ডয়চে ভেলে
মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও বর্ডার পাস বন্ধের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে সায় নেই মিজোদের। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে পা রাখলেই বোঝা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষিত এ দুই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিজোরাম কতটা আলোড়িত।
মিজোরামে ইয়ং মিজোরাম অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমএ সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন। গোষ্ঠীটির সভাপতি লালমাছুয়ানা জানিয়েছেন, ‘নাগাল্যান্ডও এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। মিজোরামের বিধায়কেরা এর বিরোধিতা করেছেন, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন। নাগাল্যান্ডের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছি। ভারত সরকারকে কোনোভাবেই এই কাজ করতে দেওয়া হবে না।’
ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে এ ধরনের বেড়া দেওয়া হয়নি। বরং এই সীমান্ত সাধারণ মানুষের জন্য খোলা। বর্ডার পাস থাকলে মিয়ানমার সীমান্তের ৪০ কিলোমিটার ও ভারতীয় সীমান্তের ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকতে পারে দুই দেশের কুকি, জো, চিন গোষ্ঠীর মানুষ।
এর একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, জো, কুকি ও চিন একই জনজাতির মানুষ। ব্রিটিশ আমলে তারা একসঙ্গে বসবাস করত। দেশভাগের পর একটা দল সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে থেকে যায়, একটা দল ভারতে বসবাস করে এবং একটা দল মিয়ানমারে থাকে। এদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক আছে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এবং নিয়মিত যাতায়াত আছে।
কিন্তু মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও মেতাইরা দাবি জানিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে প্রচুর সশস্ত্র মানুষ মণিপুরে ঢুকছে এবং তারা মেতাইদের আক্রমণ করছে। তারপর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও বর্ডার পাস বন্ধ করার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মিজোরামের সীমান্ত এলাকা চম্পাইয়ের ব্লক রিসোর্স সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর লালরিনমুয়ানা বলেন, ‘আমরা (কুকি, জো, চিন) সবাই ভাই। বুঝতে হবে, এটা আমাদের গ্রেটার ল্যান্ড। আমরা এখানে বেড়া বসাতে দেব না। এত অভিবাসী এখানে আছেন, তাদের তাহলে কী হবে?’ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘মণিপুর চাইলে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগাক। আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা এখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগাতে বা বর্ডার পাস বন্ধ করতে দেব না।’
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আপত্তি অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে লালরিনমুয়ানার বক্তব্য, ‘এখন সে ব্যাপারে কিছু বলব না। সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিলে তখন দেখা যাবে।’
মিজোরাম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের চিন রাজ্য। সেখানে সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই সংগঠন—পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও চিন ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ)। তারা আবার চিন ন্যাশনাল ফোর্সের অধীনে। এই ফোর্সের সদস্যরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাবেক সেনা। তারাই বিদ্রোহী দুই সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তারাই পুরো এলাকার দখল নিয়েছে। সীমান্তে এখন চিন ডিফেন্স ফোর্সের আউটপোস্ট থাকলেও মিয়ানমারের কোনো সেনা এখানে নেই। বিদ্রোহীরাও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিরোধী।
মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও বর্ডার পাস বন্ধের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে সায় নেই মিজোদের। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে পা রাখলেই বোঝা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষিত এ দুই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিজোরাম কতটা আলোড়িত।
মিজোরামে ইয়ং মিজোরাম অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমএ সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন। গোষ্ঠীটির সভাপতি লালমাছুয়ানা জানিয়েছেন, ‘নাগাল্যান্ডও এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। মিজোরামের বিধায়কেরা এর বিরোধিতা করেছেন, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন। নাগাল্যান্ডের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছি। ভারত সরকারকে কোনোভাবেই এই কাজ করতে দেওয়া হবে না।’
ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে এ ধরনের বেড়া দেওয়া হয়নি। বরং এই সীমান্ত সাধারণ মানুষের জন্য খোলা। বর্ডার পাস থাকলে মিয়ানমার সীমান্তের ৪০ কিলোমিটার ও ভারতীয় সীমান্তের ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকতে পারে দুই দেশের কুকি, জো, চিন গোষ্ঠীর মানুষ।
এর একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, জো, কুকি ও চিন একই জনজাতির মানুষ। ব্রিটিশ আমলে তারা একসঙ্গে বসবাস করত। দেশভাগের পর একটা দল সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে থেকে যায়, একটা দল ভারতে বসবাস করে এবং একটা দল মিয়ানমারে থাকে। এদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক আছে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এবং নিয়মিত যাতায়াত আছে।
কিন্তু মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও মেতাইরা দাবি জানিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে প্রচুর সশস্ত্র মানুষ মণিপুরে ঢুকছে এবং তারা মেতাইদের আক্রমণ করছে। তারপর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও বর্ডার পাস বন্ধ করার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মিজোরামের সীমান্ত এলাকা চম্পাইয়ের ব্লক রিসোর্স সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর লালরিনমুয়ানা বলেন, ‘আমরা (কুকি, জো, চিন) সবাই ভাই। বুঝতে হবে, এটা আমাদের গ্রেটার ল্যান্ড। আমরা এখানে বেড়া বসাতে দেব না। এত অভিবাসী এখানে আছেন, তাদের তাহলে কী হবে?’ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘মণিপুর চাইলে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগাক। আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা এখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগাতে বা বর্ডার পাস বন্ধ করতে দেব না।’
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আপত্তি অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে লালরিনমুয়ানার বক্তব্য, ‘এখন সে ব্যাপারে কিছু বলব না। সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিলে তখন দেখা যাবে।’
মিজোরাম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের চিন রাজ্য। সেখানে সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই সংগঠন—পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও চিন ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ)। তারা আবার চিন ন্যাশনাল ফোর্সের অধীনে। এই ফোর্সের সদস্যরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাবেক সেনা। তারাই বিদ্রোহী দুই সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তারাই পুরো এলাকার দখল নিয়েছে। সীমান্তে এখন চিন ডিফেন্স ফোর্সের আউটপোস্ট থাকলেও মিয়ানমারের কোনো সেনা এখানে নেই। বিদ্রোহীরাও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিরোধী।
ইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
২ ঘণ্টা আগেইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
৩ ঘণ্টা আগেএনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় বাংকার বাস্টার বোমা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে অভিযান চালানো হয়, যা ছিল গত কয়েক বছরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
৩ ঘণ্টা আগে