নয়াদিল্লি: সরবরাহ সংকটে ভারতের অনেক রাজ্যে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার পথে। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজ্যে বিপুল পরিমাণ টিকার অপচয় হয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়খন্ড এবং ছত্তিশগড় রাজ্যে প্রতি তিনটি ডোজের মধ্যে একটিই নষ্ট হয়েছে। সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণেই এই অপচয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের টিকা অপচয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি টিকা নষ্ট হয়েছে ঝাড়খন্ড ও ছত্তিশগড় রাজ্যে। যেখানে সরবরাহ সংকটের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে টিকা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে অথবা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে।
পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একদিকে অনেক রাজ্য টিকার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। অন্যদিকে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত নষ্ট করে ফেলছে অনেকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। যেখানে রাজ্যগুলোকে টিকার অপচয় ১ শতাংশের নিচে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ঝাড়খন্ডে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৩০ দশমিক ২ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। এটি স্পষ্টত জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
টিকা অপচয়ের ক্ষেত্রে ছত্তিশগড় রাজ্য দ্বিতীয় অবস্থানে এবং এর পরের অবস্থানেই রয়েছে তামিলনাড়ু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনো বড় টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছুটা অপচয় হরহামেশা হয়ে থাকে। টিকা কেনা এবং বিতরণের সময়ই এমন ঘটতে পারে। রাজ্যগুলোকে জনসংখ্যা অনুপাতে এবং প্রয়োজন অনুসারে টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ নির্ধারণে অপচয়ের সম্ভাব্যতার হিসাবটা খুব জরুরি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানের বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার অপচয় কমাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত টিকাগুলো অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনোযোগী। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যানটি নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ অবধি ঝাড়খন্ড সরকারের কাছে যে পরিমাণ টিকা এসেছে সেটির হিসাবে অপচয়ের পরিমাণ মাত্র ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বিড়ম্বনার কারণে কোউইন সাইটে টিকা দেওয়ার তথ্য হালনাগাদ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
টিকা অপচয়ের কারণ ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, টিকা অপচয় বা নষ্টের পেছনে রয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়া, ঠিকমতো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অথবা চুরি যাওয়া। ভায়ালের (শিশি) মধ্যে যখন টিকা নষ্ট হয়ে যায়, তার মানে হয় পুরো ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়নি অথবা টিকাকেন্দ্রে মানুষ সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। অথবা খোলা ভায়ালটি পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্য সর্বাধিক পরিমাণ টিকা অপচয় করেছে, সেগুলো কার্যকরভাবে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নয়াদিল্লি: সরবরাহ সংকটে ভারতের অনেক রাজ্যে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার পথে। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজ্যে বিপুল পরিমাণ টিকার অপচয় হয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়খন্ড এবং ছত্তিশগড় রাজ্যে প্রতি তিনটি ডোজের মধ্যে একটিই নষ্ট হয়েছে। সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণেই এই অপচয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের টিকা অপচয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি টিকা নষ্ট হয়েছে ঝাড়খন্ড ও ছত্তিশগড় রাজ্যে। যেখানে সরবরাহ সংকটের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে টিকা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে অথবা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে।
পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একদিকে অনেক রাজ্য টিকার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। অন্যদিকে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত নষ্ট করে ফেলছে অনেকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। যেখানে রাজ্যগুলোকে টিকার অপচয় ১ শতাংশের নিচে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ঝাড়খন্ডে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৩০ দশমিক ২ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। এটি স্পষ্টত জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
টিকা অপচয়ের ক্ষেত্রে ছত্তিশগড় রাজ্য দ্বিতীয় অবস্থানে এবং এর পরের অবস্থানেই রয়েছে তামিলনাড়ু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনো বড় টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছুটা অপচয় হরহামেশা হয়ে থাকে। টিকা কেনা এবং বিতরণের সময়ই এমন ঘটতে পারে। রাজ্যগুলোকে জনসংখ্যা অনুপাতে এবং প্রয়োজন অনুসারে টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ নির্ধারণে অপচয়ের সম্ভাব্যতার হিসাবটা খুব জরুরি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানের বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার অপচয় কমাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত টিকাগুলো অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনোযোগী। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যানটি নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ অবধি ঝাড়খন্ড সরকারের কাছে যে পরিমাণ টিকা এসেছে সেটির হিসাবে অপচয়ের পরিমাণ মাত্র ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বিড়ম্বনার কারণে কোউইন সাইটে টিকা দেওয়ার তথ্য হালনাগাদ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
টিকা অপচয়ের কারণ ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, টিকা অপচয় বা নষ্টের পেছনে রয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়া, ঠিকমতো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অথবা চুরি যাওয়া। ভায়ালের (শিশি) মধ্যে যখন টিকা নষ্ট হয়ে যায়, তার মানে হয় পুরো ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়নি অথবা টিকাকেন্দ্রে মানুষ সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। অথবা খোলা ভায়ালটি পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্য সর্বাধিক পরিমাণ টিকা অপচয় করেছে, সেগুলো কার্যকরভাবে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এক বিবৃতিতে জানায়, আমিরাত কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি...
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে ইরান তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আক্রমণকারীকে শাস্তি দেওয়ার পর আমাদের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই।’
৫ ঘণ্টা আগেদোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর। তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে