ভারতে নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ধরন ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশটির প্রশাসন ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞেরা।
এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ১০ জনে ৯ মারা যান বলে জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ ডক্টর রমন গঙ্গাখেদকর। আজ শনিবার দেশটির নিউজ-১৮ কে এ তথ্য জানান তিনি।
গঙ্গাখেদকর জানান, নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এটি প্রতিরোধ করতে ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগের সাবেক প্রধান গঙ্গাখেদকর। তিনি কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের শেষ তিনটি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কাজ করেছেন।
তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো প্রথম আক্রান্ত রোগী ও নিপাহ ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করা। আশপাশের সব প্রাণীকে পরীক্ষা করা, সম্প্রদায়কে একত্রিত করা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রস্তুত রাখা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ দাবি করেন, রাজ্যে শনাক্ত হওয়া নিপাহ ভাইরাসের ধরনটি বাংলাদেশের।
গঙ্গাখেদকর নিউজ-১৮ কে বলেছেন, ছড়িয়ে পড়া ধরনটি শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে আক্রান্ত রোগীরা প্রথমেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
ভারতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম পর্যায়ে ২৩ জনের মধ্যে ৮৯ শতাংশ মারা গেছেন জানিয়ে গঙ্গাখেদকর বলেন, নিপাহ ভাইরাসের মালয়েশিয়ান ধরনে আক্রান্ত হলে স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশি ধরনে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এতে সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে নয়জনই মারা যান।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। এই হার ৪০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ হতে পারে।
নিপাহ রহস্য যেন এক ‘ক্রাইম থ্রিলার’
ভারতে কোভিড-১৯-এর সরকারি ব্রিফিংয়ের সময় ভারতের সর্বোচ্চ চিকিৎসা গবেষণা সংস্থার মুখপাত্র ছিলেন গঙ্গাখেদকর। তিনি বিশ্বাস করেন, নিপাহ ভাইরাসের রহস্য সমাধানে আক্রান্ত হওয়া প্রথম রোগীকে খুঁজে বের করতে হবে এবং এর উৎস বের করতে হবে।
সেই উৎস থেকে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদেরও বের করতে হবে। প্রথম রোগীর সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেকের সন্ধান করতে হবে। এটি অনেকটা বাস্তব জীবনের ক্রাইম থ্রিলারের মতো।
২০১৮ সালে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জিগস পাজল।’ এ সময় তিনি এবং তাঁর দলের সদস্যরা ১৫ দিনের মধ্যে নিপাহ রহস্যের সমাধান করেছিলেন।
ওই বছরের মে মাসে বিজ্ঞানীদের একটি দল দেখেছিল, মূল রোগী কেরালার একটি গ্রামে বাড়ির কুয়া পরিষ্কারের সময় বাদুড়ের খাওয়া ফলে সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ভারতে নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ধরন ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশটির প্রশাসন ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞেরা।
এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ১০ জনে ৯ মারা যান বলে জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ ডক্টর রমন গঙ্গাখেদকর। আজ শনিবার দেশটির নিউজ-১৮ কে এ তথ্য জানান তিনি।
গঙ্গাখেদকর জানান, নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এটি প্রতিরোধ করতে ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগের সাবেক প্রধান গঙ্গাখেদকর। তিনি কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের শেষ তিনটি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কাজ করেছেন।
তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো প্রথম আক্রান্ত রোগী ও নিপাহ ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করা। আশপাশের সব প্রাণীকে পরীক্ষা করা, সম্প্রদায়কে একত্রিত করা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রস্তুত রাখা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ দাবি করেন, রাজ্যে শনাক্ত হওয়া নিপাহ ভাইরাসের ধরনটি বাংলাদেশের।
গঙ্গাখেদকর নিউজ-১৮ কে বলেছেন, ছড়িয়ে পড়া ধরনটি শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে আক্রান্ত রোগীরা প্রথমেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
ভারতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম পর্যায়ে ২৩ জনের মধ্যে ৮৯ শতাংশ মারা গেছেন জানিয়ে গঙ্গাখেদকর বলেন, নিপাহ ভাইরাসের মালয়েশিয়ান ধরনে আক্রান্ত হলে স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশি ধরনে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এতে সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে নয়জনই মারা যান।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। এই হার ৪০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ হতে পারে।
নিপাহ রহস্য যেন এক ‘ক্রাইম থ্রিলার’
ভারতে কোভিড-১৯-এর সরকারি ব্রিফিংয়ের সময় ভারতের সর্বোচ্চ চিকিৎসা গবেষণা সংস্থার মুখপাত্র ছিলেন গঙ্গাখেদকর। তিনি বিশ্বাস করেন, নিপাহ ভাইরাসের রহস্য সমাধানে আক্রান্ত হওয়া প্রথম রোগীকে খুঁজে বের করতে হবে এবং এর উৎস বের করতে হবে।
সেই উৎস থেকে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদেরও বের করতে হবে। প্রথম রোগীর সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেকের সন্ধান করতে হবে। এটি অনেকটা বাস্তব জীবনের ক্রাইম থ্রিলারের মতো।
২০১৮ সালে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জিগস পাজল।’ এ সময় তিনি এবং তাঁর দলের সদস্যরা ১৫ দিনের মধ্যে নিপাহ রহস্যের সমাধান করেছিলেন।
ওই বছরের মে মাসে বিজ্ঞানীদের একটি দল দেখেছিল, মূল রোগী কেরালার একটি গ্রামে বাড়ির কুয়া পরিষ্কারের সময় বাদুড়ের খাওয়া ফলে সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৫ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৬ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৯ ঘণ্টা আগে