Ajker Patrika

স্কুল পালানো ছেলেটিই হেঁটে এলেন মহাকাশ

স্কুল পালানো ছেলেটিই হেঁটে এলেন মহাকাশ

স্পেসএক্সের একটি মিশনে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক স্পেসওয়াকে অংশ নিয়েছেন চার অভিযাত্রী। এই মিশনের যিনি অর্থায়ন এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি ৪১ বছর বয়সী বিলিয়নিয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার ওপরে একটি ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। 

ঝুঁকিপূর্ণ এই স্পেসওয়াকে প্রথম অপেশাদার হিসেবে অংশ নিয়েছেন আইজ্যাকম্যান। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়া এই অভিযাত্রীর জীবনের নানা তথ্য এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গের মতো তাঁর আছে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার গল্প। 

পাঁচ বছর বয়স থেকেই মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বেড়ে ওঠা আইজ্যাকম্যান। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি তৈরি করে ফেলেন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সংস্থা ‘শিফট-৪ ’। এই সংস্থার জন্য আইজ্যাকম্যানকে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল। পিতামহের কাছ থেকে কিছু অর্থ ধার নিয়ে বাড়ির বেসমেন্টের একটি ঘরে ‘শিফট-৪ ’-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সংস্থাটির বর্তমান বাজারমূল্য এখন ৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আমেরিকাজুড়ে সংস্থাটির ২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। 

মহাকাশের অভিযান অনেক ব্যয়বহুল। স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে আসনপ্রতি খরচ ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ছয় শ কোটি টাকা। গত ১০ সেপ্টেম্বর কেপ কার্নিভ্যাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ড্রাগন ক্যাপসুলের। এর জন্য ফ্যালকন-৯ রকেটের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক মিশন বলে মনে করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। 

অভিযানে থাকা চারজনের মধ্যে আইজ্যাকম্যান এবং স্পেসএক্স প্রকৌশলী সারাহ গিলিস স্পেসওয়াকের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময় আইজ্যাকম্যান এবং সারার পরনে ছিল বিশেষ ভাবে নকশা করা নতুন পোশাক (স্পেস স্যুট)। তাঁরা ১০-১৫ মিনিট করে মুক্ত মহাকাশে মাথা বের করে ছিলেন। অভিযানে অংশ নেওয়া বাকি দু’জন ক্যাপসুলের ভেতরেই ছিলেন। 

গত রোববার ভোরে ফ্লোরিডার উপকূলে ড্রাই টর্তুগাসে অবতরণ করে স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি। মহাকাশে পাঁচ দিনের মিশন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন স্পেসএক্সের ‘পোলারিস ডন’ মিশনের চার মহাকাশচারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত