তিও করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দাবি করেন, অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের মাটিকে বিষাক্ত করে তুলছে।’ এ মন্তব্যের জন্য সে সময় তাঁকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়ার হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায়। দেশটির অনেক ভোটারের কাছে অভিবাসনসংক্রান্ত সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকার নেন রক্ষণশীল রাজনীতি বিশ্লেষক হিউ হিউইট। এ সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের অভিবাসননীতির কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কীভাবে উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে লোকেদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে? যাদের মধ্যে ১৩ হাজারই খুনি। তাদের মধ্যে অনেকেই একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। আপনারা জানেন, আমি বিশ্বাস করি, খুন তাদের জিনে আছে এবং আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক খারাপ জিন আছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘এ ধরনের ভাষা খুবই ঘৃণ্য, জঘন্য ও ভুলে ভরা। আমাদের দেশে এর কোনো স্থান নেই।’
বিভিন্ন সমালোচক বলেছেন, অভিবাসীদের বলির পাঁঠা বানানো এবং জাতিগত পক্ষপাতের লম্বা ইতিহাস রয়েছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতি বিশ্লেষক মিখাইল ম্যাকফাউল লিখেছেন, এই বক্তব্য যেন নাৎসিবাদী জার্মানিরই প্রতিধ্বনি করেছে।
আইসিইর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, সংস্থাটির তালিকাভুক্ত খুনের দাগি আসামি ১৩ হাজার ৯৯ জন। তবে তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। অন্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন কয়েক বছর বা দশক আগে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চান। তিনি অনিবন্ধিত অভিবাসী ও অনুপ্রবেশকারীদের সমালোচনাও করেছেন।
গত মাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, কমলা হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসের সীমান্তনীতির জন্য বিচারের আওতায় আনা উচিত। ধর্ষণ, লুটপাট, চুরি, লণ্ঠন ও হত্যাকাণ্ডের জন্য অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ‘পশু’ বলা ডাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘তারা আপনার রান্নাঘরে ঢুকে আপনার গলায় ছুরি চালিয়ে দেবে।’ ট্রাম্প হাইতি থেকে বৈধ বাসিন্দাদের নির্বাসনের হুমকিও দিয়েছিলেন। তাঁরা ওহাইওতে পারিবারিকভাবে পোষা প্রাণী খেয়ে ফেলেন বলে বিতর্কিত দাবির পুনরাবৃত্তিও করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দাবি করেন, অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের মাটিকে বিষাক্ত করে তুলছে।’ এ মন্তব্যের জন্য সে সময় তাঁকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়ার হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায়। দেশটির অনেক ভোটারের কাছে অভিবাসনসংক্রান্ত সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
৪১ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন। অন্যদিকে কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) ওই চিঠি লেখেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকি। এতে স্বাক্ষর করেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সিনিয়র সহকারী বিচারক মুশির আলম, সিন্ধু হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি নাদিম আখতারসহ আরও নয়জন খ্যাতনামা আইনজীবী।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা এই চিঠি স্বাভাবিক সময়ে নয়, বরং এমন সময়ে লিখছি, যা ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়েছে।’
সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা ২৭তম সংশোধনী আইনকে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ও আমূল পরিবর্তন’ হিসেবে। চিঠিতে তাঁরা বলেন, ১৯৩৫ সালের ‘গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট’ প্রণয়নের পর থেকে ফেডারেল আপিল আদালতের কাঠামোয় এমন মৌলিক পরিবর্তন আর কখনো হয়নি।
তাঁরা আরও বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো বেসামরিক বা সামরিক সরকার কখনোই সাহস করেনি অথবা সফলও হয়নি—সুপ্রিম কোর্টকে অধস্তন আদালতে নামিয়ে আনার এবং তাঁর সাংবিধানিক এখতিয়ার কেড়ে নেওয়ার, যেমনটি এখন প্রস্তাবিত ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে করা হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যদি আপনার (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) মাননীয় আদালত আমাদের সঙ্গে একমত হন যে, প্রস্তাবিত এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় ও আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, তাহলে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুরোধ করব—আপনি যেন ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন এবং ফেডারেল সরকারের কাছে এই সংশোধনী নিয়ে আদালতের মতামত ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন।’
সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীরা আরও লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ অধিকার রয়েছে সরকারের কাছে যেকোনো প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে মতামত দেওয়ার। কারণ, আইনটি আদালতের মূল কাঠামো, দায়িত্ব ও ন্যায়বিচার প্রদানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
তাঁরা তাৎক্ষণিক ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২৭তম সংশোধনীটি ১১ নভেম্বর অথবা পরবর্তী যেকোনো দিনে পাস হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ফুলকোর্ট বৈঠক আয়োজন করে যেন সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীদের মতামত নেওয়া হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যদি প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষতার অজুহাতে এই বৈঠকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে অন্তত আমরা চাই, আপনি লিখিতভাবে স্বীকার করুন যে, আপনি পাকিস্তানের শেষ প্রধান বিচারপতি হতে রাজি হয়েছেন এবং এখন সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে বিলুপ্তিকে মেনে নিচ্ছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এই স্বীকারোক্তির পর আমরা আর আপনার কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষক হওয়ার কোনো প্রত্যাশা রাখব না।’
চিঠির শেষে অনুরোধ করা হয়, যেহেতু এটি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়’, তাই এর একটি কপি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হোক।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মুনির এ মালিক ও আনোয়ার মনসুর খান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবিদ শাহিদ জুবেরি, আলী আহমদ কুর্দ, মুহাম্মদ আকরাম শেখ ও কানরানি বি আমানুল্লাহ এবং আইনজীবী খাজা আহমদ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমদ ও শাবনাম নওয়াজ আওয়ান।
এর মধ্যে জুবেরি, মুহাম্মদ আকরাম শেখ ও সালাহউদ্দিন ২৬তম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন। সেই সংশোধনী পাসের সময়ও আইনজীবীরা ব্যাপক বিরোধিতা করেছিলেন। আলী আহমদ কুর্দসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী ওই সংশোধনী প্রত্যাখ্যান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলে কী আছে
ফেডারেল মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পর ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি গত শনিবার সিনেটে উপস্থাপন করা হয়। বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই বিলটি আনা হয়। টানা তৃতীয় দিনের মতো আজও সিনেট অধিবেশন চলছে এবং আইনটি দ্রুত পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর এটি জাতীয় পরিষদে তোলা হবে।
এই সংশোধনীর প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর বেশির ভাগ বিচারব্যবস্থা-সম্পর্কিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ (এফসিসি) গঠন। এই আদালত সাংবিধানিক বিষয়ে রায় দেবে এবং এর সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান কার্যত বিলুপ্ত হবে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর মূলেই রয়েছে নতুন এই সর্বোচ্চ আদালত গঠন; যা ২৬তম সংশোধনীর অধীনে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। তবে ২৬তম সংশোধনী এখনো সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
আইনটি এখনো পাস না হলেও সরকার ইতিমধ্যে বিচার বিভাগের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাতজন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে এফসিসিতে নিয়োগের জন্য শর্টলিস্ট করা হয়েছে।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি আমিনউদ্দিন খানকে এফসিসির প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, মুসারাত হিলালি, আমির ফারুক ও আলী বাকর নাজাফি, সিন্ধু হাইকোর্টের বিচারপতি কে. কে. আঘা এবং বেলুচিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রোজি খান বাররেচের নামও আলোচনায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য ডনকে জানায়, এফসিসির প্রাথমিক সদস্যসংখ্যা রাষ্ট্রপতির আদেশে নির্ধারিত হবে, এবং পরবর্তী সময়ে সদস্যসংখ্যা বাড়াতে সংসদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধানে ‘চ্যাপ্টার ১-এ’ যুক্ত হতে যাওয়া এই আদালতের নিজস্ব প্রধান বিচারপতি থাকবেন, যার মেয়াদ হবে তিন বছর। এফসিসির বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়া যাবে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক (কমপক্ষে সাত বছরের অভিজ্ঞতা) বা ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মধ্য থেকে।
এফসিসির বিচারপতিদের অবসর বয়স ৬৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বর্তমান অবসর বয়স ৬৫ বছর (সংবিধানের ১৭৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)।
সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানের বিচার বিভাগীয় কমিশনের (জেসিপি) সুপারিশে এক হাইকোর্টের বিচারককে অন্য হাইকোর্টে বদলি করতে পারবেন। যদি কোনো বিচারক এই বদলি মেনে না নেন, তবে তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
নতুন ১৮৯ অনুচ্ছেদের অধীনে এফসিসি সুপ্রিম কোর্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করবে। সুপ্রিম কোর্ট তখন শুধু দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিলের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে থাকবে, কিন্তু এফসিসির রায় সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
এফসিসি ফেডারেশন ও প্রদেশগুলোর মধ্যে বিরোধ, কিংবা প্রদেশগুলোর মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির একচ্ছত্র এখতিয়ার পাবে এবং সংবিধানের ব্যাখ্যার ‘গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন’ উত্থাপিত হলে নিজ উদ্যোগেও মামলা গ্রহণ করতে পারবে।
তা ছাড়া মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন, হাইকোর্ট থেকে সাংবিধানিক বিষয়ে করা আপিল, অনুচ্ছেদ ১৯৯ অনুযায়ী করা রিট আবেদন (পারিবারিক বা ভাড়াসংক্রান্ত মামলা ছাড়া) এবং প্রেসিডেন্টের পরামর্শমূলক মতামত নেওয়ার ক্ষমতাও এফসিসি হাতে পাবে, যা আগে সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ারে ছিল।

সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন। অন্যদিকে কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) ওই চিঠি লেখেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকি। এতে স্বাক্ষর করেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সিনিয়র সহকারী বিচারক মুশির আলম, সিন্ধু হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি নাদিম আখতারসহ আরও নয়জন খ্যাতনামা আইনজীবী।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা এই চিঠি স্বাভাবিক সময়ে নয়, বরং এমন সময়ে লিখছি, যা ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়েছে।’
সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা ২৭তম সংশোধনী আইনকে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ও আমূল পরিবর্তন’ হিসেবে। চিঠিতে তাঁরা বলেন, ১৯৩৫ সালের ‘গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট’ প্রণয়নের পর থেকে ফেডারেল আপিল আদালতের কাঠামোয় এমন মৌলিক পরিবর্তন আর কখনো হয়নি।
তাঁরা আরও বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো বেসামরিক বা সামরিক সরকার কখনোই সাহস করেনি অথবা সফলও হয়নি—সুপ্রিম কোর্টকে অধস্তন আদালতে নামিয়ে আনার এবং তাঁর সাংবিধানিক এখতিয়ার কেড়ে নেওয়ার, যেমনটি এখন প্রস্তাবিত ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে করা হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যদি আপনার (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) মাননীয় আদালত আমাদের সঙ্গে একমত হন যে, প্রস্তাবিত এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় ও আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, তাহলে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুরোধ করব—আপনি যেন ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন এবং ফেডারেল সরকারের কাছে এই সংশোধনী নিয়ে আদালতের মতামত ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন।’
সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীরা আরও লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ অধিকার রয়েছে সরকারের কাছে যেকোনো প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে মতামত দেওয়ার। কারণ, আইনটি আদালতের মূল কাঠামো, দায়িত্ব ও ন্যায়বিচার প্রদানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
তাঁরা তাৎক্ষণিক ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২৭তম সংশোধনীটি ১১ নভেম্বর অথবা পরবর্তী যেকোনো দিনে পাস হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ফুলকোর্ট বৈঠক আয়োজন করে যেন সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীদের মতামত নেওয়া হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যদি প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষতার অজুহাতে এই বৈঠকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে অন্তত আমরা চাই, আপনি লিখিতভাবে স্বীকার করুন যে, আপনি পাকিস্তানের শেষ প্রধান বিচারপতি হতে রাজি হয়েছেন এবং এখন সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে বিলুপ্তিকে মেনে নিচ্ছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এই স্বীকারোক্তির পর আমরা আর আপনার কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষক হওয়ার কোনো প্রত্যাশা রাখব না।’
চিঠির শেষে অনুরোধ করা হয়, যেহেতু এটি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়’, তাই এর একটি কপি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হোক।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মুনির এ মালিক ও আনোয়ার মনসুর খান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবিদ শাহিদ জুবেরি, আলী আহমদ কুর্দ, মুহাম্মদ আকরাম শেখ ও কানরানি বি আমানুল্লাহ এবং আইনজীবী খাজা আহমদ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমদ ও শাবনাম নওয়াজ আওয়ান।
এর মধ্যে জুবেরি, মুহাম্মদ আকরাম শেখ ও সালাহউদ্দিন ২৬তম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন। সেই সংশোধনী পাসের সময়ও আইনজীবীরা ব্যাপক বিরোধিতা করেছিলেন। আলী আহমদ কুর্দসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী ওই সংশোধনী প্রত্যাখ্যান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলে কী আছে
ফেডারেল মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পর ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি গত শনিবার সিনেটে উপস্থাপন করা হয়। বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই বিলটি আনা হয়। টানা তৃতীয় দিনের মতো আজও সিনেট অধিবেশন চলছে এবং আইনটি দ্রুত পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর এটি জাতীয় পরিষদে তোলা হবে।
এই সংশোধনীর প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর বেশির ভাগ বিচারব্যবস্থা-সম্পর্কিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ (এফসিসি) গঠন। এই আদালত সাংবিধানিক বিষয়ে রায় দেবে এবং এর সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান কার্যত বিলুপ্ত হবে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর মূলেই রয়েছে নতুন এই সর্বোচ্চ আদালত গঠন; যা ২৬তম সংশোধনীর অধীনে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। তবে ২৬তম সংশোধনী এখনো সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
আইনটি এখনো পাস না হলেও সরকার ইতিমধ্যে বিচার বিভাগের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাতজন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে এফসিসিতে নিয়োগের জন্য শর্টলিস্ট করা হয়েছে।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি আমিনউদ্দিন খানকে এফসিসির প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, মুসারাত হিলালি, আমির ফারুক ও আলী বাকর নাজাফি, সিন্ধু হাইকোর্টের বিচারপতি কে. কে. আঘা এবং বেলুচিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রোজি খান বাররেচের নামও আলোচনায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য ডনকে জানায়, এফসিসির প্রাথমিক সদস্যসংখ্যা রাষ্ট্রপতির আদেশে নির্ধারিত হবে, এবং পরবর্তী সময়ে সদস্যসংখ্যা বাড়াতে সংসদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধানে ‘চ্যাপ্টার ১-এ’ যুক্ত হতে যাওয়া এই আদালতের নিজস্ব প্রধান বিচারপতি থাকবেন, যার মেয়াদ হবে তিন বছর। এফসিসির বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়া যাবে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক (কমপক্ষে সাত বছরের অভিজ্ঞতা) বা ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মধ্য থেকে।
এফসিসির বিচারপতিদের অবসর বয়স ৬৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বর্তমান অবসর বয়স ৬৫ বছর (সংবিধানের ১৭৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)।
সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানের বিচার বিভাগীয় কমিশনের (জেসিপি) সুপারিশে এক হাইকোর্টের বিচারককে অন্য হাইকোর্টে বদলি করতে পারবেন। যদি কোনো বিচারক এই বদলি মেনে না নেন, তবে তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
নতুন ১৮৯ অনুচ্ছেদের অধীনে এফসিসি সুপ্রিম কোর্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করবে। সুপ্রিম কোর্ট তখন শুধু দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিলের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে থাকবে, কিন্তু এফসিসির রায় সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
এফসিসি ফেডারেশন ও প্রদেশগুলোর মধ্যে বিরোধ, কিংবা প্রদেশগুলোর মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির একচ্ছত্র এখতিয়ার পাবে এবং সংবিধানের ব্যাখ্যার ‘গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন’ উত্থাপিত হলে নিজ উদ্যোগেও মামলা গ্রহণ করতে পারবে।
তা ছাড়া মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন, হাইকোর্ট থেকে সাংবিধানিক বিষয়ে করা আপিল, অনুচ্ছেদ ১৯৯ অনুযায়ী করা রিট আবেদন (পারিবারিক বা ভাড়াসংক্রান্ত মামলা ছাড়া) এবং প্রেসিডেন্টের পরামর্শমূলক মতামত নেওয়ার ক্ষমতাও এফসিসি হাতে পাবে, যা আগে সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ারে ছিল।

আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি
০৮ অক্টোবর ২০২৪
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
আজ সোমবার বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে ইয়েল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল এক ধরনের অভ্যুত্থান। এর চেয়েও খারাপ বিষয় হলো, এটা ছিল ভেতর থেকে তৈরি ষড়যন্ত্র। বিবিসির ভেতরে, বোর্ডের খুব কাছের— এমনকি বোর্ডের মধ্যেই— কিছু লোক টিম ডেভি ও তাঁর সিনিয়র টিমকে দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গতকাল যা ঘটেছে, তা এক দিনের ঘটনা নয়, এটি বহুদিন ধরে চলছিল।’
বিবিসির পডকাস্ট When It Hits the Fan-এর সহ-উপস্থাপক ইয়েল্যান্ড আরও বলেন, ‘এখানে মূল সমস্যা হলো— শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা। আমি চেয়ারম্যান সামির শাহকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিচ্ছি না, তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হলো তাঁর প্রধান নির্বাহীকে (সিইও) দায়িত্বে রাখা বা সরানো। কিন্তু এখানে টিম ডেভিকে বরখাস্ত করা হয়নি— তিনি নিজেই চলে গেছেন। সেটিই প্রকৃতপক্ষে— এটাই সুশাসনের ব্যর্থতা।’
গতকাল রোববারের ওই পদত্যাগের পেছনে যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী মহল ও হোয়াইট হাউসের একের পর এক সমালোচনা ভূমিকা রেখেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রকাশিত একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
সেখানে বলা হয়, প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণের সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গত গ্রীষ্মে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা বিষয়ক স্বতন্ত্র পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট। তাঁর দাবি, ওই সম্পাদনা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনের (ক্যাপিটল হিলে) হামলাকে উসকে দিয়েছিলেন। অথচ ওই ভাষণের দুটি অংশ আসলে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল এবং ট্রাম্প একই বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ’ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যা সম্পাদনায় বাদ পড়েছিল।
তবে স্কাই নিউজের সাবেক রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডাম বোল্টন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল— এই সার্বিক ধারণাটি ভুল নয়। দীর্ঘ বক্তৃতা থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ কেটে একত্রে উপস্থাপন করাও সংবাদমাধ্যমের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে ইয়েল্যান্ডের মন্তব্য বিবিসি নিউজের ভেতরে হতাশাজনক পরিবেশকে প্রতিফলিত করে। বিবিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্যিই এক ধরনের অভ্যুত্থান মনে হচ্ছে। এটা বিবিসির রাজনৈতিক শত্রুদের এক পরিকল্পিত প্রচারণার ফল।’
টিম ডেভি জানান, তাঁর পদত্যাগ তাৎক্ষণিক নয়; তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়সূচি’ নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছিলেন। অপরদিকে ডেবোরা টারনেস বলেন, প্যানোরামার তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। এই ক্ষতি এড়াতেই আমার পদত্যাগ, কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে আমি গভীরভাবে ভালোবাসি।’
সোমবার বিবিসির সাংবাদিক নিক রবিনসন জানান, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে এক ধরনের ‘অচলাবস্থা’ তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সম্পাদনাগত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে চাইলেও রাজনৈতিকভাবে নিয়োজিত পরিচালকেরা এর চেয়েও বেশি কিছু বলতে চেয়েছিলেন— এ নিয়েই টানাপোড়েন তৈরি হয়।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহর আজ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটিতে উপস্থিত হয়ে প্যানোরামা বিতর্ক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। তিনি কমিটির কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের পর সরকারের ভেটেরান বিষয়কমন্ত্রী লুইস স্যান্ডার-জোনস বলেন, বিবিসি প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট— এমন অভিযোগ সঠিক নয়। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘বিবিসি যে বিপুল পরিসরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে, তাতে এর সংবাদ এখনো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। নানা মতের মানুষ এখনো তাদের তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে বিবিসিকে ব্যবহার করে এবং সেটিই বলে দেয় বিবিসির ওপর আস্থার মাত্রা।’

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
আজ সোমবার বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে ইয়েল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল এক ধরনের অভ্যুত্থান। এর চেয়েও খারাপ বিষয় হলো, এটা ছিল ভেতর থেকে তৈরি ষড়যন্ত্র। বিবিসির ভেতরে, বোর্ডের খুব কাছের— এমনকি বোর্ডের মধ্যেই— কিছু লোক টিম ডেভি ও তাঁর সিনিয়র টিমকে দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গতকাল যা ঘটেছে, তা এক দিনের ঘটনা নয়, এটি বহুদিন ধরে চলছিল।’
বিবিসির পডকাস্ট When It Hits the Fan-এর সহ-উপস্থাপক ইয়েল্যান্ড আরও বলেন, ‘এখানে মূল সমস্যা হলো— শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা। আমি চেয়ারম্যান সামির শাহকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিচ্ছি না, তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হলো তাঁর প্রধান নির্বাহীকে (সিইও) দায়িত্বে রাখা বা সরানো। কিন্তু এখানে টিম ডেভিকে বরখাস্ত করা হয়নি— তিনি নিজেই চলে গেছেন। সেটিই প্রকৃতপক্ষে— এটাই সুশাসনের ব্যর্থতা।’
গতকাল রোববারের ওই পদত্যাগের পেছনে যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী মহল ও হোয়াইট হাউসের একের পর এক সমালোচনা ভূমিকা রেখেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রকাশিত একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
সেখানে বলা হয়, প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণের সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গত গ্রীষ্মে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা বিষয়ক স্বতন্ত্র পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট। তাঁর দাবি, ওই সম্পাদনা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনের (ক্যাপিটল হিলে) হামলাকে উসকে দিয়েছিলেন। অথচ ওই ভাষণের দুটি অংশ আসলে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল এবং ট্রাম্প একই বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ’ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যা সম্পাদনায় বাদ পড়েছিল।
তবে স্কাই নিউজের সাবেক রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডাম বোল্টন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল— এই সার্বিক ধারণাটি ভুল নয়। দীর্ঘ বক্তৃতা থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ কেটে একত্রে উপস্থাপন করাও সংবাদমাধ্যমের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে ইয়েল্যান্ডের মন্তব্য বিবিসি নিউজের ভেতরে হতাশাজনক পরিবেশকে প্রতিফলিত করে। বিবিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্যিই এক ধরনের অভ্যুত্থান মনে হচ্ছে। এটা বিবিসির রাজনৈতিক শত্রুদের এক পরিকল্পিত প্রচারণার ফল।’
টিম ডেভি জানান, তাঁর পদত্যাগ তাৎক্ষণিক নয়; তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়সূচি’ নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছিলেন। অপরদিকে ডেবোরা টারনেস বলেন, প্যানোরামার তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। এই ক্ষতি এড়াতেই আমার পদত্যাগ, কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে আমি গভীরভাবে ভালোবাসি।’
সোমবার বিবিসির সাংবাদিক নিক রবিনসন জানান, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে এক ধরনের ‘অচলাবস্থা’ তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সম্পাদনাগত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে চাইলেও রাজনৈতিকভাবে নিয়োজিত পরিচালকেরা এর চেয়েও বেশি কিছু বলতে চেয়েছিলেন— এ নিয়েই টানাপোড়েন তৈরি হয়।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহর আজ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটিতে উপস্থিত হয়ে প্যানোরামা বিতর্ক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। তিনি কমিটির কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের পর সরকারের ভেটেরান বিষয়কমন্ত্রী লুইস স্যান্ডার-জোনস বলেন, বিবিসি প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট— এমন অভিযোগ সঠিক নয়। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘বিবিসি যে বিপুল পরিসরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে, তাতে এর সংবাদ এখনো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। নানা মতের মানুষ এখনো তাদের তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে বিবিসিকে ব্যবহার করে এবং সেটিই বলে দেয় বিবিসির ওপর আস্থার মাত্রা।’

আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি
০৮ অক্টোবর ২০২৪
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
৪১ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করেছিল। বিশেষ করে, এই হত্যাচেষ্টা এমন এক সময়ে সামনে এল যখন তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই সূত্র দুটি জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে শারার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ১৪ বছরের বিধ্বস্ত গৃহযুদ্ধের পর ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে শারা এখন কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। সূত্রগুলো বলছে, এর মধ্যে একটি পরিকল্পনা ছিল শারার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হামলার। তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এই হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর এমন সময়ে সামনে এল, যখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করবেন। এটি হবে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা।
গত ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসেন আহমদ আল-শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শারা নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তিনি আশা করছেন, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহায়তার পথ খুলে যাবে।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার এই জোটে যোগ দেওয়া দেশটির দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে সিরিয়া এখন ধীরে ধীরে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়াকে এক করতে শারার কাজ এখন কঠিন। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত, আর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দামেস্ক বারবার ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করছে।
রোববার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে আইএসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সরকারি গণমাধ্যম জানায়, এতে ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আইএস সরকার ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিল। এই অভিযান ছিল আইএসকে সতর্কবার্তা দেওয়া এবং দেখানোর যে, সিরীয় গোয়েন্দারা তাদের গভীরভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। শারার সরকার মনে করছে, আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিলে এটি জঙ্গি দমনে বড় সুবিধা আনবে।
গত বছর মাত্র ১১ দিনের ঝটিকা অভিযানে ক্ষমতা দখলের আগে শারা নেতৃত্ব দিতেন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক একটি গোষ্ঠীর, যা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তিনি ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই তিনি আইএসবিরোধী রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইদলিবে এইচটিএসের ঘাঁটিতে আইএসের সেলগুলোকে ধ্বংস করতে তিনি বহু অভিযান চালিয়েছেন।
আসাদের পতনের পর আইএস আবার সিরিয়ায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা শারার পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতিশ্রুতিকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করছে। গত জুনে দামেস্কের এক গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হন। সরকার হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করলেও গোষ্ঠীটি এর দায় স্বীকার করেনি।
কয়েকজন সিরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইএসবিরোধী যুদ্ধে শারার সরকার কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দিলে এই সমন্বয় আরও বাড়বে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আস্থা অর্জনের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যাতে বছরের শেষের আগে সিরিয়ার ওপর থাকা অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে উপস্থিতি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ঘাঁটির সঠিক নাম ও অবস্থান প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করেছিল। বিশেষ করে, এই হত্যাচেষ্টা এমন এক সময়ে সামনে এল যখন তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই সূত্র দুটি জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে শারার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ১৪ বছরের বিধ্বস্ত গৃহযুদ্ধের পর ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে শারা এখন কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। সূত্রগুলো বলছে, এর মধ্যে একটি পরিকল্পনা ছিল শারার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হামলার। তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এই হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর এমন সময়ে সামনে এল, যখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করবেন। এটি হবে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা।
গত ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসেন আহমদ আল-শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শারা নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তিনি আশা করছেন, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহায়তার পথ খুলে যাবে।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার এই জোটে যোগ দেওয়া দেশটির দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে সিরিয়া এখন ধীরে ধীরে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়াকে এক করতে শারার কাজ এখন কঠিন। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত, আর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দামেস্ক বারবার ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করছে।
রোববার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে আইএসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সরকারি গণমাধ্যম জানায়, এতে ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আইএস সরকার ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিল। এই অভিযান ছিল আইএসকে সতর্কবার্তা দেওয়া এবং দেখানোর যে, সিরীয় গোয়েন্দারা তাদের গভীরভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। শারার সরকার মনে করছে, আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিলে এটি জঙ্গি দমনে বড় সুবিধা আনবে।
গত বছর মাত্র ১১ দিনের ঝটিকা অভিযানে ক্ষমতা দখলের আগে শারা নেতৃত্ব দিতেন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক একটি গোষ্ঠীর, যা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তিনি ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই তিনি আইএসবিরোধী রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইদলিবে এইচটিএসের ঘাঁটিতে আইএসের সেলগুলোকে ধ্বংস করতে তিনি বহু অভিযান চালিয়েছেন।
আসাদের পতনের পর আইএস আবার সিরিয়ায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা শারার পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতিশ্রুতিকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করছে। গত জুনে দামেস্কের এক গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হন। সরকার হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করলেও গোষ্ঠীটি এর দায় স্বীকার করেনি।
কয়েকজন সিরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইএসবিরোধী যুদ্ধে শারার সরকার কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দিলে এই সমন্বয় আরও বাড়বে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আস্থা অর্জনের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যাতে বছরের শেষের আগে সিরিয়ার ওপর থাকা অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে উপস্থিতি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ঘাঁটির সঠিক নাম ও অবস্থান প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি
০৮ অক্টোবর ২০২৪
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
৪১ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আজ সোমবার জানিয়েছে, শ্রী সাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সকালে টহল দেওয়ার সময় দুই সেনা স্থলমাইনের ওপর পা দেন। এতে একজন সেনার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’ সীমান্তে যা ঘটেছে তা পরিস্থিতি প্রশমনে সাহায্য করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুতিন আরও বলেন, ‘যদি কোনো পদক্ষেপ সংঘাত কমাতে না পারে, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। তাই সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ওই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ সীমান্ত থেকে ট্যাংক ও কামানের মতো সব ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। এর বিনিময়ে কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকার সব স্থলমাইন অপসারণে থাইল্যান্ডকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে।
থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাত্রাপন নাকপানিচ সোমবার জানান, থাইল্যান্ড এখন ওই ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণটি এমন এলাকায় ঘটেছে যেখানে নিয়মিত থাই সেনারা টহল দেয় এবং আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
নাত্রাপন বলেন, থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে আসিয়ান অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা প্রমাণ পাই যে তারা (কম্বোডিয়া) ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন করে মাইন পুঁতেছে, তাহলে আমরা শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত থাক না।’
গত জুলাই থেকে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এতে সীমান্ত পারাপারের চেকপোস্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, পণ্য ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কম্বোডিয়া সরকার এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আজ সোমবার জানিয়েছে, শ্রী সাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সকালে টহল দেওয়ার সময় দুই সেনা স্থলমাইনের ওপর পা দেন। এতে একজন সেনার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’ সীমান্তে যা ঘটেছে তা পরিস্থিতি প্রশমনে সাহায্য করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুতিন আরও বলেন, ‘যদি কোনো পদক্ষেপ সংঘাত কমাতে না পারে, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। তাই সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ওই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ সীমান্ত থেকে ট্যাংক ও কামানের মতো সব ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। এর বিনিময়ে কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকার সব স্থলমাইন অপসারণে থাইল্যান্ডকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে।
থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাত্রাপন নাকপানিচ সোমবার জানান, থাইল্যান্ড এখন ওই ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণটি এমন এলাকায় ঘটেছে যেখানে নিয়মিত থাই সেনারা টহল দেয় এবং আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
নাত্রাপন বলেন, থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে আসিয়ান অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা প্রমাণ পাই যে তারা (কম্বোডিয়া) ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন করে মাইন পুঁতেছে, তাহলে আমরা শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত থাক না।’
গত জুলাই থেকে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এতে সীমান্ত পারাপারের চেকপোস্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, পণ্য ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কম্বোডিয়া সরকার এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আবারও অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি অভিবাসীদের হত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হাজারো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ‘খারাপ জিন’ ছড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি
০৮ অক্টোবর ২০২৪
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনার জন্য ফুলকোর্ট বৈঠক আহ্বান করেন।
৪১ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
২ ঘণ্টা আগে