সদ্যসমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগে ইরান ও রাশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ইরান ও রাশিয়ার সরকার আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তারা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে আমেরিকান জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ বুধবার সৌদি গণমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (জিআরইউ) সঙ্গে জড়িত একটি সংগঠন। এগুলো গত মার্কিন নির্বাচনে সামাজিক–রাজনৈতিক উত্তেজনা উসকে দেওয়া এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, রাশিয়া ও ইরান সরকার ভুয়া ভিডিও, খবর এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
মস্কোভিত্তিক সেন্টার ফর জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টিজের (সিজিই) বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা এবং ডিপফেক ভিডিও তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ জানায়, রাশিয়ার নির্দেশে এই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তৈরি করত। বৈধ সংবাদমাধ্যমের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলো প্রচার করত। নিষেধাজ্ঞায় সেন্টার ফর জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টিজের পরিচালককেও নিষিদ্ধ করা হয়।
অর্থ বিভাগের দাবি, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একটি নেটওয়ার্ককে অর্থ দিয়েছে, যারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াতে অন্তত ১০০টি ওয়েবসাইট পরিচালনা করত।
তবে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়া কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলেছেন, আমরা আমেরিকান জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাই। রাশিয়ার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত সব অভিযোগ কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ফায়দা নিতে তৈরি করা হয়েছে।’
মার্কিন অর্থ বিভাগ জানায়, কগনিটিভ ডিজাইন প্রোডাকশন সেন্টার নামে একটি সংস্থা ২০২৩ সাল থেকে প্রভাব বিস্তারমূলক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের হয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য কাজ করছিল এটি। এই প্রতিষ্ঠান আইআরজিসির সঙ্গে সংযুক্ত।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আইআরজিসিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত অক্টোবরে একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে রাশিয়া, ইরান ও চীনের বিরুদ্ধে এআই ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক বা বিভেদ সৃষ্টিকারী তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র।
সদ্যসমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগে ইরান ও রাশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ইরান ও রাশিয়ার সরকার আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তারা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে আমেরিকান জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ বুধবার সৌদি গণমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (জিআরইউ) সঙ্গে জড়িত একটি সংগঠন। এগুলো গত মার্কিন নির্বাচনে সামাজিক–রাজনৈতিক উত্তেজনা উসকে দেওয়া এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, রাশিয়া ও ইরান সরকার ভুয়া ভিডিও, খবর এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
মস্কোভিত্তিক সেন্টার ফর জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টিজের (সিজিই) বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা এবং ডিপফেক ভিডিও তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ জানায়, রাশিয়ার নির্দেশে এই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তৈরি করত। বৈধ সংবাদমাধ্যমের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলো প্রচার করত। নিষেধাজ্ঞায় সেন্টার ফর জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টিজের পরিচালককেও নিষিদ্ধ করা হয়।
অর্থ বিভাগের দাবি, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একটি নেটওয়ার্ককে অর্থ দিয়েছে, যারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াতে অন্তত ১০০টি ওয়েবসাইট পরিচালনা করত।
তবে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়া কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলেছেন, আমরা আমেরিকান জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাই। রাশিয়ার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত সব অভিযোগ কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ফায়দা নিতে তৈরি করা হয়েছে।’
মার্কিন অর্থ বিভাগ জানায়, কগনিটিভ ডিজাইন প্রোডাকশন সেন্টার নামে একটি সংস্থা ২০২৩ সাল থেকে প্রভাব বিস্তারমূলক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের হয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য কাজ করছিল এটি। এই প্রতিষ্ঠান আইআরজিসির সঙ্গে সংযুক্ত।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আইআরজিসিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত অক্টোবরে একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে রাশিয়া, ইরান ও চীনের বিরুদ্ধে এআই ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক বা বিভেদ সৃষ্টিকারী তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪০ মিনিট আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
৩ ঘণ্টা আগেইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
৩ ঘণ্টা আগে