ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের হারদোই জেলার হারপালপুরের এক শান্ত-সমাহিত গ্রামের বাসিন্দা রাজু। স্ত্রী রাজেশ্বরী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপন করছিলেন। গায়েগতরে খেটে খাওয়া রাজু সম্প্রতি মহিষ বিক্রি করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন, পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারির এক অদৃশ্য ঝড়ে তাঁর শান্ত জীবন হঠাৎই পাল্টে গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৩ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে রাজেশ্বরী তাঁদের বড় মেয়ে খুশবুকে বলেছিলেন, ‘আমি বাজারে যাচ্ছি। কাপড় আর সবজি কিনে এনে দেব তোকে।’ রাজেশ্বরী প্রায়ই বাজারে যেতেন বলে পরিবারের কারও কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মনে হয়নি। আর রাজেশ্বরীর স্বামী রাজু তখন বাড়িতেও ছিলেন না।
কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত হলেও রাজেশ্বরী আর বাড়ি ফিরলেন না। রাজু বাড়ি ফিরে স্ত্রীর না ফেরার খবর পাওয়ার পরপরই খুঁজতে শুরু করলেন। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করলেন, পরিচিত সবাইকে খবর দিলেন। কিন্তু রাজেশ্বরীর কোনো সন্ধান পেলেন না।
ধীরে ধীরে রাজুর সন্দেহ বাড়তে শুরু করল। কারণ, কয়েক দিন ধরেই রাজেশ্বরীর সঙ্গে ভিক্ষুক ননহে পণ্ডিতের কথাবার্তা নিয়ে তাঁর মনে খটকা লাগছিল। ননহে মাঝে মাঝেই তাঁদের পাড়ায় ভিক্ষা চাইতে আসত। রাজু লক্ষ করেছিলেন, ননহে প্রায়ই রাজেশ্বরীর সঙ্গে গল্প করত। শুধু পাড়াতে সামনাসামনি নয়, তারা ফোনেও কথা বলত।
রাজু জানান, তিনি মহিষ বিক্রি করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, সেগুলোও রাজেশ্বরী নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, কীভাবে এমন কিছু ঘটল। আমার স্ত্রী, আমার ছয়টি সন্তান, আর এত বছরের সংসার—সবকিছু ছেড়ে এমন একজন ভিক্ষুকের সঙ্গে পালিয়ে গেল!’
এরপর স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রাজু। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৮৭-এর আওতায় এই অভিযোগ রুজু করা হয়। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো নারীকে জোরপূর্বক বা প্ররোচিত করে অপহরণ বা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হয়, তবে অভিযুক্তের শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং ননহে পণ্ডিতের খোঁজে মাঠে নেমেছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ননহে পণ্ডিতের খোঁজ চলছে। আশা করি শিগগিরই তাঁকে খুঁজে বের করতে পারব।’
রাজু আজও স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানের মায়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। রাজেশ্বরীর এই সিদ্ধান্ত কেন, কীভাবে—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। রাজুর চোখের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে অসহায়ত্বের ছাপ। তিনি বলেন, ‘সন্তানরা মায়ের জন্য কাঁদছে। আমি চাই সে ফিরে আসুক। এই ভুল-বোঝাবুঝি শেষ হোক। আমাদের সংসার আবার আগের মতো হোক।’
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ঘটনা কি শুধুই ভুল-বোঝাবুঝি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো গল্প? মানুষ যে কত অদ্ভুত এবং জটিল সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা যেন এই ঘটনাই প্রমাণ করে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের হারদোই জেলার হারপালপুরের এক শান্ত-সমাহিত গ্রামের বাসিন্দা রাজু। স্ত্রী রাজেশ্বরী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপন করছিলেন। গায়েগতরে খেটে খাওয়া রাজু সম্প্রতি মহিষ বিক্রি করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন, পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারির এক অদৃশ্য ঝড়ে তাঁর শান্ত জীবন হঠাৎই পাল্টে গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৩ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে রাজেশ্বরী তাঁদের বড় মেয়ে খুশবুকে বলেছিলেন, ‘আমি বাজারে যাচ্ছি। কাপড় আর সবজি কিনে এনে দেব তোকে।’ রাজেশ্বরী প্রায়ই বাজারে যেতেন বলে পরিবারের কারও কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মনে হয়নি। আর রাজেশ্বরীর স্বামী রাজু তখন বাড়িতেও ছিলেন না।
কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত হলেও রাজেশ্বরী আর বাড়ি ফিরলেন না। রাজু বাড়ি ফিরে স্ত্রীর না ফেরার খবর পাওয়ার পরপরই খুঁজতে শুরু করলেন। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করলেন, পরিচিত সবাইকে খবর দিলেন। কিন্তু রাজেশ্বরীর কোনো সন্ধান পেলেন না।
ধীরে ধীরে রাজুর সন্দেহ বাড়তে শুরু করল। কারণ, কয়েক দিন ধরেই রাজেশ্বরীর সঙ্গে ভিক্ষুক ননহে পণ্ডিতের কথাবার্তা নিয়ে তাঁর মনে খটকা লাগছিল। ননহে মাঝে মাঝেই তাঁদের পাড়ায় ভিক্ষা চাইতে আসত। রাজু লক্ষ করেছিলেন, ননহে প্রায়ই রাজেশ্বরীর সঙ্গে গল্প করত। শুধু পাড়াতে সামনাসামনি নয়, তারা ফোনেও কথা বলত।
রাজু জানান, তিনি মহিষ বিক্রি করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, সেগুলোও রাজেশ্বরী নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, কীভাবে এমন কিছু ঘটল। আমার স্ত্রী, আমার ছয়টি সন্তান, আর এত বছরের সংসার—সবকিছু ছেড়ে এমন একজন ভিক্ষুকের সঙ্গে পালিয়ে গেল!’
এরপর স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রাজু। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৮৭-এর আওতায় এই অভিযোগ রুজু করা হয়। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো নারীকে জোরপূর্বক বা প্ররোচিত করে অপহরণ বা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হয়, তবে অভিযুক্তের শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং ননহে পণ্ডিতের খোঁজে মাঠে নেমেছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ননহে পণ্ডিতের খোঁজ চলছে। আশা করি শিগগিরই তাঁকে খুঁজে বের করতে পারব।’
রাজু আজও স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানের মায়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। রাজেশ্বরীর এই সিদ্ধান্ত কেন, কীভাবে—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। রাজুর চোখের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে অসহায়ত্বের ছাপ। তিনি বলেন, ‘সন্তানরা মায়ের জন্য কাঁদছে। আমি চাই সে ফিরে আসুক। এই ভুল-বোঝাবুঝি শেষ হোক। আমাদের সংসার আবার আগের মতো হোক।’
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ঘটনা কি শুধুই ভুল-বোঝাবুঝি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো গল্প? মানুষ যে কত অদ্ভুত এবং জটিল সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা যেন এই ঘটনাই প্রমাণ করে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে