Ajker Patrika

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে হত্যার ফতোয়া দিলেন খামেনির ঘনিষ্ঠ আলেম

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ২২: ০৪
ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল
ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ এক কট্টরপন্থী শিয়া আলেম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যার জন্য বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গতকাল সোমবার এক বক্তব্যে ওই আহ্বান জানান আলিরেজা পানাহিয়ান। তিনি বলেন, ‘খামেনিকে যে হত্যার চেষ্টা করে বা তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়, সে মোহারেব (আল্লাহর শত্রু)।’ এ সময় তিনি ইরানের শীর্ষ শিয়া আলেমদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জারি করা ফতোয়ার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।

পানাহিয়ান বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসবাসকারী প্রতিটি মুসলমানের উচিত নিজের জীবন বাজি রেখে তাঁদের (ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু) হত্যা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।’

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি একটি গোপন স্থানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েল তাঁকে হত্যা করতে পারে—এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই যুদ্ধবিরতির পরও তিনি জনসমক্ষে দেখা দেননি।

এর আগে গত ১৬ জুন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খামেনিকে হত্যা করলে যুদ্ধের মাত্রা বাড়বে না, বরং তা শেষ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমি ঠিক জানতাম খামেনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন। তবু আমি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তাঁর জীবন কেড়ে নিতে দিইনি।’

গত রোববার শীর্ষ শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি ও আয়াতুল্লাহ হোসেইন নূরী হামাদানি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ফতোয়া জারি করেন। শিরাজি তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্র ইসলামি উম্মাহর নেতাদের হুমকি দেয় এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তবে তারা মোহারেব হিসেবে গণ্য হবে।’

এ বিষয়ে পানাহিয়ান বলেন, ‘এই মহান আয়াতুল্লাহরা মোহারেবের রায় দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁদের (ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু) নির্মূল করতে এখন আর কেউ দেরি করবে না বা দ্বিধায় ভুগবে না।’

শিয়া ইসলামি ফিকাহ অনুযায়ী, কাউকে মোহারেব ঘোষণা করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা মানেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে ফতোয়া জারি করেছিলেন। সেই ঘটনার বহু বছর পর ২০২২ সালে রুশদির ওপর নিউইয়র্কে ছুরি হামলা হয়। এই হামলা খোমেনির সেই ফতোয়ার প্রভাব বলে মনে করেন অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে ‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত