Ajker Patrika

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ০৩: ৪৮
পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ভারত

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। বুধবার প্রথম প্রহরে অন্তত তিন জায়গায় হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

ভারতের এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়েছেন আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।তবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে নিশানা করা হয়নি বলে ভারত সরকার দাবি করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ‘সন্ত্রাসী স্থাপনার’ ওপর নিখুঁত হামলা চালিয়েছে ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে চালানো এই অভিযানে মোট নয়টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে, যেগুলো থেকে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল।

এক বিবৃতিতে ভারত সরকার বলেছে, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং উত্তেজনা এড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। টার্গেট বাছাই ও হামলার পদ্ধতিতে ভারত সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে।’

ভারত সরকার হামলার ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলে, ‘বিচার হয়েছে, জয় হিন্দ!’

পাকিস্তানের আইএসপিআর মহাপরিচালক আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, কোটলি, মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদে হামলা চালিয়েছে ভারত।

পাকিস্তানের আলোচিত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান ঘাঁটি এই মুরিদকে। আর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর হচ্ছে জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি, যা পরিচালনা করে সন্ত্রাসী মাসউদ আজহার।

দেশজুড়ে ভারতের নিরাপত্তা মহড়ার প্রস্তুতির মধ্যে এই হামলা হল। পেহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শপথ করে বলেছিলেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

এই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। গতকাল হামলার কয়েকঘণ্টা আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

এই হামলার জবাব ভারত কীভাবে দেবে, তা বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এর মধ্যে গত সোমবার প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহের সঙ্গে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

এর আগের দিন তিনি বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত